Tag Archives: Art

World Laughter Day: বিশ্ব হাসি দিবসে শিল্পীর অবাক করা সৃষ্টি! হাতে ওটা কী জানেন?

কোচবিহার: গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক। গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয়‌ও বটে। তাঁর গল্পগুলি এই বাংলায় চূড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের নাম সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয়।

কথিত আছে, মধ্যযুগের আজকের নদিয়া অঞ্চলে গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার ও মনোরঞ্জনকারী। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও বুদ্ধিমান। বুদ্ধি ও সৎ সাহস থাকার কারণে রাজা তাঁকে সভাসদদের মধ্যকার নবরত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাইক্রো শিল্পী সোমা মুখার্জি সেই গোপাল ভাঁড়ের একটি দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন।

আর‌ও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

এই বিষয়ে শিল্পী জানান, গত ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস ছিল। মূলত এই কারণেই তাঁর মাথায় এসেছিল এই বিশেষ চরিত্রটির মূর্তি তৈরির কথা। আসলে ছোট বয়স থেকেই সকলে গোপাল ভাঁড়ের হাস্য রসের গল্প শুনে কিংবা পড়ে বড় হয়েছে। তাই এই চরিত্রটি নতুন করে আবার হাসতে শেখাতে পারে। কারণ, হাসির কোন‌ও বিকল্প নেই। হাসতে পারলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। বর্তমানে সমাজে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এতে মানসিক অবসাদ ও শারীরিক রোগ ব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই বিশ্ব হাস্য দিবসের দিন গোপাল ভাঁড়ের মূর্তি তৈরি করেন কোচবিহারের সোমা মুখার্জি। এই মূর্তির উচ্চতা তিন সেন্টিমিটার। মডেলিং ক্লে, আঠা, কাপড়, সুতো, ইলেকট্রিক তার দিয়ে গোটা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বানিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে এক মাসের মত।

সার্থক পণ্ডিত

Pattachitra: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!

পশ্চিম মেদিনীপুর: দিনের পর দিন জেলার তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বেলা বাড়লেই বাইরে থাকা দায় হয়ে উঠছে সকলের। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রচন্ড গরমের কারণে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। এই অবস্থায় কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন? সেই উপায় মানুষের কাছে তুলে ধরতে বিশেষ পটে ছবি আঁকলেন পট শিল্পীরা, লিখেছেন গানও। মানুষকে সচেতন করতে তাঁদের এই বিশেষ ভাবনা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়াগ্রাম পটশিল্পের জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামের সকলেই পট শিল্পে যুক্ত। এখানকার শিল্পীরা বিভিন্ন সময় সামাজিক কিংবা নানান সচেতনতামূলক ছবি এঁকে মানুষের কাছে পৌঁছন। এবার তাঁরা দাবদাহের হাত থেকে বাঁচার উপায় তুলে ধরলেন সকলের সামনে।

আর‌ও পড়ুন: বসিরহাটের এক‌ই মাদ্রাসা থেকে ফাজিলের মেধাতালিকায় প্রথম দুই

চলতি বছর পশ্চিম মেদিনীপুর সহ গোটা পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৭ ডিগ্রির গণ্ডি। এই প্রচন্ড দাবদাহ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে কী কী নিয়ম মানা জরুরি? কীভাবে থাকতে হবে সকলকে, সেসবের বিস্তারিত বিরণ ছবি এঁকে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন পটশিল্পীরা। শিল্পী বাহাদুর চিত্রকরের তত্ত্বাবধানে এই পট এঁকেছেন শিল্পীরা, লিখেছেন গানও। পটশিল্পীদের এই ভাবনাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

Bengal Mat: আধুনিকতার ছোঁয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাদুর শিল্প

গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি, বিছানায় গা ঠেকানো রীতিমতো দায় হয়ে পড়ছে মানুষের কাছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে শুলে কিছুটা হলেও মেলে স্বস্তি
গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি, বিছানায় গা ঠেকানো রীতিমতো দায় হয়ে পড়ছে মানুষের কাছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে শুলে কিছুটা হলেও মেলে স্বস্তি
আজও গ্রামবাংলায় সেই রীতি দেখা দেখা যায়, তবে হাতে বোনা মাদুরের জায়গা নিয়েছে প্লাষ্টিকের মাদুর। আর এই প্লাষ্টিকের মাদুরের দাপটে গ্রামবাংলার প্রাচীন এই কুটির শিল্প প্রায় অবলুপ্তির পথে
আজও গ্রামবাংলায় সেই রীতি দেখা দেখা যায়, তবে হাতে বোনা মাদুরের জায়গা নিয়েছে প্লাষ্টিকের মাদুর। আর এই প্লাষ্টিকের মাদুরের দাপটে গ্রামবাংলার প্রাচীন এই কুটির শিল্প প্রায় অবলুপ্তির পথে
বর্তমানে বাজারে হাতে বোনা মাদুরের চাহিদা ক্রমশ কমে যাওয়ায় অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক পরিবার
বর্তমানে বাজারে হাতে বোনা মাদুরের চাহিদা ক্রমশ কমে যাওয়ায় অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা একাধিক পরিবার
মাদুর শিল্পের করুন পরিস্থিতির বর্তমান ছবিটা দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর থানার চারঘাট এলাকায়। এই এলাকার চারঘাট বাজারের একসময় হাতে বোনা মাদুরের জন্য সুনাম ছিল সারা রাজ্যে
মাদুর শিল্পের করুন পরিস্থিতির বর্তমান ছবিটা দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরুপনগর থানার চারঘাট এলাকায়। এই এলাকার চারঘাট বাজারের একসময় হাতে বোনা মাদুরের জন্য সুনাম ছিল সারা রাজ্যে
বেশ কয়েক বছর আগেও চারঘাট মাদুর বাজার গমগম করত মাদুর শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ২৫-৩০ জন ব্যবসায়ী এই বাজারে মাদুরের ব্যবসা করলেও, আজ মাদুর শিল্পের দৈন্যদশায় চারঘাট মাদুর বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যাটা মাত্র একজনে এসে দাঁড়িয়েছে
বেশ কয়েক বছর আগেও চারঘাট মাদুর বাজার গমগম করত মাদুর শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনায়। কয়েক বছর আগে পর্যন্তও ২৫-৩০ জন ব্যবসায়ী এই বাজারে মাদুরের ব্যবসা করলেও, আজ মাদুর শিল্পের দৈন্যদশায় চারঘাট মাদুর বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যাটা মাত্র একজনে এসে দাঁড়িয়েছে
এখন সেইসব অতীত। বর্তমানে হাতে বোনা মাদুরের জায়গায় প্লাস্টিক মাদুর বাজার দখল করায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে এইসব এলাকার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
এখন সেইসব অতীত। বর্তমানে হাতে বোনা মাদুরের জায়গায় প্লাস্টিক মাদুর বাজার দখল করায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে এইসব এলাকার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
চারঘাটের মাদুর শিল্পীদের একটাই আর্জি, বাংলার এই মাদুর শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আবার অনেকেই এই পুরনো পেশায় ফিরে আসবে। আবারও স্বমহিমায় ফিরবে বাংলার হাতে বোনা মাদুর শিল্প
চারঘাটের মাদুর শিল্পীদের একটাই আর্জি, বাংলার এই মাদুর শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আবার অনেকেই এই পুরনো পেশায় ফিরে আসবে। আবারও স্বমহিমায় ফিরবে বাংলার হাতে বোনা মাদুর শিল্প

