Tag Archives: Agriculture and Farming

Agriculture News: টবেই হবে ব্রকলি! অবাক হবেন না! জেনে নিন পদ্ধতি

উত্তর দিনাজপুর: ব্রকলি একটি পুষ্টিকর সবজি যা দেখতে অনেকটা ফুলকপির মত। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন সি ,ক্যারোটিন ও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। এমনকি ক্যান্সারের প্রতিরোধক এই ব্রকলি , তবে কিভাবে বাড়িতে সামান্য জায়গায় এই ব্রকলি চাষ করবেন জানেন কি?

আপনি চাইলে বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদের অল্প জায়গায় টবেও ব্রকলি চাষ করতে পারেন। তবে ভাল ফসল পেতে প্রথমেই ব্রকলির ভাল জাত নির্বাচন করতে হবে। ব্রকলির উল্লেখযোগ্য জাত গুলো হচ্ছে- টপার, ডান্ডি, সপ্রডিটিং, গ্রিন ডিউক, ক্রুসেডার, ওয়ালথাম ,গ্রিন মাউন্টেইল, ইতালিয়ান গ্রিনইত্যাদি জাত ।

আরও পড়ুন: ১০০০০ টাকার মাসিক SIP মাত্র ৫ বছরে পরিণত হয়েছে ১৯ লক্ষ টাকায়! এই স্মলক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডের কথা জানা আছে তো?

কৃষিবিদ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি জানান, ব্রকলি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এমন কি এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক। তবে এই ব্রকলি সূর্যের ভীষণ তাপ বা রোদ সহ্য করতে পারে না। তার জন্য গ্রীনহাউজ করে এই ব্রকলি চাষ করা যেতে পারে। হালকা নেট দিয়ে সামান্য রোদ এবং সামান্য ছায়াযুক্ত জায়গায় এই ব্রকলি চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

কৃষিবিদ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি আরো জানান, এই ব্রকলি পরিচর্যার জন্য জমিতে সেচ, চাপান ওগোবর, টিএসপি ও খৈল দিয়ে সার ও মাটি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। অথবা পাতা পচা সার বা গোবর সার, বালি ও মাটি মিশিয়ে ব্রকলির বীজতলা তৈরি করে নিতে পারেন।

মনে রাখবেন এই ব্রকলি চাষের জন্য মাটি সব সময় নরম তুলতুলে থাকলে তবেই সবজির ভাল ফলন হয় এবং তাড়াতাড়ি বাড়ে। তবে এই ব্রকলির ভালো ফলন পেতে বীজতলায় চারা তৈরি করে পরে মূল টবে লাগাতে হবে। বীজ রোপনের পর চারা গজাতে ৩/৪ দিন সময় লাগে । ৮/৯ দিন বয়সে চারা মূল টবে লাগানোর উপযূক্ত হয়। তবে ৩/৪ সপ্তাহের সুস্থ চারা সার ও মাটি ভরা টবে লাগলে ভালো হয়।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট স্কিম: ১০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগের সুদ হিসেবে পাওয়া যেতে পারে ৪.৫০ লক্ষ টাকা

তবে ব্রকলি চাষের জন্য যে টব নির্বাচন করবেন সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যেন টব ছোট না হয়ে যায় কারন এটি দ্রুত বাড়ে ও আকারে মোটামুটি মাঝারি হয় তাই ৫ লিটার পাত্রের সমান টব লাগাবেন।টব সব সময় আগাছা মুক্ত রাখুন আর মাটি ঝুরঝুরে করে দিন। আর পরিমান মত জৈব সার ব্যবহার করুন এবং সার প্রয়োগের পরে জল দিতে ভুলবেন না।

সাধারনত শুঁয়া পোকা ও জাব পোকা ব্রকলির ক্ষতি করে। ব্রকলি সাধারণত চারা রোপণের ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে সবজিটি খাবার উপযোগী হয়। এটি সংগ্রহের সময় প্রথমে ফুলের উপরের অংশটা সাবধানে কেটে নিবেন তাহলে পাতার গোড়া থেকে আবার ফুল বের হবে যা পরবর্তীতে সংগ্রহ করতে পারবেন। এভাবে কিছু নিয়ম মেনে ব্রকলি চাষ করলে ভালো ফলন পাবেন।

পিয়া গুপ্তা

Dragon Fruit: ফল নয়, এই গাছের চারা বিক্রি করেই মালামাল কলেজ পড়ুয়া! খুব সহজে চাষ করতে পারেন আপনিও

উত্তর দিনাজপুর: ক্যাকটাস জাতীয় এই গাছ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামেও হচ্ছে চাষ। শুধু কৃষকরা নয় এখন স্কুল ও কলেজের পড়ুয়ারাও এই ফল চাষে ঝুঁকছেন । ইউটিউব দেখে এই ড্রাগনের ফল চাষ করে ও তার চারা বিক্রি করে মালামাল এক কলেজ পড়ুয়া।

