Tag Archives: Baba Loknath
Baba Loknath Dham: কচুয়াধামের বিশেষ আরাধণা, বাবা লোকনাথের পুজো যা ছাড়া সম্ভব নয়
বসিরহাট: বাবা লোকনাথ! জ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ, এক দীব্যপুরুষ। “রণে বনে জলে জঙ্গলে, যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব” – বাবা লোকনাথের এই উক্তিটি অনেকেই মনে প্রাণে জপে নিয়েছেন। লোকনাথের এই বাণী স্মরণ করে অনেকে কঠিন পরিস্থিতি ও দুর্গম পথও অতিক্রম করে এসেছেন। খুব সহজেই প্রসন্ন হন বাবা লোকনাথ। ভক্তদের সাহায্যের জন্য সর্বদা এগিয়ে থাকেন তিনি।
কথিত আছে, মন দিয়ে বাবা লোকনাথের নাম স্মরণ করলে, সত্যিই যে কোনও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অথচ তিনি কোনও দেবতা নন। জ্ঞানী, শাস্ত্রজ্ঞ, এক দীব্যপুরুষ যিনি নিজেকে কখনই ঈশ্বরের আসনে প্রতিষ্ঠা করতে চাননি। তাঁর না আছে তথাকথিত শিষ্যকুল, না আছে কোনও ধর্মীয় সংগঠন। স্রেফ ভক্তের বিশ্বাসে তিনি হয়ে উঠেছেন ভগবান।
আরও পড়ুনOld Temple History: হাজার বছরের পুরানো মন্দির, এলে ভক্তি বাড়বে, স্বাদ মিলবে ইতিহাসের, বাংলার কোথায়
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহাকুমার কচুয়ায় অবস্থিত লোকনাথ মন্দির। সেই মন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্ত পুজো দিতে উপস্থিত হন। ছুটির দিন ও বিশেষ তিথিতে ভিড় আরও বাড়ে। তবে কচুয়া লোকনাথ বাবার মন্দিরে কিভাবে যাবেন এবং পুজোর দেওয়ার নিয়ম জানেন কী! ঘরোয়া সাধারণ উপকরণেই সম্পন্ন করা হয় বাবা লোকনাথের পুজো এবং উপাসনা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কচুয়া গ্রামে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম হয়েছিল তাঁর। অনেকে মনে করেন বাবা লোকনাথ হলেন স্বয়ং দেবাধিদেব মহাদেবের অবতার। পুজোর মূল ফুল হতে হবে সাদা রঙের। যে কোনও সাদা ফুল তাঁর পুজোয় দেওয়া যায়। বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুজোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীল শাপলা বা নীল শালুক ফুল। তাঁর চরণে নিবেদন করুন এই ফুল। পুজোর জন্য প্রতিদিন মন্দির সকাল আটটায় খোলা হয় এবং দুপুর বারোটায় বন্ধ করা হয়। তারপর বিকেল তিনটায় খোলা হয় এবং রাত আটটায় বন্ধ করা হয়। প্রতিদিনই ভোগের ব্যবস্থা থাকে, পুজোর ব্যবস্থা আছে।
জুলফিকার মোল্যা
North 24 Parganas News: বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবসে ভক্তদের ভিড় চাকলা মন্দিরে, চলছে বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ
উত্তর ২৪ পরগনা: কয়েক হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্যে দিয়ে দেগঙ্গার চাকলায় শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথের ১৩৪ তম তিরোধান দিবসে অনুষ্ঠিত হল। বিশেষ পুজোয় করা হচ্ছে বিশ্ব শান্তিযোগ্য। ভোর থেকেই বাবা লোকনাথের কাছে পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে মন্দিরে। নিজেদের মনস্কামনা পূরণের পাশাপাশি পরিবারের সুখ শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে দেখা যায় আট থেকে ৮০ সকল বয়সের মানুষদের। রোদের তাপ ও গরমকে উপেক্ষা করেই দীর্ঘ লাইন দিয়ে সুশৃংখল ভাবে বাবা লোকনাথের মন্দিরে প্রবেশ করে পুজো দেন ভক্তরা।
এই বিশেষ দিনে ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখে, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও চোখে পড়ে মন্দির চত্বরে। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে আশা ভক্তদের কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল মন্দির কমিটির তরফ থেকে। ভক্তরা জানান, প্রতিবছর বাবা লোকনাথের টানে তারা আসেন এই চাকলা ধামে। বিশেষ পুজো ও প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে বাবা লোকনাথের আরাধনা করা হয় এ দিন। মন্দির চত্বরে এদিন বিশ্ব শান্তিযোগ্যেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে বহু ভক্ত পরিবার-পরিজনদের শুভ কামনায় প্রার্থনা করেন।
তিরোধান দিবস উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চাকলা মন্দির চত্বরও। এদিন বিশেষ ভোগেরও আয়োজন ছিল ভক্তদের জন্য। আগামী আরও দুদিন এই বিশেষ উৎসব চলবে বলেই জানা গিয়েছে মন্দির কমিটির তরফে। তিরোধান দিবস উপলক্ষে বাবা লোকনাথের কাছে পুজো দিতে জেলার পাশাপাশি নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসেছিলেন চাকলা মন্দিরে।
Rudra Narayan Roy