জাহির-সোনাক্ষীর বিয়ের এক সপ্তাহও পেরোয়নি। তার মধ্যেই শুক্রবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ছুটলেন নবদম্পতি। আর এরপর থেকেই বি-টাউনে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গুঞ্জন, অন্তঃসত্ত্বা সোনাক্ষী সিনহা!এমনিতে অভিনেত্রীকে নিয়ে নানা মহলে জোরদার সমালোচনা হয়েছে। তবে অবশ্য কন্যার পাশে দাঁড়িয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।সাত বছর ধরে সম্পর্কে থাকার পর গত ২৩ জুন পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে সেরেছিলেন সোনাক্ষী সিনহা এবং জাহির ইকবাল। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ইন্টারনেটে হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ছে নবদম্পতির প্রথম সন্তান আগমনের খবর।ইনস্ট্যান্ট বলিউড-এর শেয়ার করা একটি ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে যে, সোনাক্ষী এবং জাহিরের সাদা রঙা মার্সিডিজ বেরিয়ে আসছে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতাল থেকে। সেই সময়ই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে গাড়িটি। শোনা যাচ্ছে, ওই সময় গাড়িতে ছিলেন নবদম্পতি। অথচ তাঁরা পাপারাৎজিদের এড়িয়ে গিয়েছেন।এই ভিডিও আসতেই সকলে জল্পনা করতে শুরু করেন যে, এই তারকা জুটির জীবনে আসতে চলেছে তাঁদের প্রথম সন্তান। অনেকে আবার আলিয়া ভাটের উদাহরণও টেনে এনেছেন। কারণ রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিয়ের কিছু সময়ের মধ্যেই সন্তান আগমনের খবর দিয়েছিলেন আলিয়া।সোনাক্ষীকে নিয়ে জল্পনা সংক্রান্ত পোস্টে এক নেটিজেন লিখেছেন, “মেডিক্যাল চেক-আপ। যদি অভিনেত্রী অন্তঃসত্ত্বাও হন, তাহলে সেটা ভাল খবর।” অন্য একজন লেখেন, “সন্তান আসছে!” তৃতীয় এক নেটাগরিকের মন্তব্য, “উনি কি অন্তঃসত্ত্বা?”অন্যদিকে আবার সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের পরেই এক রেডিট ব্যবহারকারী অভিনেত্রীর একটি পুরনো ছবি প্রকাশ্যে এনে চর্চা শুরু করেছিলেন। আসলে ওই ছবিতে অভিনেত্রীর হাতের আঙুলে শোভা পাচ্ছিল বিশালাকার হিরে বসানো একটি আঙটি। আর দেখা যাচ্ছে, সোনাক্ষী এক পুরুষের হাত ধরে রয়েছেন। কিন্তু সেই ব্যক্তির চেহারার বেশিরভাগ অংশই ক্রপ করা।অভিনেত্রী এই ছবিটি শেয়ার করেছিলেন ২০২২ সালের ৮ মে। যদিও ওই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন যে, কোনও জুয়েলারি ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্যই তিনি ছবিটি পোস্ট করেছেন। কিন্তু এখন দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলেছেন ভক্তরা।তাঁদের দাবি, বছর দুয়েক আগেই গোপনে জাহির ইকবালের সঙ্গে বাগদান সেরে রেখেছিলেন অভিনেত্রী। কারণ বিয়ের দিনেও সোনাক্ষীর হাতে জ্বলজ্বল করছিল বড় হিরে খচিত আঙটিটি।এও শোনা যাচ্ছে, কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি শত্রুঘ্ন সিনহা। সূত্রের খবর, রুটিন চেক আপের জন্যই ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁকে দেখতেই এসেছিলেন মেয়ে-জামাই।
