বিনোদন Bollywood Gossip: ৮টা প্রেম, ৩টে বিয়ে! তাঁকে নিয়ে ঝগড়া লেগে গিয়েছিল ২ সুপারস্টারের মধ্যে…তবুও স্বামীর কাছে খেতেন বেধড়ক মার Gallery April 26, 2024 Bangla Digital Desk বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমান৷ সত্তরের দশকে রীতিমতো দুনিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, গ্ল্যামার আর জৌলুসের দুনিয়ার পিছনে, ঠিক কেমন ছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন? কোন চরম সময় কাটাতে হয়েছিল তাঁকে৷ এই প্রতিবেদনে সেই পুরনো তথ্যই তুলে ধরব আমরা৷ অভিনয় বাদেও, তাঁর শরীরি আবেদনের ওম বার বার উষ্ণতা ছড়িয়েছে তাঁর ভক্তদের হৃদয়ে৷ আর রঙিন পর্দার আড়ালেও কিন্তু, তাঁর রূপমুগ্ধদের সংখ্যা কম ছিল না৷ অভিনয় জগতে আসার পরে একাধিক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে দেখা গিয়েছিল জিনাত আমনকে৷ কিন্তু, এমনই ভাগ্যের খেল, প্রতিবারই তাঁকে প্রতারিত হতে হয়। ১৯৭১ সালে, সেই যুগের সুপারস্টার দেবানন্দ, জিনাত আমানের প্রেমে পড়েন৷ সেই সময় তিনি দেবানন্দের ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ গানের মাধ্যমে দেশজোড়া জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। ওই সিনেমার পর থেকেই দেবানন্দ ও জিনাত আমানের বন্ধুত্ব শুরু। তবে সেই বন্ধুত্বেও এল তিক্ত সময়৷ জিনাত তখন তারকা৷ এক বলিউড পার্টিতে তিনি কথা বলছিলেন রাজ কপূরের সঙ্গে। আর সেই দৃশ্য দেখেই মেজাজ বিগড়ে যায় দেবানন্দের। জিনাত ও রাজ কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে সে সময় বহু আলোচনা হয়। জিনাতকে নিয়ে দেবানন্দ ও রাজ কাপুরের মধ্যে বিবাদের খবরও ছিল প্রতিটা গসিপ ম্যাগাজিনের পাতায় পাতায়। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিনাত আমানের আটটিরও বেশি সম্পর্ক ছিল। জিনাত আমানের নাম প্রথমে দেবানন্দের সঙ্গে জড়ায়। এরপর রাজ কপূরের সঙ্গে জিনাতের সম্পর্কের খবরও শিরোনাম আসতে থাকে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও জিনাত আমানের নাম জড়ায়। ১৯৭৮ সালে জিনাত আমান সঞ্জয় খানকে বিয়ে করেন। তবে গোপনে হওয়া এই বিয়ে বেশিদিন লুকিয়ে রাখতে পারেননি। তাঁদের সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসে এবং শীঘ্রই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, জিনাত আমান তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরেরও অভিযোগ আনেন। একবার জিনাত আমানকে তাঁর স্বামী সঞ্জয় খান এতটাই মারধর করেছিলেন যে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। এমনকি, জিনাতের মুখে অ্যাসিড ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। অবশেষে জিনাত আমান তাঁদের সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর জিনাত বহু বছর একাকী জীবনযাপন করেছিলেন। এর পরে তিনি মাজহার খানকে বিয়ে করেন। এই বিয়ের কথা অনেকেই জানেন না। কিন্তু এই বিয়ের পরও জিনাত আমানের প্রেম পূর্ণতা পায়নি। এই বিয়েও কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এরপর ৫৪ বছর বয়সে তৃতীয়বার বিয়ে করেন জিনাত আমান। ২০১২ সালে, জিনাত তার বয়সের চেয়ে ২১ বছর ছোট আমান খান্নাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়েও পূর্ণাঙ্গ সাফল্য পায়নি। বিয়ে ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। জিনাত আমান এখন ৭২ বছর বয়সে একাকী জীবনযাপন করছেন।
বিনোদন Bollywood Actress: বিয়ের আগে ‘সহবাসে’ ভয়! আদৌ ঠিক না ভুল? লিভ-ইন নিয়ে চমকে দেওয়া তথ্য ফাঁস জিনাতের Gallery April 13, 2024 Bangla Digital Desk বলিউড অভিনেত্রী জিনাত আমনকে আজও টিনসেল টাউনের আইকন৷ বয়স যে নিছকই একটা সংখ্যামাত্র তা তিনি একাধিকবার প্রমাণ করেছেন৷ এবার প্রথাগত ট্যাবু ভেঙে মুখ খুলে সকলকে চমকে দিলেন জিনাত আমন৷ পর্দায় সাহসী দৃশ্যে ঠিক যতটা সাবলীল ‘দম মারো দম’ গার্ল জিনাত, বাস্তবেও তিনি একইরকম৷ বিয়ের আগে লিভ-ইন, সহবাস নিয়ে এবার মুখ খুললেন জিনাত আমন৷ সুখী দাম্পত্যের কোন চাবিকাঠি রয়েছে জিনাতের কাছে তা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিভ-ইন নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী৷ ৭২ বছর বয়সী অভিনেতার নিজের মতামত নিয়ে মুখ খুলতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ জিনাত আমন লেখেন, আমার শেষ পোস্টে রিলেশনশিপ টিপস জানতে চেয়েছিলেন একজন৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমি নিজের মতামত শেয়ার করছি৷ এবং এটি আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত যে বিয়ের আগে অবশ্যই লিভ-ইন করা উচিত৷ জিনাত আরও বলেন, কেউ যদি রিলেশনশিপে থাকেন এবং বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে অবশ্যই তার আগে একসঙ্গে থাকা উচিত৷ আমি আমার সন্তানদেরও এই একই কথা বলেছি৷ কারণ কোনও একটা সম্পর্কে বাঁধা পড়ার আগে নিজেরা কতটা কমফোর্ট সেটাও দেখা উচিত৷ জিনাতের মতে, সারাদিনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা একসঙ্গে থাকাটা সেরা মনে হতেই পারে? কিন্তু একসঙ্গে বাথরুম শেয়ার করা, মন খারাপ থাকলে ঝড় সামলানো, রাতের খাবার নিয়ে সমস্যা এসব তখনই শুরু হয় যখন দুটো মানুষ একসঙ্গে থাক? তাই পুরো জীবনটা সুখে-শান্তিতে কতটা কাটাতে পারবেন, তা বিয়ের আগে বুঝে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি৷ সমাজ লিভ-ইন নিয়ে আজও কটাক্ষ করলেও আমার মনে হয় সবকিছুর উর্ধ্বে হল জীবন৷
বিনোদন Abhishek Bachchan: একটু বড় হও, তারপর…! অভিষেকের সঙ্গে রাত কাটানো নিয়ে অদ্ভুত দাবি বয়সে বড় নায়িকার Gallery November 23, 2023 Bangla Digital Desk ছোটবেলার গল্প মানেই অপ্রস্তুত হওয়া। আর বড় হওয়ার পর সেই গল্পগুলোই হাসির রসদ দেয়। অভিষেক বচ্চনের জীবনেও একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল। আর যা তিনি সর্বসমক্ষে নিজের মুখেই বলেছেন। আর ছোটবেলার সরল সেই আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। ছোট থেকেই বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সেটে যেতেন অভিষেক। আর বাবারই এক নায়িকাকে তাঁর খুব ভাল লাগত। যাকে বলে, ক্রাশ। আর তিনি হলেন, সুন্দরী জিনাত আমন। তাঁরই সঙ্গে পাঁচ বছরের অভিষেকের মজার কথোপকথনের গল্প জানা যায় এক সাক্ষাৎকারে। ১৯৮৩ সালে ‘মহান’ ছবির শ্যুটিংয়ে বাবার সঙ্গে হিমাচল প্রদেশ গিয়েছিলেন অভিষেক। রাতে খাওয়া দাওয়ার পর অভিষেক জানতে পারেন, তাঁকে একা শুতে হবে। তাতে বেশ ভয় পেয়ে যান তিনি। তখন জিনাত আমনকে গিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কে কীভাবে শোবে। মজার ছলে তিনি জিনাতের সঙ্গেই শুতে চান। তখন জিনাতের রসবোধের পরিচয় পান ছোট্ট অভিষেক। নায়িকা বলেন, ‘‘তুমি আরও একটু বড় হয়ে যাও, তারপর…।’’ শুধু তা-ই নয়, অভিষেক তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। ছোটবেলার গল্প বলে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে যান। একইসঙ্গে হেসেও ওঠেন নিজের সারল্যের কথা মনে করে। তবে সেই ঘটনার কথা বলে ক্ষমাও চান তিনি। খানিক অপরাধবোধেও ভোগেন অভিষেক। শৈশবের নির্বোধ মানসিকতাকেই দায়ী করেন অমিতাভ-পুত্র।