শিবনিবাস মন্দিরে ভক্তদের জল ঢালার ভিড়

Sawan 2024: এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ ‘এটা’ই, ভোররাত থেকেই জল ঢালার ভিড়, দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভক্তরা, কোথায় জানেন?

নদিয়া: শ্রাবণ মাসে দেশের সমস্ত শিব মন্দিরেই করা হয় ভক্তি সহকারে শিবের পুজো। সকলেই মেতে ওঠেন শিবের আরাধনায়। ঠিক তেমনই নদিয়া জেলায় রয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার অন্তর্গত মাজদিয়ায় রয়েছে শিবনিবাসের মন্দির। এখানেই রয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ। সারা বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এসে ভক্তি সহকারে পুজো দেন এই মন্দিরে।

আজ শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সোমবার। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ নদিয়ার মাজদিয়ার শিবনিবাসে ভক্তদের ভিড় ভোর রাত থেকেই লেগে রয়েছে। জেলা তথা জেলার বাইরে বহু দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসেছে শিবের মাথায় জল ঢালতে। কেউবা এসেছে পায়ে হেঁটে কাঁধে বাঁক নিয়ে, কেউ এসেছে মোটরবাইকে, কেউবা এসেছে গাড়িতে। তবে ছোট বড় বৃদ্ধ সব ভক্তদের মধ্যেই জল ঢালার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। ভোররাত থেকেই একে একে ভক্তদের আগমন শুরু হয়ে গিয়েছে শিবনিবাস মন্দিরে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল তৎপর।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে গেদে লোকাল ধরে মাজদিয়া স্টেশনে নেমে ব্যাটারি চালিত ই-রিক্সা করে যাওয়া যাবে মাজদিয়া শিবনিবাস মন্দিরে।শ্রাবণ মাস মানেই শিবের মাস। গোটা মাসেই চলে প্রতিটি শিব মন্দিরে শিবের পুজো এবং জল ঢালার প্রক্রিয়া। নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে একাধিক শিব মন্দির তবে সবথেকে বিখ্যাত হল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার শিবনিবাস মন্দির।

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

প্রতিবছর ভক্তের আনাগোনা লেগে থাকলেও শ্রাবণ মাসে বিশেষ করে সোমবার দিনগুলিতে ভক্তের ভিড় থাকে দেখার মত। ভোররাত থেকেই ভক্তদের আগমন শুরু হয়ে যায় শিবনিবাস মন্দির প্রাঙ্গণে। এরপর লম্বা লাইন দিয়ে অতি ভক্তি সহকারে ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন।শ্রাবণ মাসের শুরুতেই প্রথম ও দ্বিতীয় সোমবার ভক্তের ভিড় দেখা যায়। গোটা মাস জুড়েই এই ভিড় থাকবে বলে এমনই আশা করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

Mainak Debnath