Tag Archives: Swimming

Swimming West Bengal news: পৌঁছে গেলেন সপ্তসিন্ধু জয়ের অনেক কাছে, নর্থ চ্যানেল জয় করে ঘরে ফিরছেন সায়নী

পূর্ব বর্ধমান: লক্ষ্য সপ্তসিন্ধু জয়। তার অনেক কাছে পৌঁছে গেলেন কালনার সায়নী দাস। উত্তর আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের মাঝে ৩৫ কিমি দূরত্বের নর্থ চ্যানেল সাঁতরে পার করলেন তিনি। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি এই চ্যানেল পার করলেন। এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে পঞ্চসিন্ধু জয়ের রেকর্ডও গড়লেন।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাজিতা বিল পাঠালেন রাজ্যপাল! ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারের ভূমিকায়

গত এপ্রিল মাসেই সায়নী জয় করেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের কুক প্রণালী। তার ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় আরও একটি চ্যানেল জয় করে নিলেন তিনি। এর আগে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা এবং মলোকাই চ্যানেল পার করেছিলেন। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রটনেস্ট চ্যানেলও পার করেছেন তিনি। তবে তা সপ্তসিন্ধুর মধ্যে পড়ে না।  সুগারু ও জিব্রাল্টা চ্যানেল-  এই দুই প্রণালী জয় করলেই সায়নীর মাথায় উঠবে সপ্তসিন্ধুর মুকুট। সেই লক্ষ্যে এখনও অবিচল সায়নী।

আরও পড়ুন: কলকাতা শহরতলিতে মধুচক্রের হদিস! উদ্ধার কন্ডোম-সহ বিভিন্ন সামগ্রী, গ্রেফতার বহু

নর্থ চ্যানেল জয়ের জন্য ২ অগাস্ট বেলফাস্টে পৌঁছন সায়নী। ২৫ অগাস্ট থেকে ৩০ অগাস্টের মধ্যে যে কোনও দিন জলে নামার কথা ছিল তাঁর। তবে গত প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জলে নামা নিয়ে অনিশ্চয়ত দেখা দেয়। ২৯ অগাস্ট বৃহস্পতিবার চ্যানেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি মেলে। ৩০ অগাস্ট শুক্রবার চ্যানেল পার হওয়ার লক্ষ্যে জলে নামেন তিনি। ওই দিন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডোনাঘাদি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে তাঁর সাঁতার শুরু হয়। স্কটল্যান্ডের পোর্টপ্যাট্রিকে যখন তিনি সাঁতার শেষ করেন ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে ১৩ ঘণ্টা ২২ মিনিট। সায়নী জানান, তিনি যখন জলে নামেন তখন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি। এক সময়ে তাপমাত্রা নেমে যায় ৯ ডিগ্রিতে।

আরও পড়ুন: হাজার টাকা নিয়ে গেলেই এই দেশে ৩ লাখ, সস্তায় ছবির মতো সুন্দর বিদেশ ঘুরতে চলুন

নর্থ চ্যানেল জয় করে সায়নী জানিয়েছেন, অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে তাঁকে সাঁতার কাটতে হয়েছে। শেষের দিকে উত্তাল সমুদ্রের মুখে পড়েন তিনি। সায়নীর এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর শহর কালনা ও রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গুণমুগ্ধরা। আগামীকাল শনিবার রাতে সায়নী ফিরছেন কালনার বারুইপাড়ার বাড়িতে। তাঁকে স্বাগত জানাতে তৈরি সকলেই।

Murshidabad News: দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা, ৮১ কিলোমিটারে প্রথম বাংলার প্রত্যয়

মুর্শিদাবাদ: দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতায় ৭৮ তম বর্ষে ৮১ কিমি এবং ১৯ কিলোমিটার মুর্শিদাবাদ জেলা সাঁতার সংস্থা আয়োজিত এই সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। জঙ্গিপুরের আহিরন ব্রীজ থেকে ৮১ কিমি এবং জিয়াগঞ্জ থেকে ১৯ কিমি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতা শেষ হয় বহরমপুর গোরাবাজার জগন্নাথ ঘাটে।

গত বছরের মতো এবারও গঙ্গা বক্ষে ৮১ কিলোমিটার সাঁতারে প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয় ভট্টাচার্য। ১০ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডে সময় নিয়ে প্রথম হন প্রত্যয়। রবিবার ভোরে সুতির আহিরন ব্যারেজ ঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন ৯ সাঁতারু। ৮১ কিমি সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে প্রত্যয় ভট্টাচার্য। ২য় হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে তপু সরকার এবং ৩য় হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে পার্থ সন্দীপ হাতাঙ্কর।

