বর্তমানে আমাদের জীবনযাত্রার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, যার কারণে শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। শুধু ওজন বৃদ্ধি নয়, সব ধরনের রোগই শরীরে প্রভাব ফেলে।ভারতের বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস বলেন, দারুচিনির জল পান করলে আপনার শরীরের চর্বি খুব দ্রুত কমে যায়।সবাই চাই ওজন কমিয়ে একদম ফিট থাকতে এবং রোগ থেকে দূরে থাকতে। তবে, বাইরের খাবার শরীরের অনেক ক্ষতি করে। প্রতিদিন সকালে দারুচিনির জল খাওয়া উচিত। এটি শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে খুবই উপকারী।প্রতিদিন খালি পেটে এই জল খেলে অনেক আশ্চর্যজনক উপকার পাবেন। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে দারুচিনি গুঁড়ো জল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এই জল খেলে সহজেই ওজন কমাতে পারেন। বিপাককে শক্তিশালী করে। এই জল সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।আপনার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল থাকলেও বা আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেও প্রতিদিন দারুচিনির জল পান করা উচিত। এটি হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা কমাতেও খুবই সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। এটি আপনার শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল দ্রুত দূর করতে আপনাকে অনেক সাহায্য করে।দারুচিনিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা আপনার শরীরের সমস্ত ময়লা দূর করে এবং রোগ থেকে মুক্তি দেয়। দারুচিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে যে কোনও ঋতুতে। পেটের সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ কমই আছেন। জানেন কি সকালে খালি পেটে একটা পানীয় খেলেই দূর হবে হজম-সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা।
রাতভর ভিজিয়ে রাখুন ১ চামচ মেথিদানা। সকালে সেটা জলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। মেশাতেও পারেন এক গ্লাস উষ্ণ জলে। তাতে মেশান ১ চামচ দারচিনি গুঁড়ো। ভাল করে মিশিয়ে নিলেই আপনার পানীয় তৈরি। ইচ্ছে হলে মেশাতে পারে মধু ও লেবুর রস।
এই পানীয়র অ্যান্টি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাবল বৈশিষ্ট্য পেটের সমস্যা দূর করে। খাবার হজমে সাহায্য করে। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা কেটে যায়।
মেথি এবং দারচিনিতে আছে সল্যুবল ফাইবার। এই উপাদানের গুণে কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ পেটের সব সমস্যা সেরে ওঠে।
মেথি ও দারচিনির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য কমিয়ে দেয় ইনফ্লেম্যাশন। ক্রনিক এই রোগ দূর হলে কেটে যায় পেটের বহু সমস্যা।
এই পানীয় পান করলে হজমে সাহায্য করে এমন এনজাইমের ক্ষরণ হয়। ফলে হজমের সমস্যা থাকে না।
মেথি ও দারচিনির অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য কমিয়ে দেয় ইনফ্লেম্যাশন। ক্রনিক এই রোগ দূর হলে কেটে যায় পেটের বহু সমস্যা।
শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখে এই পানীয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের অন্যান্য সমস্যা নিয়ন্ত্রিত হয়।
ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমিয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই পানীয়। গ্যাস, অম্বল,ডায়রিয়া দূর হয়।