Tag Archives: Food Delivery App

Woman physically assaulted: লজ্জা! ডেলিভারি পার্টনারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ফের প্রশ্নের মুখে দেশের নারী নিরাপত্তা

আহমেদাবাদ: মহিলাদের নিরাপত্তার কারণে দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছে৷ কিন্তু কোনও রকম সমাধান হচ্ছে কি? দেশের একের পর এক ঘটে চলা নারী নির্যাতন ও হেনস্তার ঘটনায় সমাধানের কোনও নমুনা দেখা যাচ্ছে না৷ এবার ফুড ডেলিভারি অ্যাপের একজন ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন এক মহিলার৷

ঘটনাটি ঘটে আহমেদাবাদে৷ তিনি বেশ রাতের দিকেই জ়োম্যাটো থেকে একটা কফি অর্ডার করেন৷ বৃষ্টিপাতের কারণে বেশ কিছুক্ষণ দেরিও হচ্ছিল৷

আরও পড়ুন: রক্ষকই যখন ভক্ষক, থানায় নাতি ও বৃদ্ধাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ, ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ

সেই সময় আহমেদাবাদে মুষল ধারায় বৃষ্টিপাত হচ্ছিল৷ ফলে বেশিরভাগ ক্যাফেই বন্ধ ছিল৷ প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেরিতে এসেছিল ডেলিভারি বয়টি৷

আরও পডুন: লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা…! কলকাতার উপকণ্ঠে বাড়িতে আটকে আয়াকে যৌন নির্যাতন! কাঠগড়ায় বিজেপি নেতা

কিন্তু ডেলিভারি ব্যক্তিটি পৌঁছে, মহিলাটির সঙ্গে নানারকম অশালীন কথা বলতে শুরু করে৷  মহিলাটি যৌন হেনস্থারও শিকার হন৷

এই দুঃস্বপ্নের মতো ঘটনাটির কথা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, ‘‘ডেলিভারি বয়টি বারবার বলছিলেন আমার আসতে দেরি হয়ে গিয়েছে৷ তারপর খুব খারাপ ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল৷ আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল৷ তারপর উনি আমাকে নানাভাবে যৌন হেনস্তা করেন৷’’

ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি৷ তিনি আবার মহিলাটিকে রাতে ফোনও করেছিলেন৷ তিনি পরে অ্যাপের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানান৷

এই ঘটনায় তিনি রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন৷ জোম্যাটো এই ডেলিভারি পার্টনারকে বরখাস্ত করেছেন৷ তাঁর লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে৷

Bankura News: নজির গড়লেন অভাবী বাঁকুড়ার ছেলে, অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ফুড ডেলিভারি অ্যাপ বানালেন IIT প্রাক্তনী

বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগে নিজস্ব একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপ তৈরি করে তাক লাগিয়েছিলেন বাঁকুড়ার যুবক, আইআইটি প্রাক্তনী সুজয় বাগ। এবার সেই অ্যাপের মাধ্যমেই অভুক্তদের পেট ভরাতে উদ্যোগী হয়েছে বাঁকুড়ার এই যুবক।

ছোট থেকে অভাবে মানুষ হয়েছেন তিনি। সুজয়ের বাবা একজন কৃষক ছিলেন, সংগ্রাম করে পড়াশোনা করিয়েছিলেন ছেলেকে। নিজের বুদ্ধিমত্তা এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে আইআইটির স্বপ্ন পূরণ করেন সুজয়।

আরও পড়ুন: কোথাও মার খাচ্ছেন প্রার্থী, কোথাও আক্রান্ত সাংবাদিক! আত্মরক্ষায় হেলমেট পরে নজির গড়লেন ভোটার

কালপাথর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বণচিংড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সুজয়। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো পরিবেশ না পেলেও, মেধাবী সুজয় আইআইটি খড়্গপুর থেকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেটা সায়েন্সের উপরে গবেষণামূলক কাজ করেন। পড়াশোনা করতে করতেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয় ‘স্টার্ট আপ’ করার। তবে বাড়ির আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় চাকরি করতে বাধ্য হন তিনি। তবে থেমে না থেকে একটি ফুট ডেলিভারি অ্যাপ তৈরি করেন সুজয়, যার নাম ‘সে নো ক্যাশ’। এবার এই অ্যাপের মাধ্যমেই অভুক্তদের পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন বাঁকুড়ার এই ছেলে। এবং নাম রেখেছেন, ‘আপনারা খেলে অভুক্তরাও খেতে পারবেন’।

