নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুরু হয় এই মামলার ষষ্ঠ শুনানি। মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের অগ্রগতির পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ কত দূর এগোল, তা নিয়েও আদালতে উঠল প্রশ্ন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানালেন, ‘‘রাজ্যসরকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে ইন্টিগ্রেটেড হেলথ মেডিক্যাল সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে চালু করবে এবং পরিকাঠামো যাতে যথাযথ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’’
আইনজীবী করুণা নন্দী জানালেন, ‘‘রাত্রের সাথী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে ল অ্যান্ড অর্ডারের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং সাধারণ মানুষকে নিয়োগ করা হচ্ছে। সিকিউরিটি অডিট কমিটিতে যদি সিনিয়র ডাক্তারদের রাখা যায়’’, সেই অনুরোধ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডিপ ফ্রিজে জমে বরফের পাহাড়! বারবার কেন হয় এই সমস্যা? ৫ মিনিটে গলবে কীভাবে? জেনে নিন সহজ টোটকা
রাজ্য এটাও জানিয়েছে, রোগী কল্যান সিমিতি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম রোল আউট করা হয়েছে। অনলাইন বেড রেফারাল সিস্টেম চালু করা হয়েছে— আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এই সিস্টেমকে লাগু করার কথা বলা হচ্ছে
আইনজীবী দ্বিবেদী জানালেন, ‘‘প্রাইভেট সিকিউরিটি রেগুলেশন অ্যাক্ট মেনে গোটা দেশের সব হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিকে দিয়ে নিয়োগ করা হয়। এটা কেন্দ্রীয় আইন। আমাদের আইন নয়। রাজ্যের তরফে এই আইন মেনে নিয়োগ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত এই আইন মেনে নিয়োগ করা হয়নি। অভিযুক্ত হাসপাতালে পোস্টেড ছিল না। এরকম নয় যে হাসপাতালে নিযুক্ত কর্মীরা অভিযুক্ত’’।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আরও জানালেন, ‘‘৯০-৯৫% কাজ শেষ হয়েছে আরজিকরের। কারণ, সিবিআইয়ের থেকে পরিকাঠামো আপডেট করার ছাড়পত্র ৯/১০/২৪ এবং ১৪/১০/২৪ তারিখে মিলেছে। বাকি সব হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। আরজিকরের কাজ ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে।’’
রেস্টরুম এবং ডিউটি রুমের জন্য বায়োমেট্রিকের কী করা হয়েছে? – জানতে চান সিবিআই। দ্বিবেদি জানালেন, ‘‘প্রোকিওর করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সেগুলি ইনস্টল করা হবে।’’