ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে কংসাবতী,শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙ্গন

West Bengal flood situation: ভয়ংকর রূপ কংসাবতীর! ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের

ঝাড়গ্রাম : টানা বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক পিছু ছাড়ে না। রাতের বেলায় বাড়ি ছেড়ে ঠাঁই নিতে হয় অন্য জায়গায়। কারণ, নদীর জলে পাড় ক্রমশ ধসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। যে কোনও সময় বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে নদীতে। জলের শব্দে রাতে ঘুম হয় না। এই বুঝি পাড় ভেঙে নদীতে ঢুকে গেল। বৃষ্টি হলেই সারা রাত জেগে থাকতে হয়। এই ভাবেই আতঙ্কের সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে নদীর পাড়ে থাকা গ্রামগুলির গ্রামবাসীদের।

আরও পড়ুন: রোগীর পরিবারের থেকে ১ টাকা বেশি নেওয়ার শাস্তি! চাকরি গেল সরকারি হাসপাতালের কর্মীর

টানা বৃষ্টিতে কংসাবতী নদী ফুঁসছে। সেই জলের স্রোতে ভাঙছে পাড়। নদী তীরবর্তী লালগড়ের ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বিস্তীর্ণ বসতভূমি যে কোন সময় নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন লালগড় ব্লকের বৈতা অঞ্চলের নামো বৈতা, বালিশিরা, কুমোরপুর এই তিনটি গ্রামের প্রায় তিনশো পরিবার। বাসিন্দাদের দাবি, তিনটি গ্রামের প্রায় ২ কিলোমটার এলাকা নদী গর্ভে যেতে চলেছে। গ্রামের ইতিমধ্যেই কিছুটা রাস্তা ভেঙে নদী গর্ভে গিয়েছে। বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে সমস্ত বাড়ি নদীর মধ্যে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

বালিশিরা, কুমোরপুর ও বৈতা গ্রামে গেলেই চোখে পড়বে ভয়াবহ অবস্থা। তবে কুমোরপুর গ্রামের নদীর পাড়ে আর কয়েক হাত দূরে রয়েছে ঘরবাড়ি। যে কোনও সময় ঘর বাড়ি ভেঙে নদী গর্ভে ঢুকে যেতে পারে। কুমোরপুর গ্রামের রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে ঢুকে গিয়েছে বলে জানালেন লক্ষণ চালক, রুপা দুলে। নামো বৈতা, বালিশিরা, কুমোরপুর এই তিনটি গ্রাম কংসাবতী নদী পাড়ে রয়েছে। কংসাবতী নদী ভাঙনের ফলে নদী ক্রমশ গ্রামকে গ্রাস করতে বসেছে। এর ফলে তিনশো পরিবার অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামবাসীরা দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনিক বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে কংসাবতী নদীর পাড়ে থাকা গ্রাম গুলির গ্রামবাসীদের। কবে দূর হবে তাদের এই দুশ্চিন্তা, এই নিয়েই দিন গুনছেন তাঁরা।