Tag Archives: Application

Bankura News: নজির গড়লেন অভাবী বাঁকুড়ার ছেলে, অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ফুড ডেলিভারি অ্যাপ বানালেন IIT প্রাক্তনী

বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগে নিজস্ব একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ তৈরি করে তাক লাগিয়েছিলেন বাঁকুড়ার যুবক, আইআইটি প্রাক্তনী সুজয় বাগ। এবার সেই অ্যাপের মাধ্যমেই অভুক্তদের পেট ভরাতে উদ্যোগী হয়েছে বাঁকুড়ার এই যুবক।

ছোট থেকে অভাবে মানুষ হয়েছেন তিনি। সুজয়ের বাবা একজন কৃষক ছিলেন, সংগ্রাম করে পড়াশোনা করিয়েছিলেন ছেলেকে। নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে আইআইটির স্বপ্ন পূরণ করেন সুজয়।

আরও পড়ুন: কোথাও মার খাচ্ছেন প্রার্থী, কোথাও আক্রান্ত সাংবাদিক! আত্মরক্ষায় হেলমেট পরে নজির গড়লেন ভোটার

কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বণচিংড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সুজয়। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ না পেলেও, মেধাবী সুজয় আইআইটি খড়্গপুর থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেটা সায়েন্সের উপরে গবেষণামূলক কাজ করেন। পড়াশোনা করতে করতেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ‘স্টার্ট আপ’ করার। তবে বাড়ির আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় চাকরি করতে বাধ্য হন তিনি। তবে থেমে না থেকে একটি ফুট ডেলিভারি অ্যাপ তৈরি করেন সুজয়, যার নাম ‘সে নো ক্যাশ’। এবার এই অ্যাপের মাধ্যমেই অভুক্তদের পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন বাঁকুড়ার এই ছেলে। এবং নাম রেখেছেন, ‘আপনারা খেলে অভুক্তরাও খেতে পারবেন’।

বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি এবং ভারতবর্ষের ‘হাঙ্গার ইনডেক্স’-এর কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত। সুজয় বাগ জানিয়েছেন, অ্যাপ ব্যবহার খাবার অর্ডার করার পর কয়েন কালেক্ট করতে পারবেন গ্রাহক। সেই কয়েনের মাধ্যমেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন এনজিওর তত্ত্বাবধানে খাবার পৌঁছে যাবে অভুক্তদের কাছে। এতে ব্যবহার করা হবে কোম্পানির লভ্যাংশ। ইতিমধ্যেই একটি সাত দিনব্যাপী ‘ক্যাম্পেন’ শুরু করেছেন সুজয় বাগ। বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় টোটোর মাধ্যমে ঘুরে করছেন এই প্রচার। বলাই বাহুল্য, এই পুরো প্রজেক্টটিকে রূপায়িত করতে যোগাযোগ করা হয়েছে বাঁকুড়ার বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে।

সুজয়ের উৎসাহ এবং বাঁকুড়ার মানুষের সদিচ্ছায় খাবার অর্ডার করার মাধ্যমে, অভুক্তদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার লড়াই শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই, এমনটাই জানিয়েছেন সুজয়। মাত্র ১১ থেকে ১২ মাসের মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম হিসেবে ‘সে নো ক্যাশে’ কাজ করছেন প্রায় ২৫ জন। এছাড়াও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এই অ্যাপ্লিকেশন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী