দুই হাত বাঁধা, বর্ষার উত্তাল গঙ্গায় সাঁতার

Sucess Story Of Swimmer: বর্ষার উত্তাল গঙ্গা, দুই হাত বাঁধা! তারমধ্যেই সাঁতার, তারপর যা করলে হাওড়ার তরুণ

হাওড়া: দুই হাত বেঁধে হুগলি নদীতে সাঁতার কেটে রেকর্ড গড়লেন মুকেশ! দুই হাত বেঁধে প্রায় ১০০০০ মিটার সকলকে চমকে দিয়েছে সে। তার এই কৃতিত্বে এলাকায় দারুন ভাবে সাড়া পড়েছে। সদা চঞ্চল হুগলি নদীতে সাঁতার কাটা মোটেও সহজ নয়। তার উপর বর্ষায় উত্তাল এই হুগলি নদীতে সাঁতার কাটতে বেশ কসরত করতে হয় সাঁতারুকে।

সাঁতারের জগতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এই ঘটল হাওড়ায়। সেই দিক থেকে দুই হাত বেঁধে সাঁতার আশ্চর্যজনকই বটে। আর এই সাঁতারা দেখতেই নদী পাড়ে ভিড় জমে বহু মানুষ। দুই হাত বেঁধে সাঁতার, একটানা প্রায় দুই ঘন্টা সাঁতার। শুনতে অবাক মনে হলেও, এই অসাধ্য সাধন করেছেন হাওড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা। এই কৃতিত্বের যুবকের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নথিভুক্ত হয়েছে।

—- Polls module would be displayed here —-

আরও পড়ুন – What is That: আকাশ থেকে নাকি রুপো ঝরে পড়ছে! কোথায় জানেন, কাঁড়িকাঁড়ি রুপো কুড়োতে হুড়োহুড়ি

সংস্থার পরিদর্শক এক কর্তা জানিয়েছেন, মুকেশই ভারতে প্রথম ব্যক্তি যিনি এত অল্প সময়ে দুই হাত বেঁধে সাঁতার কেটে রেকর্ড করেছেন। মধ্য হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাঁতার কাটা শেষ করার পরে, মুকেশকে একটি প্রশংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরও।

এদিন সকাল ৬.৫৫ মিনিটে বালির জগন্নাথ ঘাটে নদীতে প্রবেশ করেন মুকেশ। তার দুই হাত বাঁধা ছিল। ১০ হাজার মিটার সাঁতার শেষ করে তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রাক্তনকাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, যে তিনি সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেভাবে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই জানিয়েছেন মুকেশ। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রী রাই বলেন, আর্থিক সংকটের পর মুকেশ আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Rakesh Maity