Bangla Video: শিকড়ের টান! ঘরের মেয়ের হাত ধরে ওড়িশার পটচিত্র বাংলার মাটিতে

নদিয়া: একেই বলে শিকড়ের টান। ওড়িশার বিখ্যাত একক পটচিত্র প্রদর্শনী জন্মভূমি বাংলার বুকে নিয়ে এলেন গৃহবধূ শুভশ্রী চ্যাটার্জী। পটচিত্র একটি প্রাচীন শিল্পকলা যা বাংলা ও ওড়িশা দুই রাজ্যেই বহুল প্রচলিত। পূর্বে এর কাজ অনেক বেশি প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে ধীরে ধীরে চল কমে আসছে। বাংলায় আজকাল পটচিত্র বলতে বেশ কিছু মেলার স্টলগুলিতে দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কিছু প্রাচীন ঘরাণার দুর্গা প্রতিমার চালচিত্রে পটচিত্রের কাজ আজও দৃশ্যমান।

যদিও বাংলা থেকে ওড়িশার পটচিত্রের বেশ কিছু ফারাক আছে। তিন শূন্য নম্বরের তুলি দিয়ে এই পটচিত্র আঁকা হয়। কাজগুলি হয় অতি সূক্ষ্ম। বেশিরভাগ পটচিত্র হয় জগন্নাথ দেব, মহাপ্রভুর উপরে করা হলেও গণেশ, সরস্বতী, কালী ইত্যাদি দেব দেবতার‌ও দেখা মেলে। নদিয়ার শান্তিপুরের মেয়ে শুভশ্রী চ্যাটার্জির ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বিবাহ সূত্রে চলে যান ভুবনেশ্বরে। সেখানে গিয়েই তিনি প্রথম ওড়িশার পটচিত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর ওখানেই তিনি পট চিত্রের প্রশিক্ষণ নেন। এরপর বেশ কিছু পটচিত্র তিনি তৈরি করার পরে অনেকেই তাঁকে পরামর্শ দেন শান্তিপুর এসে একটি প্রদর্শনী করার।

আর‌ও পড়ুন: তাপপ্রবাহের রক্তচক্ষুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে অফিসের ব্যাগ

এর পরেই এমন এক সুন্দর শিল্পকলা শান্তিপুরবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য শান্তিপুর কলা তীর্থে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় একক পটচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। যদিও সাধারণ দু একটি রং কে ব্যবহার করেই বেশ কিছু রঙ তৈরি করে এই পটচিত্র তৈরি করা হলেও অ্যাক্রেলিক রং-এর উপর ভিত্তি করে এই পটচিত্র গুলি এঁকেছেন বলেই জানান শিল্পী শুভশ্রী চ্যাটার্জী। এর আগে ২৫ তারিখে ওড়িশাতেও তিনি একটি প্রদর্শনী করেন। তবে শান্তিপুর তাঁর নিজের শহর বলে পরপর দুইদিন তিনি শান্তিপুরে তাঁর শিল্পকলা তুলে ধরেন।

মৈনাক দেবনাথ

Viral Micro Art: এও সম্ভব! ছোট্ট চকের উপরেই খোদাই করা একাধিক মূর্তি, তাক লাগাবে শিল্পকর্ম

দিনহাটা: জেলা কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা। এই দিনহাটা মহকুমার এক বাসিন্দা বিজন সরকার। পেশাগতভাবে এই ব্যক্তি একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একজন মাইক্রো আর্টিস্ট। অপূর্ব শিল্পকর্মের জন‍্য এলাকায় তিনি যথেষ্ট খ‍্যাতনামা শিল্পী।

কারণ একটাই, তাঁর তৈরি বিভিন্ন মাইক্রো আর্ট বর্তমান সময়ে নজর আকর্ষণ করছে সকলের। এই মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পীর ক্যানভাস হিসেবে উঠে এসেছে চক। ঠিকই ধরেছেন যেই চক দিয়ে স্কুল শিক্ষকেরা পড়াশোনা করান। সেই ক্ষুদ্র চকের মধ্যেই তিনি তাঁর প্রতিভাকে ফুটিয়ে তুলছেন।

