SAFF Champion India : মেসিকে স্পর্শ সুনীলের, নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত

ভারত – ৩
( সুনীল, সুরেশ, সাহাল)

নেপাল – ০

#মেল: কথায় বলে সকালের শুরু থেকে নাকি বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু এ কথা সব সময় সত্যি এমনটা নয়। চলতি সাফ কাপে ভারতের শুরুটা ভাল হয়নি মোটেই। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ড্র। তারপর নেপালের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়। মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৩-১ জয় প্রথমবার সেরা ছন্দে কমব্যাক করে ভারত। জোড়া গোল করেছিলেন সুনীল ছেত্রী এবং মনবীর সিং। আজ শনিবার আবার সেই সুনীল ছেত্রীর গোলেই লিড নেয় ভারত। ৪৮ মিনিটে প্রীতম কোটাল ক্রস করলে হেডে নেপালের গোলরক্ষক কিরণ কুমারকে পরাস্ত করেন ভারত অধিনায়ক।

এই গোলের সুবাদে তিনি স্পর্শ করে ফেললেন লিওনেল মেসিকে (৮০ গোল)। দু মিনিটের ভেতর দ্বিতীয় গোল। এবার ইয়াসিরের পাস থেকে জোরালো শটে গোল করেন সুরেশ। এই দুটো গোলের পরেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ভারতের জয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে না পারলেও শুরু থেকেই ছিল ভারতের দাপট। অনিরুদ্ধ থাপা এবং সুনীল সুযোগ না হারালে প্রথমার্ধেই গোল পেয়ে যেত ভারত।

গত ম্যাচে লাল কার্ড দেখার কারণে এদিন ছিলেন না শুভাশিস। তার অভাব বুঝতে দেননি সানা সিং এবং মন্দার দেশাই। ভারতের মিডফিল্ড অঞ্চলে অপুইয়া দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন। দুটো উইং থেকে মনবীর এবং মন্দার টানা আক্রমণ করে যান। দুটি গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েও নেপাল কিন্তু লড়াই ছাড়েনি। কিন্তু এদিন সবদিক থেকেই ভারত সুযোগ দেয়নি নিজেদের পড়শি দেশকে। সেই ২০১৫ সালের পর আবার সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত।

সেবার নিজেদের ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর দল। একটি গোল করেছিলেন সুনীল, অপরটি জেজে। আজও গোল করলেন সুনীল। তিনি যে এখনও ভারতীয় ফুটবলের হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা সেটা যেন রোজ প্রমাণ করে চলেছেন।

ম্যাচের একেবারে শেষদিকে তিন নম্বর গোল করে নেপালের সব আশা শেষ করে দেন পরিবর্ত হিসেবে নামা সাহাল আব্দুল সামাদ। কথায় বলে ভাগ্য সাহসীদের সহায় হয়। এই কথাটা ভারতীয় ফুটবল দলের জন্য একেবারে প্রযোজ্য। ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হলেন সুনীল ছেত্রী।