Sonu Sood: দিল্লি-উত্তরপ্রদেশে রোগীদের বেড জোগাড় করতে লাগছে প্রায় ৯-১১ ঘণ্টা! তাও মানুষকে সাহায্য করতে অদম্য সোনু

#মুম্বই: করোনাকালের (Corona) মসিহা অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। গত বছর লকডাউনে (Lockdown) হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ঘরে ফিরিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে মানুষকে সাহায্যে করেছেন তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতেও (Second wave) সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। নেগেটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের কাজ শুরু করেছেন তিনি। দেশের বহু কোভিড রোগীদের সাহায্য করছেন তিনি।

করোনা সংক্রমণ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এর মধ্যে হাসপাতালের বেড ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। আর তাই এই অবস্থায় মানুষকে বেড ও অক্সিজেনের ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন সোনু সুদ। কিন্তু এমনই অবস্থা যে সোনুও বহু চেষ্টা করে তবেই বেড জোগাড় করতে পারছেন। নিজেই টুইট করেছেন অভিনেতা।

সোনু বলছেন, দিল্লিতে বেড পেতে গড়ে ১১ ঘণ্টা সময় লাগছে দিল্লিতে। উত্তরপ্রদেশে বেড পেতে গড়ে ৯.৫ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবুও বেড জোগাড় করবই। টুইটারে এক নেটিজেনের অনুরোধে তিনি রেমডেসিভিরের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। ইন্দোরে সম্প্রতি করোনা রোগীদের জন্য ১০ টি অক্সিজেন জেনারেটরের ব্যবস্থা করেছেন সোনু। তবে এর চেয়েও বড় একটি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন গরীবের মসিহা।

লকডাউনের পর থেকে কাজ নেই গ্রামের মানুষদের হাতে । তাই মধ্যপ্রদেশের মালওয়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম নিমাচের সমস্ত বাসিন্দাদের দু-বেলা পেট পুরে খাওয়ানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। সোনু এক নাচের রিয়্য়ালিটি শোয়ের বিচারক। সেখানে উদয় নামের এক প্রতিযোগী একবার সোনুকে জানান তাঁদের গ্রামের মানুষদের দুরাবস্থার কথা। মধ্যপ্রদেশ সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করেছে । আগামী ৭ মে পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে লকডাউন চলার কথা । দীর্ঘ দিন লকডাউনের কারণে সেখানকার দিনমজুর পরিবারগুলি দুবেলা খেতে পারছে না । উদয় নিজেও দিনমজুর । একটি চিঠিতে সোনুকে গোটা পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন উদয় ।

আর তার পরেই ত্রাতার ভূমিকা নেন সোনু। উদয়কে কথা দেন, যতদিন লকডাউন চলবে, গ্রামবাসীদের মুখে খাবার তুলে দেবেন তিনি। ফের নেটিজেনরা তাঁর এই কাজে মুগ্ধ হয়েছেন। করোনা কালের রিয়েল হিরো হয়ে উঠেছেন তিনি। পর্দায় সাধারণত খলনায়কের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আসলে তিনি যে একজন হিরো তা বার বার প্রমাণ করেছেন সোনু। আর সেই কাজে তাঁর অব্যাহতি নেই।