দার্জিলিং: একদিকে খাড়া পাহাড়। পাহাড়ের ঠিক পাদদেশে পরপর সাজানো ছোট্ট ছোট্ট সুইস কটেজ। সামনে সুইমিং পুল। যেদিকে চোখ যাবে সবুজের সমারোহ। কার্শিয়াংয়ের একটা ছোট্ট গ্রাম এটি। তবে কার্শিয়াংয়ের মতো লোকের ভিড় এখানে নেই। চারপাশে শুধু নীল আর সবুজ, আবার কখনও কুয়াশা। এমন বিদেশি কোনও গ্রামের দৃশ্য হয়তো পোস্টকার্ড ল্যান্ডস্কেপে দেখেছে অনেকে। কিন্তু উত্তরবঙ্গেও এমন একটি জায়গা আছে যেখানে এলে মনে হবে যেন সুইজারল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। ভ্রমণপিপাসু হলে আপনার জন্য একটি সেরা ডেস্টিনেশন বেলটার।
কার্শিয়াংয়ের এই ছোট্ট গ্রাম এতদিন কেউ জানতই না। এমনিতেই চা বাগানের মাঝে এই গ্রাম ছবির মতে সুন্দর লোকেশন। তবে এটি নতুন করে পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে সুইস কটেজ ও সুইমিং পুলের নির্মানে। দু’দিকে মহারানি পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান। সারাক্ষণ মেঘের আনাগোনা, পাখির ডাক আর মন ভুলিয়ে দেওয়া প্রকৃতি। বেলটার রিভারসাইড রিসর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সুইমিং পুল। চারদিকে কটেজ আর মাঝখানে সুইমিং পুল। সন্ধ্যে হলে রিসর্টের আশেপাশে গ্রামের রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। গিয়ে বসুন নদীর ধারে। আর রাতে বনফায়ার হলে তো মজা দ্বিগুণ।
আরও পড়ুনঃ পর্যটক টানতে বিরাট উদ্যোগ! নতুন সাজে সাজছে জনপ্রিয় এই বিশাল পার্ক, দেখুন তো চেনেন কিনা…
কিভাবে বুকিং করবেন?
বেলটার গ্রামের এই কটেজগুলি জিটিএ পরিচালিত। বুকিং করতে হবে জিটিএ-এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কিংবা ফোন করে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার একেবারেই কাছে এই ৫ অভূতপূর্ব জায়গা! আপনি না গেলে বড় মিস করবেন, ছোট্ট ছুটিতে হোক ডেস্টিনেশন
কীভাবে আসবেন: প্রথমে ট্রেনে এনজিপি বা প্লেনে বাগডোগরা। সেখান থেকে কার্শিয়াং হয়ে মার্গারেট হোপ চা বাগানের দিকে নেমে আসতে হবে খারাই রাস্তা ধরে। রাস্তার পাশেই বড় বড় করে ফলকে লেখা মার্গারেট হোপ। সেই রাস্তা ধরে সোজা এসে ধাক্কা খান বেলটার রিভারসাইড রিসর্টে। কিংবা টুং পর্যন্ত টয়ট্রেনে এসে সেখান থেকে গাড়ি রিসার্ভ করে এখানে আসতে পারেন।
বেলটার রিভারসাইড রিসোর্ট এর তত্ত্বাবধায়ক অরুণ গিরি বলেন, “পর্যটকরা এই জায়গা পছন্দ করছে। পাহাড়ের মাঝখানে আমাদের এই গ্রামের এই রিসর্ট। একবার এলে বারবার আসতে চাইবেন।” পর্যটক অনিল চন্দ্র সাহা বলেন, “খুবই অসাধারণ জায়গাটি। ভাল জায়গা, খুব ভাল পরিবেশও অত্যন্ত সুন্দর। সুযোগ পেলে আবার আসব।”
অনির্বাণ রায়