সৌম্যদীপ দাস

Success Story: ইচ্ছে থাকলে সব হয়, প্রমাণ করে দিল সৌম্যদীপ! গরিব ঘরের মেধাবী ছেলে এখন ইসরোর দরবারে

পশ্চিম মেদিনীপুর: পড়াশোনায় বরাবর মেধাবী। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকে সে স্বপ্ন দেখে গবেষণা করার। বয়স অল্প হলেও শুধু বাবা-মা’রই নয়, তার কৃতিত্ব উজ্জ্বল করেছে পিংলার মুখ। পিংলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে সুনাম অর্জন করেছে বছর ১৫-র এক ছেলে।

সম্প্রতি ইসরো আয়োজিত যুব বিজ্ঞানী কার্যক্রম বা ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিল পিংলার এক ছেলে। সেখানে গিয়ে স্পেস সায়েন্স, স্পেস টেকনোলজি-সহ মহাকাশ গবেষণার একাধিক ক্ষেত্রে সম্মুখ ধারণা এবং নানান যোগ্যতা অর্জন করেছে সে। তার এই সাফল্যে খুশি সকলে।

আরও পড়ুন: কাঁচা আম খাওয়ার উপকার অনেক, ঘরোয়া এই এক উপায়ে সংরক্ষণ করলেই কোনও চিন্তা নেই! অসময়েও মিলবে কাঁচা আমের স্বাদ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে সৌম্যদীপ দাস। বাবা একজন মাদুর শিল্পী। সামান্য একচালা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে সে। এলাকারই একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন ইয়ং সায়েন্টিস্ট হিসেবে একটি ১২ দিনের আবাসিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল সে। সেখানে গিয়ে মহাকাশ সম্পর্কে নানান গবেষণামূলক তথ্য জানার পাশাপাশি নিজে বিশেষ এক যন্ত্র বানিয়েও তাক লাগিয়েছে।

আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনের কোন খাবার ভারত-বিখ্যাত জানেন? জানুন দেশের আরও ৭ স্টেশনের জনপ্রিয় পদের নাম

প্রসঙ্গত, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্পেস টেকনোলজি, স্পেস সায়েন্স, স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সহ বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদ্ধতি মেনে বেশ কয়েকদিনের বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। সম্প্রতি যুব বিজ্ঞানী কার্যক্রম বা ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিল পিংলার এই ছেলে।

কীভাবে রকেট উৎক্ষেপণ হয়? কীভাবে বিজ্ঞানীরা কাজ করেন? কীভাবে তাদের আবিষ্কার সারা দেশের কাছে তুলে ধরেন, ১২ দিনের এই বিশেষ আবাসিক ক্যাম্পে ছাত্ররা জানতে পেরেছে স্পেস সায়েন্সের বিভিন্ন দিক। বাড়ি ফিরে সৌম্যদীপ জানাল তার অভিজ্ঞতার কথা। ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী সে।

ছেলেকে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিতে চান তার বাবা মা। ছেলের এই কৃতিত্ব ও সাফল্যে খুশি তারাও। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইসরোর দরবারে, সামান্য বয়সে তার এই প্রচেষ্টা এবং ইচ্ছেশক্তিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

রঞ্জন চন্দ