আরও পড়ুন: চার্জে বসালেই আগুণ হয়ে যাচ্ছে ফোন? বড় সর্বনাশ হতে পারে, এখনই জেনে নিন সমাধানের উপায়

মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী বিজন সরকার জানান, “এখনও পর্যন্ত তিনি ২৫টির ও অনেক বেশি মডেল তৈরি করেছেন। এবং বহু মডেল তৈরি করার পর বিভিন্ন মানুষকে উপহার দিয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিভিন্ন মাইক্রো আর্ট তৈরির শখ। সেখান থেকেই এই চকের উপর মাইক্রো আর্ট তৈরি সূত্রপাত। বর্তমান সময়ে তাঁর পেশা ভিন্ন হলেও। নেশা কিন্তু মাইক্রো আর্ট তৈরি করা। বিভিন্ন রকম মনীষীদের মূর্তি এবং ঠাকুর দেবতাদের মূর্তি তিনি অবিকল ফুটিয়ে তুলছেন চকের মধ্যে। আর এই ক্ষুদ্র মাইক্রো আর্ট দেখে সকলেই রীতিমতো অবাক হচ্ছে। অনেকে তো তাঁর কাছে মাইক্রো আর্ট তৈরি করার জন্য যোগাযোগও করছেন।”

বিজন সরকার আরও জানান, “শুধুমাত্র কাটার, সূঁচ ও চকের মাধ্যমে তিনি এই মাইক্রো আর্ট গুলি তৈরি করছেন। এক একটি আর্ট তৈরি করতে সময় লাগে আনুমানিক ২ ঘণ্টার মতন। বিভিন্ন রঙের চকের মাধ্যমে এই আর্টগুলি তৈরি করতে খুব একটা বেশি খাটনি করতে হয় না তাঁকে। কিছুদিন আগে তাঁর তৈরি লাল রঙের ক্ষুদ্রাকৃতির রাম মন্দির বেশ ভাইরাল হয়েছিল। বর্তমান সময়ে তিনি চেষ্টায় রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি তৈরি করবেন বলে। সেই মর্মে তিনি কাজও শুরু করেছেন ইতিমধ্যে।” বর্তমান সময়ে জেলার এই মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী কে অনেকেই পছন্দ করছেন।

তাঁর তৈরি এই সমস্ত মাইক্রো আর্ট গুলি নেট দুনিয়ায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল। তবে আগামী দিনও তাঁর তৈরি আরো বহু মডেল সকলের পছন্দ হবে বলে মনে করছেন সকলে।

Sarthak pandit

Exceptional Artist: শিল্পীর এ কেমন নেশা! জানলে অবাক হবেন

হাওড়া: প্রায় এক ফুট লম্বা ফড়িং, ৮-১০ ইঞ্চির মাকড়সা, ইয়া বড় মৌমাছি, প্রজাপতি, মাছি আরও কত কী। এই শিল্পীর সৃষ্টি দেখলেই চোখ উঠবে কপালে। খুব সাধারণ ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে এই সমস্ত চমকে দেওয়া জিনিস তৈরি করেন শিল্পী গোবিন্দবাবু। তাঁর হাতের কাজ সকলকেই চমকে দেয়। এইভাবে সৃষ্টি যেন তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এভাবেই কখনও ফুল, প্রজাপতি, ফুলদানি কীটপতঙ্গ, জীব-জন্তু, পাখি আরও কত শত ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন গোবিন্দবাবু। এই কীটপতঙ্গ তৈরি করেন গাছের শুকনো পাতা, ফল ও বাতিল জিনিস দিয়ে। এই সমস্ত জিনিস ৮ থেকে ৮০ বয়সের মানুষ সকলকে বেশ আকর্ষণ করে। এভাবে সকলকে আনন্দ দেওয়াই গোবিন্দবাবুর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: দার্জিলিঙের প্রবেশদ্বার রোহিনী কেমন আছে? মিলল ‘হাওয়া বদলের’ ইঙ্গিত

শিল্পের উপকরণ সংগ্রহের জন্য মাঝে মধ্যেই গোবিন্দবাবুকে দেখা যায় গাছ তলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করতে। এই সমস্ত পড়ে থাকা জিনিস সংগ্রহ করতে দেখলেই মানুষের আগ্রহ বা কৌতুহল বেড়ে যায়। যারা জানেন তাঁরা বুঝতে পারেন আবার নতুন কিছু একটা সৃষ্টি হবে। শিল্পী নিজে জানিয়েছেন, এই সৃষ্টির নেশাতেই তিনি বাতিল ফেলে দেওয়া মামুলি জিনিসপত্র দিয়ে এইভাবে একের পর এক জিনিস তৈরি করে চলেছেন। এটা তাঁর কাছে নেশার মত হয়ে গিয়েছে।

রাকেশ মাইতি

Lok Sabha Election 2024: ফ্লেক্স, ব্যানার ফেলে দেওয়াল জুড়ে ভোট সচেতনতা! শিল্পীর তুলিতে বদলে গেছে বালুরঘাট

নদী বাঁচলেই বাঁচবে বাস্তুতন্ত্র এমনই চিন্তা ভাবনাকে রং-তুলির মাধ্যমে ভোট প্রচারে ব্রতী হয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু চিত্রশিল্পী।সুস্মিতা গোস্বামী
নদী বাঁচলেই বাঁচবে বাস্তুতন্ত্র এমনই চিন্তা ভাবনাকে রং-তুলির মাধ্যমে ভোট প্রচারে ব্রতী হয়েছেন বালুরঘাটের বেশ কিছু চিত্রশিল্পী।সুস্মিতা গোস্বামী
বালুরঘাট হাইস্কুল ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে একাধিক বার্তা দিয়ে রং ও তুলির স্পর্শে বিভিন্ন ছবি এঁকে দেওয়াল ভরিয়ে তোলেন শিল্পীমহল।সুস্মিতা গোস্বামী
বালুরঘাট হাই স্কুল ও জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে একাধিক বার্তা দিয়ে রং ও তুলির স্পর্শে বিভিন্ন ছবি এঁকে দেওয়াল ভরিয়ে তোলেন শিল্পীমহল।সুস্মিতা গোস্বামী
রাস্তায় আঁকা হওয়ায় তা অনেকটাই মাধুর্য্য। অনেক দিন স্থায়ী থাকবে। প্রচুর মানুষ দেখতে পাবেন। শিল্পীদের হাতে আঁকা সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি করে আকর্ষণ করছে।সুস্মিতা গোস্বামী
রাস্তায় আঁকা হওয়ায় তা অনেকটাই মাধুর্য্য। অনেক দিন স্থায়ী থাকবে। প্রচুর মানুষ দেখতে পাবেন। শিল্পীদের হাতে আঁকা সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি করে আকর্ষণ করছে।সুস্মিতা গোস্বামী
বিশাল দেওয়াল জুড়ে শান্তির কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে ঠিক তেমনই বিধ্বংসী যুদ্ধ নয়, শান্তির আবহাওয়া তৈরি হোক বিশ্বজুড়ে। নির্বাচনের পূর্বে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বালুরঘাটের শিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিশাল দেওয়াল জুড়ে শান্তির কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে ঠিক তেমনই বিধ্বংসী যুদ্ধ নয়, শান্তির আবহাওয়া তৈরি হোক বিশ্বজুড়ে। নির্বাচনের পূর্বে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে বালুরঘাটের শিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিস্তীর্ণ রাস্তা জুড়ে ভোটের চিত্রের পাশাপাশি বালুরঘাটের জীবনরেখা আত্রেয়ী নদীর সঙ্গে যুক্ত পাখি সহ একাধিক বিষয়ের ছবিও ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী
বিস্তীর্ণ রাস্তা জুড়ে ভোটের চিত্রের পাশাপাশি বালুরঘাটের জীবনরেখা আত্রেয়ী নদীর সঙ্গে যুক্ত পাখি সহ একাধিক বিষয়ের ছবিও ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা।সুস্মিতা গোস্বামী

Ram Navami 2024: ২৬৪০ বর্গফুটের রাম! দেখা যাবে এই বাংলাতেই

বীরভূম: বুধবার রামনবমী। সেই উপলক্ষে এই বছর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রামনবমীকে তাদের মত করে প্রচারের কাজে ব্যবহার করবে বলাই বাহুল্য। এই এতকিছুর মধ্যেই রামনবমী উপলক্ষে এবার থাকছে এক অন্যরকম চমক। আর সেই চমক দিল বীরভূমের কয়েকজন যুবক-যুবতী।

রামনবমীর আগেই ২৬৪০ বর্গফুটের রামের ছবি এঁকে তাক লাগালেন সিউড়ির এইশিল্পীরা। আগামী দিনে এই ছবি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতির জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা। ভগবান রামের এই বিশাল ছবিটি আঁকতে সময় লেগেছে তিন দিন। ছোট ছোট আর্টপেপারে ধাপে ধাপে বাড়ি রং করার কাজের জন্য ব্যবহৃত প্রাইম রং দিয়ে আঁকা হয়েছে পুরো ছবিটি। তারপরে সেই আর্ট পেপারগুলিকে পিভিসি টেপ দিয়ে জোড়া লাগানো হয়। সমস্ত আর্ট পেপার জোড়ার পড়ে তার দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ৮০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৩ ফুট।

আর‌ও পড়ুন: থেকে ‌যাবে স্মৃতি, নতুন ভোটারা গাছ লাগাল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে

মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে যে ছুটি থাকে সেটিকে কাজে লাগিয়েই এই ক্ষুদে শিল্পীরা এমন তাক লাগানো কাজ করেছেন। ২৬৪০ বর্গফুটের এই রামের ছবি দেখতে এখন সিউড়ির বেনীমাধব স্কুলের মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন শহরবাসীরা।

সৌভিক রায়

Stick Mat: চাহিদার অভাবে এই বিখ্যাত গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে কাঠির তৈরি মাদুর

হাওড়া: অবলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার প্রাচীন মাদুর শিল্প। অতীতে সময় ঘরের মেঝে অথবা দাওয়ায় বসার জন্য আবশ্যক ছিল কাঠির মাদুর। গ্রীষ্মের দুপুরে বাড়িতে অতিথি এলে ঘরে দাওয়ায় মাদুর পেতে বসিয়ে সেবা-যত্নের রেওয়াজ দেখা যেত গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। মাদুরে বসিয়েই চলত অতিথি আপ্যায়ন। এমনকী শহরেও মাদুর ব্যবহারের রেওয়াজ ছিল যথেষ্ট।

এই কাঠির মাদুর তৈরি হত গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু মানুষ। মাদুর কাঠি চাষ, কাঠি সংগ্রহ করে তাকে মাদুর তৈরির উপযুক্ত করা, শেষ পর্যায়ে কারিগরদের মাদুর তৈরির মত বিভিন্ন ধাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু বর্তমানে গ্রামবাংলার খুব অল্প সংখ্যক ঘরে এখন কাঠির মাদুর ব্যবহারের রেওয়াজ দেখা যায়। হাতে বোনা কাঠির মাদুরের জায়গা এখন দখল করে নিয়েছেন প্লাস্টিকের মাদুর ও কার্পেট।