বাঁকুড়ার আর্থসামাজিক পরিস্থিতি এবং ভারতবর্ষের ‘হাঙ্গার ইনডেক্স’-এর কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত। সুজয় বাগ জানিয়েছেন, অ্যাপ ব্যবহার খাবার অর্ডার করার পর কয়েন কালেক্ট করতে পারবেন গ্রাহক। সেই কয়েনের মাধ্যমেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন এনজিওর তত্ত্বাবধানে খাবার পৌঁছে যাবে অভুক্তদের কাছে। এতে ব্যবহার করা হবে কোম্পানির লভ্যাংশ। ইতিমধ্যেই একটি সাত দিনব্যাপী ‘ক্যাম্পেন’ শুরু করেছেন সুজয় বাগ। বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় টোটোর মাধ্যমে ঘুরে করছেন এই প্রচার। বলাই বাহুল্য, এই পুরো প্রজেক্টটিকে রূপায়িত করতে যোগাযোগ করা হয়েছে বাঁকুড়ার বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে।

সুজয়ের উৎসাহ এবং বাঁকুড়ার মানুষের সদিচ্ছায় খাবার অর্ডার করার মাধ্যমে, অভুক্তদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার লড়াই শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই, এমনটাই জানিয়েছেন সুজয়। মাত্র ১১ থেকে ১২ মাসের মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম হিসেবে ‘সে নো ক্যাশে’ কাজ করছেন প্রায় ২৫ জন। এছাড়াও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এই অ্যাপ্লিকেশন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Food Delivery Boy Cried: সময়ে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে তিনবার দুর্ঘটনা, গ্রাহকের সামনে কেঁদে ফেলল ডেলিভারি বয়

#নয়াদিল্লি: সামান্য কিছু টাকা বেতন। তা দিয়ে ভাল করে সংসারও চলে না। তবে চাকরির এই মন্দার বাজারে সেটাই বা কে দেয়! সামান্য কটা টাকা বেতনের চাকরিতেও এত চাপ! সময়মতো খাবার পৌঁছে দিতে হবে। সে যেভাবেই হোক! না হলে গ্রাহকের তিরস্কার, বস-এর কটূ কথা! কত কী সামলাতে হয় ডেলিভারি বয়দের।

এখ অনেকেই Zomato এবং Swiggy-র মতো ফুড অ্যাগ্রিগেটর থেকে খাবার অর্ডার করেন। ডেলিভারি বয় সময়মতো দরজায় খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে অনেকে তিরস্কার করেন। অনেকেই জেলিভারি বয়দের দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেন না। জানতেই চান না, কোনো দুর্ঘটনার কারণে কি দেরি হয়েছিল? তাঁর পরিবারে কোনও সমস্যা হয়েছিল?

আরও পড়়ুন- পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ রান্নার উনুনে ভাঙচুর, তারপর যা হল

কমেডিয়ান সাহিল শাহ টুইটারে পোস্ট করেছেন, কীভাবে একজন ফুড ডেলিভারি বয় তাঁর সামনে কেঁদে ফেলেছিলেন। কারণ খাবার সরবরাহ করার সময় তাঁর তিনবার দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সাহিলের পোস্ট এখন ভাইরাল। গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ডেলিভারি বয়দের প্রতি আচরণ করাউচিত সব সময়।

সাহিল শাহ লিখেছেন, ‘আজ একজন ফুড ডেলিভারি বয় আমার সামনে এসে কেঁদে ফেলে। কারণ ও আমাদের খাবার ডেলিভারি করতে গিয়ে ৩ বার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আমি ওকে জল দিই। ওকে কিছু টাকা টিপ দিই। তারপর ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই{ কারণ আমার 500 টাকার খাবার ওর জীবনের চেয়ে বেশি দামি হতে পারে না। যারা ডেলিভারি করে তাদের প্রতি দয়া করে ভাল ব্য়বহার করুন।

আরও পড়ুন- মেঘের উপর দিয়ে চলবে ট্রেন! পৃথিবীর উচ্চতম রেলসেতু তৈরি হচ্ছে ভারতের এই জেলায়!

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্ষুধার্ত হলে এবং খাবার ডেলিভার হতে দেরি হলে ফুড ডেলিভারি বয়ের উপর রাগ দেখাবেন না। খাবার আপনার কাছে পৌঁছানোর জন্য কেউ তো নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে পারে না! আপনি যতই ক্ষুধার্ত থাকুন না কেন, কারও জীবনের মূল্যে আপনার কাছে খাবার পৌঁছক, সেটা নিশ্চয়ই চাইবেন না! তাই ডেলিভার বয়দের সমস্যাগুলোও সবার বোঝা উচিত।