পাশাপাশি, জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয় ১৯ কিলোমিটার গঙ্গাবক্ষে সাঁতার প্রতিযোগিতা। পুরুষ বিভাগে নামেন ২৪ জন। পুরুষ বিভাগে ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে গৌরব কাভেরি। দ্বিতীয় হয়েছেন মহারাষ্ট্রের ভেদান্ত যোগেশ গাডাখ। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন ত্রিপুরার নয়ন দে।

আরও পড়ুনঃ  মিডল অর্ডার নিয়ে বাড়ছে চিন্তা! ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন তারকা ব্যাটার? জানুন বিস্তারিত

এছাড়াও ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় মহিলা বিভাগে প্রথম হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিশাখা ধারা।দ্বিতীয় হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে অস্মিতা কর্মকার। এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঈশিতা সাহা।বহরমপুরে গোরাবাজার জগন্নাথ ঘাটে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে।

কৌশিক অধিকারী

Sucess Story Of Swimmer: বর্ষার উত্তাল গঙ্গা, দুই হাত বাঁধা! তারমধ্যেই সাঁতার, তারপর যা করলে হাওড়ার তরুণ

হাওড়া: দুই হাত বেঁধে হুগলি নদীতে সাঁতার কেটে রেকর্ড গড়লেন মুকেশ! দুই হাত বেঁধে প্রায় ১০০০০ মিটার সকলকে চমকে দিয়েছে সে। তার এই কৃতিত্বে এলাকায় দারুন ভাবে সাড়া পড়েছে। সদা চঞ্চল হুগলি নদীতে সাঁতার কাটা মোটেও সহজ নয়। তার উপর বর্ষায় উত্তাল এই হুগলি নদীতে সাঁতার কাটতে বেশ কসরত করতে হয় সাঁতারুকে।

সাঁতারের জগতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এই ঘটল হাওড়ায়। সেই দিক থেকে দুই হাত বেঁধে সাঁতার আশ্চর্যজনকই বটে। আর এই সাঁতারা দেখতেই নদী পাড়ে ভিড় জমে বহু মানুষ। দুই হাত বেঁধে সাঁতার, একটানা প্রায় দুই ঘন্টা সাঁতার। শুনতে অবাক মনে হলেও, এই অসাধ্য সাধন করেছেন হাওড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা। এই কৃতিত্বের যুবকের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নথিভুক্ত হয়েছে।

—- Polls module would be displayed here —-

আরও পড়ুন – What is That: আকাশ থেকে নাকি রুপো ঝরে পড়ছে! কোথায় জানেন, কাঁড়িকাঁড়ি রুপো কুড়োতে হুড়োহুড়ি

সংস্থার পরিদর্শক এক কর্তা জানিয়েছেন, মুকেশই ভারতে প্রথম ব্যক্তি যিনি এত অল্প সময়ে দুই হাত বেঁধে সাঁতার কেটে রেকর্ড করেছেন। মধ্য হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাঁতার কাটা শেষ করার পরে, মুকেশকে একটি প্রশংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরও।

এদিন সকাল ৬.৫৫ মিনিটে বালির জগন্নাথ ঘাটে নদীতে প্রবেশ করেন মুকেশ। তার দুই হাত বাঁধা ছিল। ১০ হাজার মিটার সাঁতার শেষ করে তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রাক্তনকাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, যে তিনি সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেভাবে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই জানিয়েছেন মুকেশ। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রী রাই বলেন, আর্থিক সংকটের পর মুকেশ আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Rakesh Maity

Howrah News: ফিন সুইমিং-এ সোনা জয়, মৈত্র-র জোরালো পারফরম্যান্সে ভারত সেরা বাংলা, কেমন করে খেলে ফিন সুইমিং

হাওড়া: জাতীয় ফিনসুইমিং প্রতিযোগিতায় সোনা! আন্ডার ওয়াটার ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা বাংলা। এই প্রতিযোগিতায় জোড়া সোনার পদক জয়ে করে আরও আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলার মৈত্র। আন্ডার ওয়াটার প্রতিযোগিতার মধ্যে একটি ফিনসাঁতার। এই সাঁতারের ধরন সাধারণ সাঁতারের থেকে একটু আলাদা।

এখানে প্রতিযোগী একটি নলাকার বাঁকানো পাইপের ন্যায় যন্ত্র বা স্নরকেল ব্যবহার করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে। এখানে প্রতিযোগীর মাথা সম্পূর্ণ জলে নিমজ্জিত থাকবে। এই খেলা আন্তর্জাতিক তালিকাভুক্ত। এবার সপ্তম জাতীয় ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতা রাজস্থান উদয়পুরে অনুষ্ঠিত হয়। ফিনসাঁতার এমনই একটি সাঁতার যা আন্ডার ওয়াটার জলের অভ্যন্তরীণ খেলার তালিকাভুক্ত।

