দক্ষিণ ২৪ পরগনা : নতুন এক পোকার উপদ্রবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মৌমাছি প্রতিপালকরা। কিভাবে তারা এই পোকার হাত থেকে বাঁচবেন। জানালেন নিমপীঠ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ। আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে এই পোকা প্রথম দেখা গেলেও বিগত দুই দশক ধরে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এর উপস্থিতি ও ক্ষয়-ক্ষতি দেখা যাচ্ছে। এদেশে প্রথম এই পোকার উৎপাত পরিলক্ষিত হয়।
প্রথম দিকে ইউরোপিয়ান মৌমাছির কলোনিতে এই পোকার আক্রমণ চোখে পড়লেও গত বছর থেকে ভারতীয় মৌমাছিতেও এই পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। দুই ২৪ পরগণা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মূলত মে-জুন থেকে আগস্ট-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর আক্রমণ সর্বাধিক। এই পোকার আক্রমণে কোনও কোনও জায়গায় মৌপালকদের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কলোনি নষ্ট হয়ে গেছে।
দিনের পর দিন এভাবে ক্ষতি করলেও এই পোকার হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় কিছু সাবধনতা অবলম্বন। মৌমাছি পালকদের যেমন নতুন কলোনি কেনার সময় এই পোকার উপস্থিতি আছে কিনা সেটা দেখে নেওয়া। দুর্বল কলোনিগুলকে কৃত্তিম খাবারের মাধ্যমে শক্তিশালী করে তোলা, মৌ-বাক্সের ফাটল দ্রুত মেরামত করা, বটম বোর্ড নিয়মিত পরিস্কার করা, সর্বোপরি বাক্সে পূর্ণাঙ্গ পোকা দেখলেই সেগুলিকে মেরে ফেলা-সহ নানা ধরনের সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে।
ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীনস্ত অল ইন্ডিয়া কো-অর্ডিনেটেড রিসার্চ প্রজেক্ট অন হানিবি এন্ড পলিনেটরসের বিজ্ঞানীরা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে এই পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য গবেষণা করে চলেছেন। এর পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই পোকার আক্রমণ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে মৌমাছি পালকদের।
সুমন সাহা