অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ছিল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। শীর্ষ আদালতকে আস্বস্ত করে কাজে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সুপ্রিম কোর্টে জানালেন ইন্দিরা জয়সিং। এই বিষয়ে জেনারেল বডি মিটিংয়েই হবে সিদ্ধান্ত এমনটাই জানানো হল শীর্ষ আদালতকে। অর্থাৎ কাজে যোগদানের সময় ও দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে জিবি বৈঠকের পরেই।

RG Kar Case Supreme Court Hearing: চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাল রাজ্য, কী পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের?

নয়াদিল্লি: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে রাজ্যে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সেই নিয়ে মঙ্গলবার শুনানিতে জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী।

রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল এদিন শুনানিতে জানান, আলাদা ডিউটি রুম তৈরির কাজ আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ২৩২ জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে, আরও ৮৫ জন নিরাপত্তা কর্মী দেওয়া হবে আরজিকরের জন্য।

আরও পড়ুন: রাত্তিরের সাথীর নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতিরই! সংশোধন করা হয়েছে, জানালেন সিব্বল

নিরাপত্তা কর্মীরা পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ার নয়,  বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী, সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “এই চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা কর্মীরা রাতে ঘোরাফেরা করলে মহিলা চিকিৎসকেরা কী ভাবে নিরাপদ বোধ করবে?” পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ৩৬ ঘণ্টা কাজ করেন যে হাসপাতালে চিকিৎসকরা সেখানে নিরাপত্তায় কখনোই চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা রক্ষীর উপর ভরসা করা যায় না। আরজি করের নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “আরজি করে কেন এতগুলো সিসিটিভি বসানোর কথা বলার পর মাত্র ৩৬টা সিসিটিভি বসানো হয়েছে?”

আরও পড়ুন: মাত্র ২৭ মিনিটের ফুটেজ দিয়েছে পুলিশ, CBI-র অভিযোগ শুনে কী বললেন প্রধান বিচারপতি

রাজ্যের মোট ৩৫টি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুুপাররা দেখবেন, কোথায় কোথায় নিরাপত্তা কড়াকড়ি করার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দেশের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কিছু এসওপি তৈরি করার প্রয়োজন। মহিলা ডাক্তাররা যেখানে বিশ্রাম করেন, তাঁদের বাথরুম- সব জায়গাতে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সিসিটিভি বসাতে হবে”।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনার অগ্রগতির জন্য দু’সপ্তাহ সময় চায় রাজ্য। শুনে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে রাজ্যের হাসপাতালগুলির রেস্টরুম, শৌচাগার, নিরাপত্তার বন্দোবস্ত, সিসি ক্যামেরা সব কিছু নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে অগ্রগতি সংক্রান্ত হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন।