Tag Archives: Breast Cancer Symptoms
Breast Pain Causes: মহিলাদের স্তনে আচমকা ব্যথার কারণ কী? খুব জরুরি, অবশ্যই জানুন
Womens Day 2024 Special: লক্ষ লক্ষ ভারতীয় মহিলা ক্যানসার আক্রান্ত হচ্ছেন, কীভাবে ঠেকাবেন মারণরোগ? চিকিৎসকের জরুরি পরামর্শ জানুন
কলকাতা: গোটা বিশ্বে তো বটেই, ভারতেও মহিলাদের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। স্তন ক্যানসার, কোলারেক্টল ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, ওভারিয়ান ক্যানসার এবং সার্ভিক্যাল ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন মহিলারা।
গ্লোবোকন ২০২০-এর হিসেব অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ৬.৭ লক্ষ মহিলা ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দেশের মোট ক্যানসার রোগীর প্রায় ৫১ শতাংশ মহিলা। এর মধ্যে স্তন এবং সার্ভিক্যাল ক্যানসারের রোগী ৪৫ শতাংশ। শেষ পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ায় মৃত্যুর হারও বেশি। কারকিনোস হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের অঙ্কোলজিস্ট ডা. শ্রেয়া মল্লিক বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার সনাক্তকরণ এবং যথাযথ থেরাপি শুরু করতে পারলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রির পুজোর সময় কতক্ষণ? শাস্ত্রমত জানুন, এমন শুভদিন বার বার আসে না!
ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে স্তন ক্যানসারে সর্বাধিক মহিলা আক্রান্ত হন। এ দেশে সংখ্যাটা বছরে ১.৭ লাখ। অধিকাংশ সময় ৫০ বছরের বেশি বয়সী মহিলারাই এতে আক্রান্ত হন। তবে অল্প বয়সীদের মধ্যেও দেখা যায়। কম বয়সে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলাদের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা তুলনামূলক ভাবে কঠিন। সার্ভিক্যাল ক্যানসার বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মধ্যে চতুর্থ সর্বাধিক সাধারণ ক্যানসার এবং ভারতে দ্বিতীয় সর্বাধিক। এ দেশে প্রতি বছর ১.২ লাখ মহিলা সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সেরা আকর্ষণীয় পুরুষ কারা? তালিকায় এল ১০ নাম, রয়েছেন হৃত্বিকও! কত নম্বরে জানেন?
ভারতীয় মহিলাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে, খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, পেশা, সংক্রমণ, তামাক ও অ্যালকোহলের ব্যবহার ইত্যাদি। এছাড়াও বেশি বয়সে গর্ভধারণ এবং অন্যান্য প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস)-এর ক্রমাগত সংক্রমণ সার্ভিকাল ক্যানসারের প্রধান কারণ।
লক্ষণ প্রকাশের আগে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ক্যানসার নিরাময় করা যায়। প্রাক ক্যানসার পর্যায়ে স্ক্রিনিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্তন এবং সার্ভিক্যাল ক্যানসারকে এভাবে রুখে দেওয়া সম্ভব। স্ব-স্তন পরীক্ষা, ক্লিনিকালি স্তন পরীক্ষা, ম্যামোগ্রাফি হল স্তন ক্যানসারের স্ক্রিনিংয়ের মূল হাতিয়ার। প্যাপ স্মিয়ার এবং এইচপিভি ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের স্ক্রিনিং করা হয়। এইচপিভি ভ্যাকসিন সার্ভিক্যাল ক্যানসার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। ৯ থেকে ২৬ বছর বয়সী মহিলাদের এই ভ্যাকসিনের সুপারিশ করা হয়।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি, মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতাই ক্যানসারের মতো রোগ এবং মৃত্যু হার কমাতে পারে। এইচপিভি টিকা, প্রাথমিক ও সময় মতো চিকিৎসা এবং রোগ সনাক্ত করার জন্য রুটিন স্ক্রিনিং-সহ লাগাতার ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চালানোর প্রয়োজনও রয়েছে বলে মনে করেন অঙ্কোলজিস্ট ডা. শ্রেয়া মল্লিক।