আষাঢ় মাস শুরু হয়েছে৷ এই মাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। একই সঙ্গে এই মাসের অমাবস্যারও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৫ তম দিনটিকে অমাবস্যা বলা হয়।জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই দিনটির আলাদা স্থান রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে পূর্বপুরুষদের নৈবেদ্য নিবেদন করলে তারা খুশি হন এবং আপনাকে সুখ ও সমৃদ্ধি দিয়ে আশীর্বাদ করেন।এ বছর আষাঢ় অমাবস্যা পড়ছে শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪। জ্যোতিষীদের মতে, এই অমাবস্যা অনেক রাশির মানুষের জন্য খুবই অশুভ হতে চলেছে। তাদের মধ্যে অনেকে সুখের ধন পাবেন, আবার অনেক রাশির ভাগ্য উজ্জ্বল হবে। ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী পণ্ডিত যোগেশ চৌরে থেকে জেনে নিন ভাগ্যবান রাশিগুলি কোনটি?মিথুন রাশি: অমাবস্যা এই রাশির জাতকদের জন্য খুব শুভ হতে চলেছে। এই সময়ে আপনার উন্নতির সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও, আপনি যদি শনি দ্বারা বিচলিত হন বা ঢাইয়ার প্রভাব থাকে, তবে এটি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে, আপনি নতুন লোকের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, যা আপনার জন্য উপকারী হবে।মকর রাশি: এই রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য নানা দিক থেকে বিশেষ হতে চলেছে অমাবস্যায় । প্রকৃতপক্ষে, শশ যোগ গঠন এই রাশির জাতকদের জন্য বন্ধ ভাগ্যের তালা খুলতে পারে। এই সময়ে আপনি নতুন সুখ পেতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার আর্থিক অবস্থারও উন্নতি হতে পারে, যা আর্থিক লাভ বয়ে আনবে।কুম্ভ রাশি:এই রাশির জাতকরাও অমাবস্যায় বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। বিশেষ করে আপনার কাজে সাফল্যের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত আপনি আপনার পরিশ্রমের সুফল না পেয়ে থাকেন তবে আপনি এর সুফল পাবেন। এছাড়াও, আপনি যদি একটি নতুন চাকরি খুঁজছেন তবে আপনি এই ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ পেতে পারেন।
*শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। আগামী কয়েকদিন পরেই জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। কিন্তু তার আগে রয়েছে আষাঢ় মাসের অমাবস্যা। রথযাত্রার আগে এই দিনটিও জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।*জ্যোতিষ ও পঞ্জিকাবিদ পরান ঠাকুর জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুলাই শুক্রবার আষাঢ় মাসের অমাবস্যা তিথি লাগছে, থাকবে শনিবার পর্যন্ত। এদিন কয়েকটি নিয়ম পালন করলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মুক্তি পাওয়া যায় শনির রোষ থেকেও।*আষাঢ় মাসের অমাবস্যায় নদী অথবা পুকুরে সকাল সকাল স্নান করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য প্রদান করা উচিত। স্নান সেরে দক্ষিণ দিকে মুখ করে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে জলে কালো তিল নিবেদন করতে হয়। তারপর কুল দেবতার পুজো অবশ্যই করতে হবে। তারপর এদিন পূর্বপুরুষকে স্মরণ করে সাধ্যমত দান-ধ্যান করতে হয়। তাহলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি মেলে।*পরান ঠাকুর জানিয়েছেন, এদিন নিয়ম মেনে পুজো করলে শনিদেবের রোষ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। যাদের শনির দশা চলছে, তারা এদিন সন্ধ্যেবেলায় অশ্বত্থ গাছের নিচে একটি প্রদীপ জ্বালাবেন। তারপর পাঁচবার হনুমান চালিশা পাঠ করবেন। এতে বড় ঠাকুরের রোষ থেকে মুক্তি পাবেন।*এদিন কয়েকটি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়। সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন এই জ্যোতিষবিদ। তিনি জানিয়েছেন এই চিঠিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এই দিনটিতে অবশ্যই সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করা উচিত। এদিন নতুন বস্ত্র বা নতুন গয়না পরা উচিত নয়। কোনও শুভ কাজ শুরু না করাই ভাল।
