প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে বাবা-ছেলে

রীতিমতো ফাঁদ পেতে এটিএম থেকে টাকা চুরি! প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে বাবা-ছেলে

সন্দীপ মিশ্র, সীতাপুর: এটিএম থেকে টাকা তুলতে এসেছিলেন এক যুবক। কিন্তু টাকা বেরোনোর সময় তা আটকে গিয়েছিল। এরপরেই দুজন এসে প্লাস্টিকের একটি বস্তু সরিয়ে সেই টাকা বার করার চেষ্টা করে। আর সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। উত্তর প্রদেশের সীতাপুরের এই ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

সীতাপুরের মাহমুদাবাদ থানা এলাকার একটি এটিএম থেকে রীতিমতো প্রতারণার জাল বিছিয়েছিল বাবা-ছেলে। তাদের কাছ থেকে ৩৫০০ টাকা নগদ এবং প্লাস্টিকের একটি জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আপাতত ওই দুই অভিযুক্তের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত বাবা-ছেলে আদতে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন– বছরে পাওয়া যায় মাত্র ১ বারই; আর থাইরয়েডের যমও বটে, শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করতেও জুড়ি মেলা ভার ছোট্ট এই ফলটির

পুলিশ জানিয়েছে যে, মাহমুদাবাদ-লখনউ রোডে রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে ফৌজি রেস্তোরাঁ। তার পাশেই রয়েছে একটি এটিএম। সেখানে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন মাহমুদাবাদ শহরতলির বাসিন্দা রিয়াজ। মেশিনে কার্ড ঢুকিয়ে ৫০০০ টাকা তুলছিলেন তিনি। স্ক্রিনে ভেসে উঠেছিল সফল ট্রানজ্যাকশনের মেসেজ। এর পাশাপাশি রিয়াজের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজও চলে আসে। অথচ এটিএম মেশিন থেকে কোনও টাকা বেরোতে দেখেননি রিয়াজ। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে এটিএম থেকে বেরিয়ে আসেন রিয়াজ।

এই সময় ওই এটিএম-এর বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন উমাকান্ত মিশ্র এবং তার পুত্র উদয় মিশ্র। রিয়াজ বেরিয়ে যেতেই এটিএম-এ প্রবেশ করে তারা। এটিএম মেশিনের যেখান থেকে টাকা বেরোয়, সেখান থেকে প্লাস্টিকের একটি বস্তু সরিয়ে টাকা বার করে আনে তারা। এমনটা দেখে রিয়াজ রেগে যান এবং প্রতিবাদ করেন। ফলে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। রিয়াজের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং তাঁরা পুলিশে খবর দেন। কোতওয়ালি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে। সিও দীনেশ শুক্লা বলেন যে, রিয়াজের অভিযোগের ভিত্তিতে উমাকান্ত এবং উদয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন– ১৯৮৮ সালের ব্লকবাস্টার ছবির নায়িকা, তারপরই হারিয়ে গেলেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে, এখন তিনি কোথায় জানেন?

অভিযুক্তদের দাবি, এটিএম থেকে তারা ৩৫০০ টাকা তুলেছিল। এর আগে তারা ১৮০০ টাকা তুলেছিল। এমনকী তাদের চোখেমুখে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। এই প্রতারণার কাজে তারা দুজনেই সিদ্ধহস্ত। এটিএম-এ প্রতারণার ফাঁদ পেতে টাকা তুলে নিত তারা। আর এভাবেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করছিল। সব সময় নগদেই টাকা পরিশোধ করত তারা।
সিও আরও জানিয়েছেন যে, মাহমুদাবাদ থানা এলাকার এটিএম থেকে দুই ধূর্ত টাকা চুরি করত। প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই লখনউয়ে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা এটিএম-এ যেত। এটিএম মেশিনের যেখান থেকে টাকা বেরোয়, সেখানে প্লাস্টিকের একটি জিনিস আটকে দিত। ফলে কেউ যখন টাকা তুলতে আসত, তখন তাঁর মনে হত, টাকা আটকে গিয়েছে। সেই ব্যক্তি বেরিয়ে আসার পরেই কাজ শুরু করে দিত বাবা-ছেলে। ওই প্লাস্টিকের বস্তুটি সরিয়ে টাকা তুলে নিত তারা।