অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি: বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য এখন থেকে আপনার মুখই যথেষ্ট ৷ দিতে হবে না আপনাকে কোনও পরিচয় পত্র। এমনকী, আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে না আপনার বোর্ডিং পাসও। বহরে বাড়ছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। বেড়েছে উড়ানের সংখ্যাও। এখন দিনে ৩৩ জোড়া উড়ান চলাচল করে বায়ুসেনার অধীন বিমানবন্দরটিতে। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীর চাপও বাড়ছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বিমানবন্দরে প্রবেশের পথে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে বলে দাবি। কারণ এই বন্দরটিকে ডিজিটালি অ্যাডভান্স এয়ারপোর্টে রূপান্তরিত করার প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তৈরি ডিজি যাত্রা অ্যাপের (Digi Yatra App) মাধ্যমে বিমানবন্দরে প্রবেশের সুবিধা চালু রয়েছে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বিমানবন্দরেই। প্রথম পর্যায়ে কলকাতা, পুণে, হায়দরাবাদ, বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগডোগরা, রাঁচি, চেন্নাই, শ্রীনগর, ইনদওর, কোয়েম্বাটোর, রায়পুর, বিশাখাপত্তনম, ভুবনেশ্বর, গোয়ার মতো দেশের ১২টি বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা চালু হতে চলছে।
কীভাবে কাজ করবে এই প্রযুক্তি? বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সুবিধা পাওয়ার জন্য যাত্রীদের স্মার্টফোনে ডিজি যাত্রা অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। আধার কার্ডও লিঙ্ক করে রাখতে হবে অ্যাপে। টিকিট কাটার পর বোর্ডিং পাসটি ডিজি যাত্রা অ্যাপে আপলোড করতে হবে। বিমানসংস্থা ডিজি যাত্রা আইডি এবং যাত্রীদের তথ্য বিমানবন্দরে পাঠাবে। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় যাত্রীকে বোর্ডিং পাস বা ই-টিকেটের বারকোড স্ক্যান করতে হবে মেশিনে। বারকোড স্ক্যান করার পরে প্রযুক্তির মাধ্যমেই যাত্রী এবং ফ্লাইটের তথ্য নিশ্চিত করা হবে। ডিজি যাত্রা আইডি এবং টিকিট যাচাইয়ের পর প্রবেশপথের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে।
তবে, এক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে সিআইএসএফ যাত্রীর পরিচয় যাচাই করে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেবে। বিমানবন্দর কর্তাদের মতে, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে হয়, তার থেকে অর্ধেক সময়ে প্রবেশ করা যাবে। এদিকে, যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আরও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখন দিনে গড়ে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন এই বিমানবন্দর থেকে। সবমিলিয়ে বসার ব্যবস্থা রয়েছে ১১০০ জনের। এছাড়াও রয়েছে সদ্য চালু হওয়া ফুড কোর্ট ও রেস্তোরাঁ।