Tag Archives: Swimmer

South 24 Parganas News : ১০০ মিটার সাঁতারে পুলে তোলপাড়, রাজ্য রেকর্ড গড়লেন এই সাঁতারু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : সাঁতারে রেকর্ড করলেন জয়নগরের সাঁতারু সৌগত দাস। কলকাতার লেকটাউন সুইমিং পুলে আয়োজিত রাজ্য স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় ৫৪.৫৩ সেকেন্ডে একশো মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্ট শেষ করেন সৌগত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবি, এই ইভেন্টে রাজ্য স্তরে এটা নতুন রেকর্ড। রাজ্যের কোনও প্রতিযোগী এত কম সময়ে এর আগে একশো মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্ট শেষ করতে পারেননি।

বেঙ্গল অ্যামেচার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত তিন দিনের এই প্রতিযোগিতা হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। মোট এগারোটি জেলার প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে অংশ নিয়েছিলেন ৬ প্রতিযোগী। এর মধ্যে বছর ঊনিশের সৌগত একাই তিনটি সোনা ও দু’টি রুপোর পদক জিতেছেন। প্রতিযোগিতায় রাজ্যের মধ্যে একক চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন – Paralympic Games Paris 2024: অলিম্পিক্সের পর এবার প্যারালিম্পিক্সের মজা, কোথায় নজর রাখবেন, সবেচেয়ে বড় দল পাঠাল ভারত

—- Polls module would be displayed here —-

জয়নগরের নিমপীঠের তুলসীঘাটা গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে সৌগত। বাবা অটো চালান। ছোটবেলায় নিমপীঠেরই একটি ক্লাবে সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি। পরে কলকাতার সুভাষ সরোবরে প্রশিক্ষক বিশ্বজিৎ দে চৌধুরীর অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌগত জানান, আগামিদিনে সাঁতার নিয়ে আরও এগোতে চান। তাঁর লক্ষ্য, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য। বাবা অরবিন্দ দাস বলেন, “ছোট থেকেই সৌগতর সাঁতারে বিশেষ আগ্রহ ছিল। কখনওই ওকে অভাব বুঝতে দিইনি। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব পাশে থাকতে। আজ পুরো পরিবার সহ গ্রামের সবাই খুব খুশি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সাঁতার দলের ম্যানেজার শ্রীমন্তকুমার ঘোষ বলেন, “একশো মিটার ফ্রি স্টাইলে এর আগে রাজ্য স্তরে রেকর্ড সময় ছিল ৫৪.৭৮ মিনিট। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ল সৌগত। খুবই নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে ও। জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে আগামিদিনে ওর আরও সাফল্য কামনা করি।

Suman Saha

Sucess Story Of Swimmer: বর্ষার উত্তাল গঙ্গা, দুই হাত বাঁধা! তারমধ্যেই সাঁতার, তারপর যা করলে হাওড়ার তরুণ

হাওড়া: দুই হাত বেঁধে হুগলি নদীতে সাঁতার কেটে রেকর্ড গড়লেন মুকেশ! দুই হাত বেঁধে প্রায় ১০০০০ মিটার সকলকে চমকে দিয়েছে সে। তার এই কৃতিত্বে এলাকায় দারুন ভাবে সাড়া পড়েছে। সদা চঞ্চল হুগলি নদীতে সাঁতার কাটা মোটেও সহজ নয়। তার উপর বর্ষায় উত্তাল এই হুগলি নদীতে সাঁতার কাটতে বেশ কসরত করতে হয় সাঁতারুকে।

সাঁতারের জগতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা এই ঘটল হাওড়ায়। সেই দিক থেকে দুই হাত বেঁধে সাঁতার আশ্চর্যজনকই বটে। আর এই সাঁতারা দেখতেই নদী পাড়ে ভিড় জমে বহু মানুষ। দুই হাত বেঁধে সাঁতার, একটানা প্রায় দুই ঘন্টা সাঁতার। শুনতে অবাক মনে হলেও, এই অসাধ্য সাধন করেছেন হাওড়ার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা। এই কৃতিত্বের যুবকের নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নথিভুক্ত হয়েছে।

—- Polls module would be displayed here —-

আরও পড়ুন – What is That: আকাশ থেকে নাকি রুপো ঝরে পড়ছে! কোথায় জানেন, কাঁড়িকাঁড়ি রুপো কুড়োতে হুড়োহুড়ি

সংস্থার পরিদর্শক এক কর্তা জানিয়েছেন, মুকেশই ভারতে প্রথম ব্যক্তি যিনি এত অল্প সময়ে দুই হাত বেঁধে সাঁতার কেটে রেকর্ড করেছেন। মধ্য হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে সাঁতার কাটা শেষ করার পরে, মুকেশকে একটি প্রশংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলরও।

