দক্ষিণ দিনাজপুর: ক্যামেরা দেখতেই ছুটছে এক পুলিশকর্মী আর এই ভিডিও জনসমক্ষে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। হৃষ্টপুষ্ট চেহারার এক পুলিশকর্মী রুদ্ধশ্বাসে ছুটছেন। পিছনে ক্যামেরা ও বুম নিয়ে ছুটছেন সাংবাদিকেরা।
কলকাতা পুলিশে কর্তব্যরত এএসআই অনুপ দত্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইলে। যেখানে সকাল থেকেই প্রতিবেশীদের ভিড়। তবে সিবিআই তলব করা অনুপ দও কেমন মানুষ তিনি? কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
গতকাল টিভিতে অনুপ দত্তকে দৌড়তে দেখে কার্যত হতবাক তাঁর পরিবারের আত্মীয় থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। কারণ প্রতিবেশীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন অনুপ দত্তের পরোপকারিতার কথা। কলকাতায় চিকিৎসা থেকে শুরু করে অন্যের পড়াশোনা বা কারও কোনও বিপদ-আপদে সব সময়ই এগিয়ে যেতেন অনুপ।
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন
কলকাতায় চিকিৎসার কারণে কাউকে যেতে হলে সেক্ষেত্রেও তিনি তাঁদের নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। গ্রামে পরোপকারী বলে পরিচিত অনুপ দত্ত কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না এমনটাই দাবি করছেন অনুপ দত্তের প্রতিবেশী-সহ তাঁর পরিবার। বরং তিনি পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বা একসঙ্গে অনেকগুলো মিডিয়াকে দেখে তিনি ভয় পেয়ে দৌড় লাগিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা দত্ত।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই তদন্ত শুরু করতেই নাম উঠে আসে কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের নাম। পুলিশকর্মী অনুপ দত্তকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সঞ্জয়ের নাম শুনতেই দৌড়ে পালান তিনি। তবে, তাঁর সেই দৌড়ের ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ কর্মী অনুপ দত্ত জড়িত কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অনুপ দত্তের ভাল গুণাগুণের কথা বললেও অপরদিকে বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ঠিক বিপরীত কথা বলছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সঞ্জয় রায় ও অনুপ দত্তের ছবি পোস্ট করেছেন।
সুস্মিতা গোস্বামী