আর‌ও পড়ুন: বাংলার এখান থেকে কর্পূরের মত উবে যাচ্ছে জল! পুরোটা জানলে ভয় পাবেন

কাঠি মাদুর গরমে আরামদায়ক হলেও এর দামে দুটো প্লাস্টিকের মাদুর কেনা হয়ে যাবে। অথবা আরেকটু বেশি দাম দিয়ে রংচঙে কার্পেট জাতীয় জিনিস বাড়ি আনতে পারবেন আপনি। এই সব কিছু মিলিয়ে কাঠি মাদুরের চাহিদা কমেছে। এই মাদুর বুনতে বা তৈরি করতে দু’জন শ্রমিকের দরকার হয় এবং ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে। সবমিলিয়ে যা পরিশ্রম হয় সেই অনুপাতে তেমন আয় হয় না কারিগরদের। ফলে অনেকেই পেশা পরিবর্তন করে অন্য কাজ শুরু করেছেন। আর তার ধাক্কাতেই এবার হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের মাদুর শিল্পের জন্য বিখ্যাত ভবানীপুর গ্রাম থেকেও হারিয়ে যেতে বসেছে এই কাঠি মাদুর।

আর‌ও পড়ুন: এখানেই পাতালে প্রবেশ করেছিলেন মা গঙ্গা! চক্রতীর্থের নন্দার মেলায় স্নানের হিড়িক

এক সময় ভবানীপুর গ্রামে প্রায় ৪০-৫০ টি পরিবার মাদুর বোনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু লাভের মুখ না দেখতে পেয়ে মাদুর শিল্প থেকে সরে এসেছে বহু পরিবার। স্থানীয় মাদুর শিল্পীরা জানান, হাতে বোনা মাদুর পরিবেশ বান্ধব। এই মাদুর অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। সেই দিক থেকে প্লাস্টিকের মাদুর সেইভাবে টেকসই হয় না। তবুও মানুষ রংচঙে প্লাস্টিক মাদুর বা কার্পেট জাতীয় জিনিসের দিকেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে মাদুর শিল্প ধ্বংস হচ্ছে।

রাকেশ মাইতি

Stone Art: পাথর শিল্পীর অনন্য সৃষ্টি ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ’

বাঁকুড়ার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত পাথর শিল্পী সনাতন কর্মকারের বিখ্যাত সৃষ্টি ভারতের নিরক্ষরতা দূরীকরণের রূপ।
বাঁকুড়া রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত পাথর শিল্পী সনাতন কর্মকারের বিখ্যাত সৃষ্টি ভারতের নিরক্ষতা দূরীকরণের রূপ।
পাথরের উপরে খোদাই করে ভারতের ম্যাপ এঁকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আঞ্চলিক মৌলিকতা। মূল মন্ত্র নিরক্ষরতা দূরীকরণ
পাথরের উপরে খোদাই করে ভারতের ম্যাপ এঁকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আঞ্চলিক মৌলিকতা। মূল মন্ত্র নিরক্ষরতা দূরীকরণ।
ভারতের সবাই শিক্ষিত হবে একদিন। এমন স্বপ্ন নিয়েই এই বিশেষ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
ভারতের সবাই শিক্ষিত হবে একদিন। এমন স্বপ্ন নিয়ে এই বিশেষ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
২০০৭ সালে ৮ ইঞ্চির কৃষ্ণ বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান সনাতন কর্মকার।
২০০৭ সালে ৮ ইঞ্চির কৃষ্ণ বানিয়ে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান সনাতন কর্মকার।
এখনও পাথর শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে কাজ করে চলেছেন এই শিল্পী। তারই অন্যতম সৃষ্টি নিরক্ষরতা দূরীকরণে ভারত।
এখনো পাথর শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখে কাজ করে চলেছেন এই শিল্পী। তারই অন্যতম সৃষ্টি নিরক্ষরতা দূরীকরণে ভারত।
শিল্পী নিজে জানান,
শিল্পী নিজে জানান, “নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করলে শিল্পসত্ত্বা আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে। আমি এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসি।”