ফাঁকা রাস্তা

West Medinipur News: বেলা বাড়তেই ভয়াবহ দৃশ্য! হঠাৎ করে শুনশান, ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, তৈরি হচ্ছে ভয়ের পরিবেশ, কোথায় জানেন?

পশ্চিম মেদিনীপুর: বেলা বাড়লে শুনশান হয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মাথায় হাত পড়ছে সবজি বিক্রেতা থেকে টোটো চালক কিংবা ছোট ছোট দোকানদারদের। করোনার পর প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় কাটলেও লকডাউনের সেই ভয়াবহতা ফের ফিরে আসছে মানুষের মধ্যে। সারাদিনে সামান্য কিছু রোজগার হতে না হতেই ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। গরমের ভয়াবহতার কারণে এমন চিত্র জেলা জুড়ে। কার্যত যেন আংশিক লকডাউন পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে।

দিনের পর দিন তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা বাড়ছে ক্রমশ। জেলার খড়্গপুরের কলাইকুন্ডার তাপমাত্রা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৪৭ ডিগ্রিরও বেশি। স্বাভাবিকভাবে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

প্রসঙ্গত সকাল দশটা বাজলেই রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান হয়ে যাচ্ছে। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সারাদিনের নিত্য কাজ করে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউই। বাকি কাজ করছেন সন্ধ্যার পরে। যেন বেলা দশটা বাজলেই আংশিক লকডাউন শুরু হচ্ছে জেলা জুড়ে। একদিকে প্রখর রৌদ্রতাপ অন্যদিকে লু বওয়ার কারণে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের মধ্যে। যে কারণে ফাঁপরে পড়েছেন টোটো চালক থেকে সবজি বিক্রেতা ও অন্যান্য দোকানদাররা।

সকালবেলা সামান্য প্যাসেঞ্জার থাকলেও বেলা দশটার পর থাকছে না প্যাসেঞ্জার। কার্যত দুপুর পর্যন্ত বসে বসেই কাটাতে হচ্ছে তাদের। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলেও প্রচন্ড গরমে নাজেহাল তারা। আর্থিক সঙ্কটে ভোগার আশঙ্কা টোটো চালকদের। একইভাবে সবজি বিক্রেতারাও সমস্যায় পড়েছেন। তাদের প্রতিদিনের সবজি বিক্রি হচ্ছে না, অন্যদিকে রোদের তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে কাঁচা সবজি। যদিও বুধবার বিকেলে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চড়া রোদে থাকা দায় জেলা জুড়ে।

রঞ্জন চন্দ