এদিন সকাল ৬.৫৫ মিনিটে বালির জগন্নাথ ঘাটে নদীতে প্রবেশ করেন মুকেশ। তার দুই হাত বাঁধা ছিল। ১০ হাজার মিটার সাঁতার শেষ করে তিনি রামকৃষ্ণপুর ঘাটে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান প্রাক্তনকাউন্সিলর। এ প্রসঙ্গে মুকেশ বলেন, যে তিনি সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের চিঠি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেভাবে কোনও সাড়া মেলেনি বলেই জানিয়েছেন মুকেশ। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাবেন। প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রী রাই বলেন, আর্থিক সংকটের পর মুকেশ আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Rakesh Maity

East Bardhaman News: এবার সায়নীর লক্ষ্য নর্থ চ্যানেল, পঞ্চম সিন্ধু জয়ের লক্ষ্যে পারি দিলেন বাংলার মেয়ে

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নী দাস। কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা তিনি। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি তাঁর। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে সে নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছে। সায়নীর স্বপ্ন বা ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে। এর আগে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা , মলোকাই এবং কুক প্রণালী জয় করেছে। সব মিলিয়ে সপ্তসিন্ধুর মধ্যে চারটে চ্যানেল জয় করে ফেলেছে সায়নী। বর্তমানে বাকি রয়েছে নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার।

আর এবার সেই সপ্তসিন্ধুর পঞ্চম সিন্ধু, নর্থ চ্যানেল জয়লাভের উদ্দেশ্যে এদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্লাইটে চেপে রওনা দেন সায়নী। জানা গিয়েছে, সর্বপ্রথম কলকাতা থেকে সন্ধ্যা ৮:২০ সময় মুম্বাই পর্যন্ত ফ্লাইট। তারপর মুম্বাই থেকে হিথ্রো এবং হিথ্রো থেকে বেলফাস্ট পৌঁছাবে সায়নী। তবে নর্থ চ্যানেল জয়লাভের জন্য কবে নাগাদ জলে নামবে সায়নী ? সে জানিয়েছে তার সুইং উইন্ডো রয়েছে ২৫ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। এছাড়াও সায়নী জানিয়েছে,”সপ্তসিন্ধুর মধ্যে নর্থ চ্যানেল হচ্ছে সব থেকে ঠান্ডা। কারণ সেই জন্য আমি মে মাস থেকে আইস বাথ নিচ্ছি। কারণ ভারতবর্ষের টেম্পারেচার এর সঙ্গে ওখানকার টেম্পারেচারের অনেক তফাৎ রয়েছে। যেহেতু কুড়ি দিন আগে যাচ্ছি তাই ওখানেও কিছুটা অনুশীলনের চেষ্টা করব।”

নর্থ চ্যানেল জয়লাভের বিষয়ে আশাবাদী সায়নী। কালনার কিছু মানুষ যেমন সুশীল মিশ্র, পারিবারিক বন্ধু সুরজিৎ বক্সী, রাজা কুন্ডু এছাড়াও ঘনশ্যাম মিশ্র এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে সে বেশ কিছু আর্থিক সাহায্যও পেয়েছে। তবে এরপরেও বেশ কিছু মোটা অঙ্কের অর্থের জন্য, লোন করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হয়েছে সায়নীকে। আক্ষেপের সঙ্গে সায়নী জানিয়েছে,”যাওয়ার আগে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাপোর্ট কখনোই পাইনি, তবে আসার পর ফুলের তোরা, মালার বহর প্রচুর থাকে। খুবই হতাশ করা ঘটনা যে ভারতবর্ষের মত জায়গায় আমাদের এভাবে দেখা হয়।”

আরও পড়ুনঃ PV Sindhu: প্যারিস অলিম্পিক্সে স্বপ্নভঙ্গ ভারতের, প্রি-কোয়ার্টার থেকে বিদায় পিভি সিন্ধুর

প্রত্যেক চ্যানেল জয়ের আগে সায়নী সবসময় পজিটিভ থাকে। সেরকমই এবারেও নর্থ চ্যানেল জয়লাভের জন্য আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে সায়নীর মধ্যে। তবে এই নর্থ চ্যানেল জয়লাভ করা সায়নীর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার কারণ শুধু ভারতবর্ষ নয় এশিয়ার মধ্যে কেউ সপ্ত সিন্ধুর এই পঞ্চম চ্যানেল জয় করতে পারেনি। এছাড়াও নর্থ চ্যানেলে টেম্পারেচার, জেলিফিশ এবং স্রোতের সমস্যা তো রয়েছেই। তবে এই চ্যানেল জয় করতে পারলে ভারতবর্ষ তথা এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে কালনার সায়নী দাসের নাম।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Nadia News: চারটি চ্যানেলে ইতিমধ্যেই জয়, বাকি তিনটিতে জয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘জলকন্যা’ সায়নী

নদিয়া: বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে সাঁতারু সায়নী দাসকে দেওয়া হল সংবর্ধনা। চকদিগনগর স্পোর্টস ভিলেজ স্যুইমিং পুলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সংগঠকেরা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সায়নী দাস তার বিভিন্ন চ্যানেল জয়ের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা বলেন।

পৃথিবীর সপ্তসিন্ধুর চারটি চ্যানেল ইতিমধ্যেই জয় করেছে সায়নী। বাকি তিনটি চ্যানেল জয়ের প্রস্তুতির কথা জানান সায়নী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নবীন সাঁতারুদের উৎসাহিত করে সায়নী বলেন,”লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য স্থির থাকলে সফলতা আসবেই।” সায়নীর বাবা তথা তাঁর কোচ ক্রীড়া সংগঠক রাধেশ্যাম দাস বলেন,”আরও নতুন নতুন প্রতিভা সমস্ত খেলাতেই উঠে আসুক। সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরও ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমেই তা সম্ভব।” জলঙ্গী নদী সমাজ, কিশোর বাহিনী, বিভিন্ন স্কুল, ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে সায়নী দাসের হাতে স্মারক ও পুস্পস্তবক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের আয়োজক স্পোর্টস ভিলেজ সম্পাদক দীপক রায় বলেন,”সায়নীর সাফল্যে আমরা স্পোর্টস ভিলেজ গর্বিত। কারণ স্পোর্টস ভিলেজের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন হয়েছিল সায়নী ও তার বাবা রাধেশ্যাম দাসের যৌথ উদ্যোগে। একদিকে সায়নীর লড়াই, আরেকদিকে স্পোর্টস ভিলেজ গড়ে তোলার লড়াই, লক্ষ্য একটাই- খেলাধুলোর মধ্যে দিয়ে নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করা।”

আরও পড়ুনঃ East Medinipur News: ভোট প্রচারে এবার অভিনব পন্থা তমলুকের সিপিআইএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের

উল্লেখ্য নিউজিল্যান্ডের কুক প্রণালী জয়ের লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ রওনা দিয়েছিলেন বারুইপাড়ার মেয়ে সায়নী। গত কয়েকদিনে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে চালিয়ে গিয়েছেন নিবিড় অনুশীলন, নিউজিল্যান্ডের কুক প্রণালী জয়ের লক্ষ্যে জলে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা ৫১ মিনিট সাঁতার কেটে লক্ষ্যে পৌঁছন সায়নী। তিনি অতিক্রম করেছেন ২৯.৫ কিলোমিটার দূরত্ব। ২ এপ্রিল নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ৮টায় (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১২টায়) জলে নেমেছিলেন সায়নী। এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটেলিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয়ের পর সায়নীর মুকুটে যুক্ত হল আরও এক পালক।

Mainak Debnath

Purba Bardhaman: হিমশীতল জল, মাথার উপর বৃষ্টি, কালনার তরুণী সাঁতারুর রুদ্ধশ্বাস চ্যানেল জয়ের গল্প

পূর্ব বর্ধমান: নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেট চ্যানেল জয় করলেন পূর্ব বর্ধমানের সায়নী। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাসিন্দা সায়নী দাস। সায়নীর বয়স ২৬ বছর। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি সায়নীর। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে সায়নী নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলেন।

সায়নীর ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে। এর আগে সায়নী ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেল জয় করেছেন। এবার তাঁর ঝুলিতে যোগ হল আরও এক চ্যানেল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সময় সকাল ৮:২২ মিনিটে  কুক স্ট্রেটে নামেন তিনি। তিনি যখন চ্যানেলে নামেন তখন বৃষ্টিও পড়ছিল৷

আরও পড়ুন – KKR Team News: নীতিশ রানাকে নিয়ে তোলপাড়, কোন ‘X’ কারণে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ককে

প্রায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কনকনে ঠান্ডা জলে নেমে সাঁতার শুরু করেন তিনি। সায়নী কুক প্রণালীর ওয়েলিংটন থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা পথে সোজা যেতে পারেননি। অতিরিক্ত ঢেউ এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে একাধিকবার তাঁকে যাত্রাপথ বদল করতে হয়েছে। তাই সায়নী অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত সাফল্য লাভ করেন।

সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সায়নী শেষ পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা ৫১ মিনিটে , ২৯.৫ কিলোমিটার দুর্গম জলপথ অতিক্রম করে কুক প্রণালী জয় করেন। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও লড়াই করে সাফল্য অর্জন করলেন কালনার সায়নী।

ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটালিনা ও মলোকাই চ্যানেলের পর এবার সায়নী জয় করলেন কুক প্রণালী। সব মিলিয়ে সপ্তসিন্ধুর মধ্যে চারটে চ্যানেল জয় করে ফেললেন সায়নী। বাকি রইল নর্থ চ্যানেল, সুগারু ও জিব্রাল্টার। সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাসের কাছে জানা গিয়েছে, সাঁতার শেষে সায়নীর শরীর খারাপ থাকলেও এখন তিনি ভাল রয়েছেন।

একটা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নী। সাঁতারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে পুকুরের জলে বা সুইমিং পুলে সাঁতার অনুশীলন করতে হয়৷ এর আগে অনেক রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এর পাশাপাশি সায়নীর স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ারও চেষ্টাও করা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। তবে তাতেও থেমে থাকেননি তিনি।

লড়াই করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন এবং সাফল্য অর্জন করেছেন। জানা গেছে কালনা ফিরে আসার পর পরবর্তী চ্যানেল জয় করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবেন সায়নী। স্বভাবতই সায়নীর সাফল্যে কালনা শহর জুড়ে বইছে খুশির হাওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানাতেও শুরু করেছেন।

Banowarilal Chowdhary

অ্যান্টার্কটিকের জলে ওয়েটসুট ছাড়া সাঁতার কেটে বিশ্বরেকর্ড করলেন চিলির ‘আইস মারমেইড’

শীতকালে যেখানে আমরা ২ ডিগ্ৰি তাপমাত্রায় রাস্তায় বেরতে ইতস্তত করি, সেখানে কেউ একই তাপমাত্রাযুক্ত কনকনে ঠান্ডা জলে ওয়েটস্যুট ছাড়াই সাঁতার কাটতে পারে সেকথা কল্পনাও করা যায়না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ সত্যি। “আইস মারমেইড” নামে পরিচিত ৩৭ বছর বয়সী চিলির সাঁতারু বারবারা হার্নান্দেজ ৪৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাযুক্ত অ্যান্টার্কটিকের জলে ওয়েটস্যুট বা নিওপ্রণ স্যুট এবং কোন রকম সুরক্ষা সরঞ্জামাদি ছাড়াই সাঁতার কেটে বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন।

অ্যান্টার্কটিকা এবং দক্ষিণ মহাসাগরের উপর জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বারবারা হার্নান্দেজ এত কম তাপমাত্রায় হাড়হিম করা ঠান্ডা জলে সাঁতার কেটেছেন। ড্রেক প্যাসেজের উত্তাল জলে দ্রুততম সাঁতারু হিসাবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের খেতাব জয় করেছেন এই ৩৭ বছরের মহিলা। নাও দিস এর দ্বারা শেয়ার করা ভিডিওটিতে বারবারাকে একটা ছোট বোট থেকে ওয়েটস্যুট ছাড়াই কনকনে অ্যান্টার্কটিকার জলে ঝাঁপ দিতে এবং কনকনে ঠান্ডা জলে ওয়েটস্যুট ছাড়াই দ্রুতবেগে সাঁতার কাটতে দেখা যায় । ভিডিওটি এখানে দেখুন-

স্প্যানিশ ভাষায় তিনি জানিয়েছেন ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যান্টার্কটিকায় সাঁতার কাটা তার স্বপ্ন ছিল। তিনি আরও যোগ করেন যে তার সাঁতার কাটার উদ্দেশ্য কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ বা অসম্ভবকে সম্ভব করা নয়। বরং অ্যান্টার্টিকাকে রক্ষা করা এবং তার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সবাইকে অবগত করা এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই তিনি এই কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই চমৎকার জায়গাটিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করেন এই ক্ষেত্রে। শেষে তিনি তার দলের সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানাই।

কোন দুর্গম কাজ কখনও একদিনে সম্ভব হয়না। এই কথাটা চিরন্তন সত্য। বারবারাও টাস্কের জন্য প্রস্তুতি নিতে তিন বছর পরিশ্রম করেছেন। এর জন্য তার শরীরের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। হাড়হিম করা ঠান্ডায় সাঁতার কাটতে গিয়ে হাইপোথারমিয়ার নামক রোগের শিকার হন তিনি যেখানে তার শরীরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়।

একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে ২০২২ সালের জুন মাসে দক্ষিণ চিলির কাবো দে হর্নোসে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যবর্তী অঞ্চল ড্রেক প্যাসেজ দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড এক নটিক্যাল মাইল পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সাঁতারু হয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড ভাঙেন বারবারা। পাশাপাশি দ্য ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পুরষ্কারও জেতেন তিনি।

“আইস মারমেইড” নামে পরিচিত এই বারবারা হার্নান্দেজ পেশায় একজন মনোবিজ্ঞানী এবং সাঁতারু।