Tag Archives: brass utensils

Bankura News: ঘোলাটে ছাইরঙা জিনিসটাই হয় ঝকঝকে থালা, বাটি! কাঁসার বাসন তৈরির হয় কীভাবে জানেন? দেখলে মাথা ঘুরে যাবে

বাঁকুড়ার দুই বিখ্যাত কাঁথা শিল্প। একটি বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা গ্রামে, এবং অপরটি বাঁকুড়া শহরে। দুটির ইতিহাস এবং ঘরানা আলাদা
বাঁকুড়ার দুই বিখ্যাত কাঁসা শিল্প। একটি বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা গ্রামে, এবং অপরটি বাঁকুড়া শহরে। দুটির ইতিহাস এবং ঘরানা আলাদা।
বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা গ্রামে অর্ধ গোলাকৃতি আকারের কাঁসার টুকরো গুলিকে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে কিংবা মেশিনে চাপ দিয়ে থালার আকার দেওয়া হয়।
বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুরা গ্রামে অর্ধ গোলাকৃতি আকারের কাঁসার টুকরো গুলিকে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে কিংবা মেশিনে চাপ দিয়ে থালার আকার দেওয়া হয়।
তারপর সেই ঘোলাটে থালাটি পালিশ করবার মেশিনে রেখে কুড়ে কুড়ে আনা হয় চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা। শুধুমাত্র কাঁসার থালা জাতীয় পাত্র তৈরি হয় এই গ্রামে। নবদ্বীপে যায় অধিকাংশ কাঁসার বাসন। তারপর মহাজনেরা সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউর করেন বাসন গুলি।
তারপর সেই ঘোলাটে থালাটি পালিশ করবার মেশিনে রেখে কুড়ে কুড়ে আনা হয় চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা। শুধুমাত্র কাঁসার থালা জাতীয় পাত্র তৈরি হয় এই গ্রামে। নবদ্বীপে যায় অধিকাংশ কাঁসার বাসন। তারপর মহাজনেরা সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউর করেন বাসন গুলি।
এবার আসা যাক বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড। কামারপাড়া, লালবাজার। একসময় এই জায়গায় বাস ছিল ২০০ কাঁসা শিল্পী পরিবারের। সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০'এ।
এবার আসা যাক বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ড। কামারপাড়া, লালবাজার। একসময় এই জায়গায় বাস ছিল ২০০ কাঁসা শিল্পী পরিবারের। সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০’এ।
ছাঁচের তলায় গর্ত তৈরি করা হয়। এবার সেই গর্তের মধ্যে কাঁসা দিয়ে সেটাকে শুকিয়ে পালিশ করে তৈরি করা হয়। কয়লা, পাঁচ থেকে ছয়জন কারিগর, এবং বিনিয়োগ মিলিয়ে প্রতি কেজি কাঁসার বাসন কিংবা ঘটি বানাতে খরচ হয় ১৩০-১৪০ টাকা।
ছাঁচের তলায় গর্ত তৈরি করা হয়। এবার সেই গর্তের মধ্যে কাঁসা দিয়ে সেটাকে শুকিয়ে পালিশ করে তৈরি করা হয় বাসন। কয়লা, পাঁচ থেকে ছয়জন কারিগর, এবং বিনিয়োগ মিলিয়ে প্রতি কেজি কাঁসার বাসন কিংবা ঘটি বানাতে খরচ হয় ১৩০-১৪০ টাকা।
ইতিহাস অনুযায়ী ক্ষুব্ধ মল্ল রাজার কবল থেকে বাঁচতে বিষ্ণুপুর ছেড়ে প্রথমে অযোধ্যা গ্রাম হয়ে বাঁকুড়ায় আসেন কর্মকার পরিবার। তারপর থেকেই বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রাচীন পল্লী কামারপাড়ায় তৈরি হয়ে আসছে কাঁসার ঘটি,বাটি এবং থালা।
স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী ,ক্ষুব্ধ মল্ল রাজার কবল থেকে বাঁচতে বিষ্ণুপুর ছেড়ে প্রথমে অযোধ্যা গ্রাম হয়ে বাঁকুড়ায় আসেন কর্মকার পরিবার। তারপর থেকেই বাঁকুড়া শহরের অন্যতম প্রাচীন পল্লী কামারপাড়ায় তৈরি হয়ে আসছে কাঁসার ঘটি,বাটি এবং থালা।