সুস্থ থাকতে কে না চায়৷ কিন্তু, আজকাল আমাদের যে ধরনের জীবনযাত্রা, তাতে ঘরে ঘরে সুগার, কোলেস্টরল, থাইরয়েড, কিডনির সমস্যা বেড়েই চলেছে৷ এমতাবস্থায়, আমাদের রোজের রুটিনে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতিসাধন করতে পারে৷স্থূলত্ব কমানোই হোক, কী সুগারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা, আমাদের রান্নাঘরে থাকা বহু মশলাই আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করতে পারে৷ তেমনই এক মশলার উপকারিতা ও ব্যবহারের বিষয়ে এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব আমরা৷সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া একটি ভিডিয়োয় চিকিৎসক বরুণ শর্মা ধনে ভেজানো জল খাওয়ার একাধিক উপযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন৷ধনেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে৷ যা অনেক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালে ধনে ভেজানো জল খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে৷গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজ সকাল নিজের ওজনের প্রতি কেজি ওজন হিসাবে ২০ মিলিগ্রাম ধনে ভেজানো জল খেলে ৬ ঘণ্টার জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেক্ষেত্রে, আগের দিন গোটা রাত একবাটি জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে ধনে৷ তারপরে পরেরদিন সকালে তা পান করতে হবে৷ধনে ভেজানো জল হার্টের জন্যেও খুব উপকারী। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই হৃদরোগীদের জন্য ধনে ভেজানো জল খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।ধনেতে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলিও রয়েছে। ধনে ভেজানো জল পান করলে তা স্মৃতিশক্তিও বাড়ায় বলে দাবি করা হয়। ধনে ভেজানো জল স্ট্রেস রিলিফ করে, দুশ্চিন্তা এবং বিষণ্ণতা ভাব কমায়৷মানি কন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুসারে, ধনে ভোজানো জল পান করলে তা পেট সবসময় পরিষ্কার রাখে। এতে পেটের ভিতরের সব ময়লা দূর হয়। হজমশক্তি বাড়ে। ধনে ভেজানো জল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।ধনে ভেজানো জল খেলে শরীর হাইড্রেডেট থাকে৷ কারণ, এটি দ্রুত শরীর থেকে জল বের হতে দেয় না। এটি মেটাবলিজমও বাড়ায়। ধনেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল কমাতে সাহায্য করে, যার কারণে ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থাকে না এবং এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর এবং তাদের রোগের ধরন ভিন্ন৷ তাই নতুন কিছুর ব্যবহার শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