ড্রাগনের চারা বিক্রি করে বাণিজ্যিকভাবে ভাল লাভের মুখ দেখছেন কলেজ পড়ুয়া অসিত সিংহ। চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিগছ এলাকার বাসিন্দা অসিত সিংহ বছর দুয়েক আগে ইউটিউব দেখে শখের বসে ড্রাগন চারা রোপণ করেন। ফলন ভাল পাওয়ায় বাড়িতে পড়ে থাকা ২ কাঠা জমিতে বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে বড় আকারে ড্রাগন ফলের চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:  ২৭ বছর বয়সেই ৯৮০০ কোটির মালিক! মাত্র ৩ মাসেই… চিনে নিন দেশের সর্বকনিষ্ঠ কোটিপতিকে

অসিত সিংহ জানান, ‘‘২ বছর আগে ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষের চিন্তাভাবনা করি। বর্তমানে ভালই ফল ধরছে।’’ আর সেই ফল পাড়াতে এবং লোকাল বাজারে বিক্রয় করে আয় ও হচ্ছে বেশ। ড্রাগন চাষ করে লাভবান হতে পারে চাষিরাও। বাজারে এখন প্রতি কেজি ড্রাগন ফল পাইকারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেকেই এখন তার কাছ থেকে ড্রাগনের চারা সংগ্রহ করে নিজেরাই চাষাবাদ শুরু করেছে।

অসিত বলেন, এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের উপযোগী ইউটিউবে এসব দেখে আমি উদ্বুদ্ধ হই। ২ বছর আগে পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু ড্রাগনের চারা লাগিয়ে চাষ শুরু করি। চারা রোপণের এক বছর পর গত বছর ফল বিক্রি করেছি ।

এবছর প্রায় এক হাজার চারা ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি । লাভের মুখ দেখায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করি। তিনি বলেন, এই সাফল্য দেখে চলতি বছর নিজের বাড়ির ছাদে প্রায় পাঁচ শো কলম চারা বেধেছি । আশা করছি এ বছর মোটা অঙ্কের মুনাফা হবে ।

পিয়া গুপ্তা

Farming Tips: কৃষিতে আশার আলো! মাত্র ৪ বিঘা জমিতে এই ফসল চাষ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয়

কৃষিক্ষেত্রে বর্তমানে প্রথাগত চাষবাসের পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কৃষকরাও সনাতন পদ্ধতিতে কৃষিকাজ না করে নানা অর্থকরী ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন, যাতে কম খরচে অনেক বেশি লাভ হবে। বিহারের কৈমুর জেলায় কৃষকরা ধান ছাড়া নানা অর্থকরী ফসল চাষ করে ভাল লাভ করছেন। কৈমুর জেলার ভগবানপুর ব্লকের রামগড় গ্রামের বাসিন্দা কৃষক রাকেশ কুমার টম্যাটো চাষ করছেন। গত সাত বছর ধরে তিনি নিজের চার বিঘা জমিতে টম্যাটো চাষ করে ভাল পরিমাণ টাকা আয় করছেন।

কৃষক রাকেশ কুমার জানিয়েছেন যে, ২০১৬ সাল থেকে তিনি টম্যাটো চাষ করছেন। ঐতিহ্যবাহী ফসল চাষে লাভ কম হওয়ায় তাঁকে অর্থকরী ফসল চাষের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে। বাজারে সব সময়ই টম্যাটোর চাহিদা থাকে। সাধারণত কৃষকরা নভেম্বরের শেষের দিকেই টম্যাটো চারা রোপণের জন্য বীজ প্রস্তুত করতে শুরু করেন।

জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চারা রোপণ শুরু হয়। কিছু কৃষক রয়েছেন, যাঁরা সেপ্টেম্বর মাসে রোপণ শুরু করেন। এর জন্য জুলাইয়ের শেষে নার্সারি প্রস্তুত করা হয়। টম্যাটো গাছ অগাস্ট মাসের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বপন করা যেতে পারে। তবে মে মাসে রোপণ করার জন্য মার্চ এবং এপ্রিল মাসেই চারা তৈরি করতে হয়।

আরও পড়ুন: চলতি বছরে হুলস্থূল ফেলেছে এই কয়েক ব্যাঙ্কের নিয়ম, সময় এখনও পেরোয়নি, দেখে নিন বছর ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই

আরও পড়ুন: আজই সেরে নিন এই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, না হলে হতে পারে বিপুল টাকার ক্ষতি

রাকেশ বলেন, এখন আধুনিক কৃষিপদ্ধতির জন্য সবজি চাষের আর কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। মরশুম অনুযায়ী এখন আর সবজি চাষ করা হয় না। তবে এতে ফসলের পরিমাণের উপর প্রভাব পড়ে। রাকেশ জানান যে, তিনি চার বিঘা জমিতে টম্যাটো চাষ শুরু করেছিলেন সাত বছর আগে। প্রতি মরশুমে টম্যাটো চাষ করে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। টম্যাটো চাষের জন্য কুদরা, ভবুয়া থেকে বীজ আনতে হয়। তিনি ভবুয়া ও ভগবানপুরের বাজারে টম্যাটো চালান হয়। এই বছর আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে চাষে। তবে প্রতি বছরই তাঁরা এখন টম্যাটো চাষ করে এবং এটিই তাঁদের পরিবারের জীবিকা।