আরও পড়ুন – Heavy Rain Alert: নিস্তার নেই, ফের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধেয়ে আসছে চরম দুর্যোগ, বজ্রপাতের আশঙ্কা, তোলপাড় বৃষ্টিপাত

এই প্রতিযোগিতায় যদি কোনও কারণে প্রতিযোগী সাঁতারের সময় মাথা জলের ওপরে নিয়ে আসে, সেই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েন প্রতিযোগী। এই খেলার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়রা ডুবুরি এবং নৌবাহিনীর দল অংশগ্রহণ করে।এবার সপ্তম জাতীয় ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতায়। সারা বাংলা থেকে ২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে একজন হাওড়া আন্দুলের মৈত্র দে।

জাতীয় স্তরের এই প্রতিযোগিতায় সোনা এবং রুপোর পদক জয় করে হাওড়া নাম আলোকিত করেছে মৈত্র। সে একটি বেসরকারি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পরিবার সূত্রে জানা যায় ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি ভীষণ মনোযোগী মৈত্র।এ প্রসঙ্গে মৈত্র জানায়, এই সফলতার পেছনে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার ভীষণ অবদান রয়েছে। বন্ধুরা ভীষণভাবে উৎসাহিত করেছে একইসঙ্গে। লেখাপড়ার ফাঁকে এই খেলা চালিয়ে যেতে শিক্ষক শিক্ষিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আগামীতে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে জাতীয় স্তরে সোনা জয়ী হাওড়ার মৈত্র দে।
Rakesh Maity

Swimming Training: সুন্দরবনে পুকুর‌ই সুইমিং পুল! জলে ডুবে মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভারতবর্ষে প্রথম পুকুরভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শিবির চালু হল। সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম। সেই পরিস্থিতি বদলাতেই এবার এগিয়ে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদেরই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকন্ঠপুরে পুকুর ভিত্তিক সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করা হল।

শহরে সাঁতার শেখার জন্য সুইমিং পুলের ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামে সেই সুযোগ তেমন একটা নেই। আর তাই এবার পুকুরকেই সুইমিংপুল হিসেবে সুন্দরবন এলাকায় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে অল্পবয়সেই শিশুদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ সুন্দরবনে শিশুদের জলে ডুবে মৃত্যুর হার ভয়াবহভাবে বেশি। কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানার বৈকুন্ঠপুর শিশু সেবা কেন্দ্রে ও ভুবনেশ্বরীতে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্যবস্থাপনায় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দুটি পুকুর ভিওিক সুইমিং পুল চালু করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য বি মহম্মদ আসিল। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষে চিকিৎসক মানস প্রতীম রায়, সিনির মৈপীঠ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সমীর নারায়ণ চৌধুরী, দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল হেলথের সদস্য জগনুর, বারুইপুর মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারীক ইন্দ্রনীল মিত্র, কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অবন্তিকা মণ্ডল সহ আরও অনেকে হাজির ছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: গাভী বাছুরের জন্ম দিলেই শুরু হত হাচো গীত জারির গান! বিলুপ্তির মুখে আরেক লোকগান

আগামী দিনে সুন্দরবনের প্রতিটা ব্লকেই এমনই উদ্যোগ চালু হবে বলে জানা গিয়েছে। সুন্দরবনের পুকুরে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি পুকুরে সুইমিং পুলের মধ্যে দিয়ে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি মৈপীঠের এই কেন্দ্র থেকে কবচ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে শিশুদের পড়াশোনাও শেখানো হচ্ছে। এই সাঁতার প্রশিক্ষণে ২১ দিনের ক্লাসের মধ্যে দিয়ে এক একটি গ্রুপে ৬-৮ জন শিশুকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সুমন সাহা

Swimming Competition: ‘লাইফ সেভিং সুইমিং’ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, অস্ট্রেলিয়া পাড়ি রিষড়ার মনোজিতের

হুগলি: বাবা ছিলেন একজন সাঁতারু। মা-ও সাঁতারে ন্যাশনাল লেভেল চ্যাম্পিয়ন্স। বাবা মারা গিয়েছেন কিছু বছর হল। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে সাঁতারে বিশ্বজয় করবে। বাবার স্বপ্নপূরণ করার উদ্দেশে কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে ছেলে মনোজিৎ ঢেঁকি। অগাস্ট মাসের ২৩ তারিখ অস্ট্রেলিয়ার গোল করতে আয়োজিত হতে চলেছে ন্যাশনাল লাইফ সেভিং ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন হুগলির রিষড়ার তরুণ মনোজিৎ।

