যোগ করছেন 

Yoga Training: মুম্বই, বেঙ্গালুরুর ট্রেন্ড বাঁকুড়াতেও, মহিলাদের মধ্যে ফিটনেস ঝড়!

বাঁকুড়া: হাতে যোগা ম্যাট নিয়ে, সকাল সকাল গৃহবধূ থেকে শুরু করে চাকুরীজীবী মহিলা প্রত্যেকেই চললেন দুর্গা মন্দিরে। এর কারণ কী? কারণ একটাই, শরীর এবং মন দুটোকেই সুস্থ রাখা। সংসারের কাজের চাপে এবং দায়িত্বের বেড়াজালে আটকে থেকে নয়, বরঞ্চ শারীরিক এবং দৈহিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খোঁজার চেষ্টা করছেন বাঁকুড়ার মহিলারা।

কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই ছবি দেখা যেত না বাঁকুড়া শহরে। একমাত্র বেঙ্গালুরু, কলকাতা কিংবা মুম্বই, দিল্লির মত মহানগরগুলোতে মহিলাদের এই অনুশীলনের দৃশ্য আমাদের নজরে আসত। যা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। তবে ধীরে ধীরে বাঁকুড়াতেও দেখা যাচ্ছে একটি ট্রেন্ড।

আরও পড়ুন: কাজল শেখের উদ্যোগে কাটল জট, আবার কাজ শুরু তিলপাড়া বাসস্ট্যান্ডের

মহিলাদের মধ্যে ব্যায়াম করার প্রবণতা বাড়ছে। বাড়ছে ফিজিক্যাল ট্রেনিং এবং যোগা করার ট্রেন্ড। গৃহবধূ কিংবা চাকুরিজীবী নারী, অধিকাংশেরই বাড়ছে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা। প্রান্তিক বাঁকুড়াতে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে এই ফিটনেসের ঝড়। যুব সমাজকে ছাড়িয়ে পৌঁছেছে বাঁকুড়ার নারীদের মজ্জাতে। বাঁকুড়ার পাপিয়া সেন আগে থেকেই জানতেন যোগা। একাধিক মহিলাদের উদ্যোগে শুরু করেন একটি প্রশিক্ষণ শিবির। সকাল বেলা কেন্দুয়াডিহিতে কয়েকজন মহিলাকে নিয়েই ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করেন যোগা প্রশিক্ষণ শিবির। যাদের মধ্যে কেউ হলেন শিক্ষিকা, আবার কেউ সরকারি চাকুরীজীবী।

দৈনন্দিন কাজ এবং সংসার সামলানোর পর তাঁরা এর মাধ্যমে নতুন জীবন খুঁজে পাচ্ছেন। বলছেন, যোগা বদলে দিয়েছে তাঁদের জীবনধারা। যোগা ছাড়াও ধীরে ধীরে ক্রেজ বাড়ছে জুম্বা, প্রাণায়াম এবং লাফটার ক্লাসের। এইসব আগে দেখা যেত একমাত্র মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে, কিন্তু ধীরে ধীরে যেন বাঁকুড়ার ধমনীতেও প্রবেশ করছে আধুনিক ফিটনেস এবং প্রাচীন যোগার মেলবন্ধন। মহিলাদের একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায় যেমন হাঁটু ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া, মাথা থেকে কোমর এবং কোমর থেকে পা পর্যন্ত ওজনের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকা এবং সর্বশেষ মানসিক চাপ এবং স্বল্প নিদ্রা।

মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই হাতে নাতে ফলাফল পাচ্ছেন বাঁকুড়ার ইচ্ছুক নারীরা। তাঁদের‌ই একজন আভা ঘোষ বলেন, যোগা আমার ওজন বাড়তে দিচ্ছে না। সঙ্গে কমেছে আমার শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা। সবার সঙ্গে যোগা করে একটা আনন্দ উপভোগ করছি যেটা ঘরে থেকে সম্ভব নয়। প্রশিক্ষণ নিতে আসা পিয়ালী দে গুপ্ত বলেন, বাড়িতে অনেক রকম চাপ থাকে। বিভিন্ন কাজের মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখেন মহিলারা। সেই বেড়াজাল থেকে তাঁরা বেরোতে পারেন না। কিন্তু যোগা করে মন ভাল হচ্ছে এবং মাইন্ড ফ্রেশ থাকছে। আমার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী