এপ্রিল মাস চলছে এবং ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রার পারদ বাড়তে শুরু করেছে। গরম বাড়ার পাশাপাশি অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৪০-৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে। গ্রীষ্মের আগমনে বাজারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদাও বেড়েছে।সাধারণত, একটি এসি কিনতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়, তবে এসি বাড়িতে আনার সময় আরও বেশি কিছু অতিরিক্ত খরচ করতে হবে।এখানে আমরা বিদ্যুতের বিল বা রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলছি না, তবে এসি লাগানোর সময়, কিছু পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় তা অনেকেই জানেন না।যাঁরা এসি লাগানোর কথা ভাবছেন, তাঁদের এসির খরচ ছাড়াও এটির ইনস্টলেশনের জন্য ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে।Flipkart এবং Amazon-এর মতো ই-কমার্স সাইট বা কোম্পানির রিটেল শোরুম থেকে বা অন্য কোনও সাধারণ খুচরো বিক্রেতার কাছ থেকে এসি কিনলেও এই খরচ থেকে মুক্তি মিলবে না।কোম্পানিগুলো ভারি ইনস্টলেশন চার্জ নেয়। প্রকৃতপক্ষে, এসির ব্যাপক চাহিদার কারণে, ইনস্টলেশন এবং সার্ভিস চার্জও উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন বেশিরভাগ এসি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি এসি প্যাকেজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে।পরিবর্তে, কোম্পানিগুলি এই ডিভাইসগুলির জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে আলাদা ভাবে চার্জ নিচ্ছে বা গ্রাহকদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। কোম্পানিগুলি এই সরঞ্জামগুলি ইনস্টলেশন প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত করেছে যা গ্রাহকদের আলাদা ভাবে কিনতে হবে।আসলে এসি কেনার সময় অতিরিক্ত চার্জ সম্পর্কে তখনই জানা যাবে যখন এটি কেনা হয়। কোম্পানি বা ডিলার এই অতিরিক্ত খরচের কথা আগে থেকে বলে দেয় না।এতে এসির সঙ্গে সংযুক্ত অতিরিক্ত পাইপ, জলের পাইপ, হ্যাঙ্গার, ওয়্যার এবং ডেলিভারি ইত্যাদির খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জেনে নিন কিসে কত খরচ হবে।১. ডেলিভারি চার্জ: ডিলাররা বাড়িতে এসি পৌঁছে দিতে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয়। ২. ইনস্টলেশন চার্জ: কোম্পানির এজেন্টরা এসি ইনস্টলেশনের জন্য ১,১০০ থেকে ১,৫০০ টাকা চার্জ করে।৩. ওয়াল মাউন্ট: দেয়ালে স্প্লিট এসির আউটডোর ইউনিট ঠিক করতে ওয়াল মাউন্ট ব্যবহার করা হয়। এর জন্যও গ্রাহকদের প্রায় ৮৫০ টাকা দিতে হবে।৪. পাইপ: কোম্পানিগুলি ৩ মিটার পর্যন্ত বিনামূল্যে তামার পাইপ সরবরাহ করে। যদি আরও পাইপের প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতি ৩ মিটার পাইপের জন্য আপনাকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করা হতে পারে।৫. ড্রেনেজ পাইপ: প্লাস্টিকের ড্রেনেজ পাইপের জন্য গ্রাহককে ৫০০ টাকা দিতে হবে। ৬. পাওয়ার প্লাগ: পাওয়ার প্লাগ বাজারে পাওয়া যায় ১০০-১৫০ টাকায়।
