পাঁচমিশালি Success Story: ধনে-কালো মরিচ বেচতেন, সেখান থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি! এমপি আহমেদের জীবন যেন রূপকথা Gallery August 9, 2024 Bangla Digital Desk রাস্তার ধারের ছোট দোকান থেকে একাধিক শো-রুমের মালিক! এমপি আহমেদের জীবন আক্ষরিক অর্থেই ফুটপাথ থেকে রাজপথে উঠে আসার গল্প। কথায় বলে, সাফল্য একদিনে আসে না, কিন্তু সঠিক পথে পরিশ্রম করলে একদিন অবশ্যই আসে। এই আপ্তবাক্যকে সত্যি প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তিনি। এমপি আহমেদ ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। বংশানুক্রমে মশলার ব্যবসা তাঁদের। শুরুতে তিনিও পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ধনে, মরিচ বেচতে ভাল লাগেনি তাঁর। লাভও হত না খুব একটা। নতুন কিছু করার বাসনায় মশলার ব্যবসা ছেড়ে জুয়েলারির দোকান খোলেন। আজ তিনি ২৭ হাজার কোটি টাকার কোম্পানির মালিক। মাত্র ২০ বছর বয়সে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন এমপি আহমেদ। কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেন, নিজে ব্যবসা করবেন। সেই মতো ১৯৭৮ সালে পারিবারিক দোকান ছেড়ে মালাবারে গিয়ে মশলার দোকান খোলেন। বিক্রি করতেন নারকেল, ধনে আর কালো মরিচ। কিন্তু খদ্দের কোথায়? আহমেদ দেখেন, মালাবারের মানুষের সোনার প্রতি খুব আগ্রহ। যে কোন অনুষ্ঠানে সোনার বিক্রিবাটা বেড়ে যায়। সেই দেখে, জুয়েলারির দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শহরের নামেই দোকানের নাম দেন, ‘মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস’। কিন্তু টাকা আসবে কোথা থেকে? ব্যবসার রোডম্যাপ করে ফেলেছেন। কিন্তু জুয়েলারির দোকান দেবার টাকা নেই। শেষ পর্যন্ত বাড়ি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ৫০ লাখ টাকা পান। সেই দিয়েই ১৯৯৩ সালে কোঝিকোড়ের ৪০০ বর্গফুটের একটি দোকান থেকে শুরু হয় ‘মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস’-এর যাত্রা। আহমেদ সোনার বার বা ইট কিনে তা থেকে গয়না তৈরি করে বিক্রি করতেন। এটাই তাঁর সাফল্যের ‘টপ সিক্রেট’। কোম্পানির মুনাফা প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। শীঘ্রই থেলিচেরি ও থিরুরে আরও দুটি দোকান খোলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালে কোঝিকোড়ের ৪০০ বর্গফুটের দোকানটিকে ৪ হাজার বর্গফুটের বিশাল শোরুমে বদলে ফেলেন। ২০০১ সালে ভারতের বাইরে প্রথম স্টোর খোলেন আহমেদ। সেটা হল রিয়াধে। এর দশ বছর পর ২০১১ সালে রিয়াধের ৫০ তম স্টোরেরও উদ্বোধন করেছিলেন। বর্তমানে ৭টি দেশে ১০৩টি স্টোর রয়েছে ‘মালাবার গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস’-এর (Malabar Gold & Diamonds)। ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কারখানাও খুলেছেন। জুয়েলারির দুনিয়ায় হয়ে উঠেছেন বেতাজ বাদশা। তাঁর জীবন আজ রূপকথা।