উত্তর ২৪ পরগনা: ধরণা মঞ্চে যাওয়ার কথা থাকলেও, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে আর আরজি করের ধর্না মঞ্চে যাওয়া হল না নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মা-র। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই যেতে পারছেন না তাঁরা বলে জানানো হয়।
যদিও এদিনই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেন নির্যাতিতার পরিবারকে। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন তিনি বলেও জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তারপর থেকেই প্রশাসনিক স্তরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে নির্যাতিতার বাড়ির এলাকায়। নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে। তবে পরিবারের সমস্ত দাবি ধীরে ধীরে প্রশাসন মেনে নিচ্ছেন বলেও জানান পরিবারের এক কাছের মানুষ প্রতিবেশী সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক এখন সেটাই চাইছে নির্যাতিতার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা।
তবে আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে খুন করার ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার প্রশাসনের উপর আস্থা রাখলেও, খুশি নন এখনও পর্যন্ত হওয়া তদন্তে এমনটাও জানা যাচ্ছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় তারা গোটা চেস্ট ডিপার্টমেন্টেই রাখছেন। ধৃত সিভিক পুলিশই শুধু নন, এই নারকীয় ঘটনার পিছনে রয়েছে আরও কেউ বলেও অনুমান পরিবারের।
তাদেরকেও গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তিরও দাবি জানাচ্ছে নির্যাতিতার পরিবার। পাশাপাশি মৃত তরুণীর বাবা জানান, “আরজি কর হসপিটালে মন খুলে কাজ করতে পারতো না ওই চিকিৎসক। উপর থেকে নানা রকম ভাবে তার উপর চাপ সৃষ্টি করা হতো। চারজন পুরুষ ডাক্তারের সঙ্গে একজন মহিলা হিসেবে তাকে ডিউটি দেওয়া হতো দিনের পর দিন। ছিলনা মহিলাদের আলাদা কোন রেস্ট রুমের ব্যবস্থা। পানিহাটির ডাক্তারী ছাত্রীর বাড়িতে পরিবারের লোকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরাম।
তাদের কাছে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে বিস্ফোরক দাবি করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামের সদস্য ডঃ সুবর্ন গোস্বামী বলেন, “ডাক্তারি ছাত্রীকে আগে ধর্ষণ করা হয়েছে, তারপরই খুন করা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একজন দুষ্কৃতী নয় একাধিক দুষ্কৃতী ডাক্তারি ছাত্রীর উপর অত্যাচার করেছে।
ফলে এখনও বেশকিছু রহস্য ধামাচাপা রয়েছে যা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করছেন ডাক্তারি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা সহ অনেকেই। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সেদিকেই এখন নজর সকলের।
Rudra Narayan Roy