উত্তর ২৪ পরগনা: কোথায় গেল স্কুলের স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা! আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রের এবারের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সাংসদ তহবিল থেকে গোবরডাঙ্গা খাটুরা হাইস্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে শান্তনু ঠাকুর তার ইস্তাহারে প্রকাশ করেছেন। তবে সাংসদ তহবিলের কোন অর্থ স্কুলে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন খাটুরা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক। গোবডাঙায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে একই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী প্রাপ্ত ব্রাত্য বসুও। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সামাজিক মাধ্যম।
এদিন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে শান্তনু ঠাকুর গোবরডাঙ্গা খাটুরা হাইস্কুলে প্রপোজাল পত্র সর্বসমক্ষে আনেন। তিনি বলেন, “স্কুল আমার কাছে আবেদন করেছিল আবেদনের ভিত্তিতে ডিএম এর কাছে আমার তহবিলের টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই অনুমোদনে তারা কাজ করবেন না, এমন কোন ক্যান্সেলেশন পত্র আমাকে পাঠানো হয়নি। আমার অধিকার আছে অর্থ অনুমোদন হলে সেটাকে আমি লিখতে পারি।”
তৃণমূলের হার্মাদরা চাপ সৃষ্টি করে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে এমন বলিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। একইভাবে গাইঘাটার পাঁচপোতা একটি স্কুলেও এমনই অভিযোগ নিয়েও তৃণমূলের চাপে প্রধান শিক্ষক এমন বলছেন বলে দাবি করেছেন শান্তনু। সাংসদ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন শান্তনু ঠাকুর বলে দাবি করেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বিশ্বজিৎ দাসকে আক্রমণ করে বলেন “বেহায়া বিশ্বজিৎ দাস”।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষার বিশ্বাস বলেছেন, “একটি স্মার্ট ক্লাসরুম নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে কিছু মাস আগে এরকম একটি ইমেল বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া সত্ত্বেও, তহবিল এখনও আমাদের বিদ্যালয় পায়নি। ফলস্বরূপ, স্মার্ট ক্লাসরুম প্রকল্পটি অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে। “বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “শান্তনু ঠাকুর সাংসদ থাকাকালীন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন এবং তিনি এই টাকা লুটপাট করেছেন। গোবরডাঙ্গা এবং হরিণঘাটার স্কুলগুলিতে অর্থ দান করার ব্যাপারে তার দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, এবং পাঁচপোতা নিয়েও একইরকম অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সব মিলিয়ে এখন স্কুলের স্মার্ট ক্লাস তৈরীর তহবিল ঠিক কোথায় আটকে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
Rudra Narayan Roy