চাপের মুখেও অনড় শেখ হাসিনা৷ ছবি- রয়টার্স

Sheikh Hasina: দু’ দফায় নিহত ৩০০, পদত্যাগের দাবি! চাপের মুখেও কঠোর অবস্থান, কী করবেন হাসিনা?

ঢাকা: তাঁর পদত্যাগের দাবিকে কেন্দ্র করেই এই মুহূর্তে আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে৷ যদিও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও নমনীয় হওয়ার কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন না৷ বরং সরকারের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যারা অশান্তিতে মদত দিচ্ছেন তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে৷

গত জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দু’ দফায় বাংলাদেশে সবমিলিয়ে প্রায় ৩০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতের সংখ্যা কয়েকশো৷ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পরে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হলেও গত শনিবার থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ৷ এবার সরাসরি শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতেই সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷

শেখ হাসিনা নিজে অবশ্য অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশ জুড়ে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে তারা ছাত্র নয়, সন্ত্রাসবাদী৷ এখনও পর্যন্ত দু দফায় প্রায় ২০ বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শেখ হাসিনা৷ বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হাসিনার সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ পদত্যাগের দাবির মুখে হাসিনা কী কৌশল নেন, সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন৷ বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আলি আরাফত জানিয়েছেন, ‘সরকার শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান চায়৷ কিন্তু অশান্তি করলে কঠোর হাতেই তা দমন করবে সরকার৷’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মৃত শতাধিক, কারফিউয়ের মধ্যেই আজ ঢাকা অভিযানের ডাক ছাত্রদের!

ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জুড়ে মন্ত্রী, সাংসদদের বাড়ি সহ আওয়ামি লিগের বিভিন্ন দফতরে হামলা চালাতে শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা৷ দেশের ৩৯টি জেলা থেকে এই ধরনের হামলার খবর এসেছে৷ আওয়ামি লিগের অন্তত কুড়িটি অফিসে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে৷ এমন কি, হামলা চালানো হয়েছে থানা, প্রশাসনিক কার্যালয়, পুলিশ সুপারের অফিসেও৷ চাঁদপুর, বরিশালে বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ দিনাজপুর, হবিগঞ্জ, কুষ্টিয়াতেও আওয়ামি লিগের সাংসদদের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ তবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধ করতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামি লিগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলির সমর্থক-কর্মীদেরও রাস্তায় নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেমন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন, সেরকমই বিক্ষোভকারী ছাত্ররাও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন৷ সরাসরি ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ আজই ঢাকায় অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ কারফিউয়ের কারণে সোমবার সকাল থেকে ঢাকার রাস্তা শুনশান থাকলেও এ দিন সকালে মার্চ টু ঢাকা অভিযানে অংশ নিতে বেশ কিছু আন্দোলনকারী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের কাছে জড়ো হয়েছিলেন৷ যদিও টিয়ার গ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ৷ কারফিউয়ের পাশাপাশি আজ সোমবার থেকে বাংলাদেশে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার৷