কুমারগঞ্জের বিদ্যেশ্বরী মন্দির

Ancient Satipeeth: বট পাকুড়ের ছায়ায় গৌড়ীয় ইটের প্রাচীন মন্দির, সতীপীঠের বিশেষ পুজো ও যজ্ঞে হয় অগণিত ভক্ত সমাগম

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : সতীর ৫১ পীঠের একপীঠ এই কুমারগঞ্জের বিদ্যেশ্বরী মন্দির। কথিত, সতীর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের অংশ পড়েছে এই স্থানে। যা মন্দির সংস্কারের সময় বেরিয়ে আসে। মায়ের অষ্টধাতুর মূর্তিটি গাছের ভিতরে অবস্থিত। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রাচীন পুজো কত তম বর্ষে পদার্পণ করল তাও ঠিক বলা সম্ভব নয়। দেবী বিদ্যেশ্বরী মাতার মন্দিরটি বর্তমানে একটি চূড়ার উপরে অবস্থিত। প্রাচীন কালের সেই গৌড়ীয় ইটের গাঁথুনির দেওয়াল মন্দিরে।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বালুপাড়া বিদ্যেশ্বরী মন্দিরে প্রচুর ভক্তবৃন্দদের ঢল। স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা যায়, বিদ্যেশ্বরী মায়ের আদি যে মন্দির ছিল সেই মন্দিরটি কালক্রমে মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তৈরি করার পর সেই মন্দির ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বট ও পাকুড় গাছ। কালের গ্রাসে মন্দিরটির জীর্ণদশায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন এই মন্দিরের দেওয়ালের কিছু খিলানে কুলুঙ্গি রয়েছে।

এছড়া মন্দিরের গায়ে অপূর্ব কারুকার্য লক্ষ করা যায়। মন্দিরের ভিতরে দেবী পূজিতা হন মা বিদ্যেশ্বরী রূপে। পুজো কমিটির সেক্রেটারি জানান, ” সারা বছর পুজোর্চনার পাশাপাশি প্রথা মেনে মাঘী পূর্ণিমার দিন শুরু হয় মায়ের অধিবাস। এরপর পাঁচ দিন ব্যাপী যজ্ঞানুষ্ঠান করে মায়ের পুজো চলে। এমনকি সেই যজ্ঞানুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এলাহী আয়োজন দেখা যায়। মন্দিরে মায়ের চার স্বরূপ হিসেবে রাসকালী, শ্যামাকালী, তারাকালী ও মরকা কালী মাতার পুজো সম্পূর্ণ হয়।

আরও পড়ুন : কমবেই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস! ওজনও ঝরবে নিমেষে! শুধু এই সবুজ অঙ্কুরিত ডাল ১ মুঠো খেতে হবে রোজ

সূর্য ওঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ধরেই এই যজ্ঞ হয়ে থাকে। আর এই যজ্ঞ ও মায়ের পুজো স্বচক্ষে দেখতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে প্রতি বছরই।”  মায়ের মন্দির প্রাঙ্গণটি একাধিক বটবৃক্ষ দ্বারা আবৃত রয়েছে।