শিলিগুড়ি: তৃষ্ণা মেটানোর উপযোগী নয়। দূষিত হয়েছে পানীয় জল। আর তাই আজ থেকে আগামী ২ জুন বিকেল পর্যন্ত টানা ৫ দিন পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল পান করাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুরসভা। ঘোষণা করেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।
তিনি জানান, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ডের (BOD) তারতম্যের কারণে পানীয় জল দূষিত হয়েছে। তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার বাসিন্দারা যাতে তা পান না করেন, সেজন্যে মাইকিং করা হবে। বিজ্ঞাপনও দেওয়া হবে। এ জন্যে শহরবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন মেয়র। তবে সরবরাহ করা জল পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভায় জরুরি বৈঠকের পরই মেয়র বলেন, পানীয় জল কিছুটা দূষিত হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতার ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল, রিপোর্ট হাতে আসার পরই এই সিদ্ধান্ত। আবারও জলের নমুনা আজ পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। যার রিপোর্ট আসতে পাঁচদিন সময় লাগবে। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পুর এলাকায় সরবরাহ করা জল আসতো গজলডোবার তিস্তা ক্যানাল থেকে। কিন্তু গত অক্টোবরের বন্যায় তিস্তার বাঁধ ভেঙে যায়। তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বিকল্প হিসেবে গত ১৮-১৯ দিন মহানন্দা নদীর জল পরিশোধিত করে সরবরাহ করছিল পুরসভা। সেই জলেই বিপত্তি!
বিকল্প ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। ১ লক্ষ পানীয় জলের পাউচ সরবরাহ করবে। পাঁচটি বরোতে ১৫ থেকে ২০ হাজার করে জলের পাউচ দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রতি ওয়ার্ডে পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হবে বলেও জানান মেয়র। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, গত ১৫ থেকে ১৬ দিন ধরে তাহলে শিলিগুড়ির মানুষ দূষিত জল অর্থাৎ বিষ জল খেলেন। মেয়র গৌতম দেব পুরসভা চালাতে ব্যর্থ। এর জবাব দিতে হবে মেয়রকেই। যদিও এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেয়র।