বয়স মাত্র ১৮ বছর। রিষড়া তেঁতুল তলায় এলাকার বাসিন্দা লক্ষণ ঢেঁকি ও চৈতালী ঢেকির একমাত্র ছেলে মনোজিৎ। শ্রীরামপুর বিবেকানন্দ অ্যাকাডেমি থেকে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: দম্পতি পরিচয় দিয়ে প্রেমিকাকে খুনের পরিকল্পনা! লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউজে যুবকের সুইসাইড নোট

বাবা প্রয়াত লক্ষণ ঢেঁকি ছিলেন বেঙ্গল সুইমিং কোচ। তাঁর স্বপ্ন ছিল ছেলেও সাঁতারের বিশ্ব জয় করবে। বাবা মারা যাওয়ার পরে সেই স্বপ্নপূরণে যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছেলে মনোজিৎ। দিনরাত এক করে এখন চলছে তাঁর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করার অধ্যাবসায়।

জলে ডুবে যাওয়া মানুষকে বাঁচিয়ে জল থেকে বাইরে নিয়ে আসার এই অভিনব খেলার নাম লাইফ সেভিং সুইমিং। সাঁতারের এই অভিনব খেলার জনপ্রিয়তা রয়েছে বিদেশে। অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত হতে চলেছে লাইফ সেভিংস সুইমিং-এর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। ২৩ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। সেখানে সারা বিশ্ব থেকে যেমন প্রতিযোগীরা আসবেন, তেমনি আমাদের দেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন হুগলির এই তরুণ।

এ বিষয়ে মনোজিৎ বলেন, ”২০১৬ সালে প্রথমবার ন্যাশনাল পার করেছিলাম সাঁতারে। এরপর ২০১৭-তে রায়পুরে ও ২০১৯-এর মধ্যপ্রদেশে সাঁতারের ন্যাশনাল খেলেছি।” তবে লাইফ সেভিং সাঁতারে এটি তাঁর প্রথম কম্পিটিশন। এই কম্পিটিশনের জয়ের লক্ষ্যে কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাহী হালদার

Purba Bardhaman: হিমশীতল জল, মাথার উপর বৃষ্টি, কালনার তরুণী সাঁতারুর রুদ্ধশ্বাস চ্যানেল জয়ের গল্প

পূর্ব বর্ধমান: নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেট চ্যানেল জয় করলেন পূর্ব বর্ধমানের সায়নী। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা সায়নী দাস। সায়নীর বয়স ২৬ বছর। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি সায়নীর। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে সায়নী নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলেন।

সায়নীর ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে। এর আগে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয় করেছেন। এবার তাঁর ঝুলিতে যোগ হল আরও এক চ্যানেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ৮:২২ মিনিটে  কুক স্ট্রেটে নামেন তিনি। তিনি যখন চ্যানেলে নামেন তখন বৃষ্টিও পড়ছিল৷

আরও পড়ুন – KKR Team News: নীতিশ রানাকে নিয়ে তোলপাড়, কোন ‘X’ কারণে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ককে

প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কনকনে ঠান্ডা জলে নেমে সাঁতার শুরু করেন তিনি। সায়নী কুক প্রণালীর ওয়েলিংটন থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা পথে সোজা যেতে পারেননি। অতিরিক্ত ঢেউ এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে একাধিকবার তাঁকে যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে। তাই সায়নী অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত সাফল্য লাভ করেন।

সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সায়নী শেষ পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ৫১ মিনিটে , ২৯.৫ কিলোমিটার দুর্গম জলপথ অতিক্রম করে কুক প্রণালী জয় করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও লড়াই করে সাফল্য অর্জন করলেন কালনার সায়নী।

ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেলের পর এবার সায়নী জয় করলেন কুক প্রণালী। সব মিলিয়ে সপ্তসিন্ধুর মধ্যে চারটে চ্যানেল জয় করে ফেললেন সায়নী। বাকি রইল নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার। সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাসের কাছে জানা গিয়েছে, সাঁতার শেষে সায়নীর শরীর খারাপ থাকলেও এখন তিনি ভাল রয়েছেন।

একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নী। সাঁতারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে পুকুরের জলে বা সুইমিং পুলে সাঁতার অনুশীলন করতে হয়৷ এর আগে অনেক রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এর পাশাপাশি সায়নীর স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ারও চেষ্টাও করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। তবে তাতেও থেমে থাকেননি তিনি।

লড়াই করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। জানা গেছে কালনা ফিরে আসার পর পরবর্তী চ্যানেল জয় করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন সায়নী। স্বভাবতই সায়নীর সাফল্যে কালনা শহর জুড়ে বইছে খুশির হাওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানাতেও শুরু করেছেন।

Banowarilal Chowdhary