লাইফস্টাইল Health Care Tips: সাত খাবারেই বাজিমাত! হাজার হাজার গুণ শক্তিবৃদ্ধি, সকাল-সন্ধে শরীর থাকবে টানটান Gallery September 20, 2024 Bangla Digital Desk শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা অপুষ্টি শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যা নয় এরসঙ্গে মানসিক সমস্যাও সম্পৃক্ত থাকে। শরীরে ভিটামিন কম থাকলেও তা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। দেহে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে হত-পা সঞ্চালনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিনের অভাবে দেহের বিভিন্ন অঙ্গও কমজোর করে দেয় এই ভিটামিনের ঘাটতি। গোটা শস্যের খাবার- বিবিসির মতে গোটা শস্যের বিভিন্ন খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। সেমোলিনা এবং আটা জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, ভাত, গম, বার্লি, মিলেট, রাগী ইত্যাদি শস্যের খাবার খেলে শরীরের পুষ্টি বাড়ে। তাই এই জিনিসগুলি খেলে দেহের পুষ্টিগুণ বাড়ে। কার্বোহাইড্রেট- কার্বোহাইড্রেট শক্তির সবথেকে বড় উৎস। কিন্তু, যদি চিনি, জুস এবং আখ ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেট পূর্ণ খাবার খেলেও তা পুষ্টিগুণ বাড়ায়। শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হলে ওটস, সতেজ মাছ ইতাাদি মাছ হরহন করতে হবে। কলা- তৎক্ষণাৎ শক্তির জন্য কলার জুড়ি মেলা ভার। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার থাকে। কলাতে থাকে প্রচুর ইলেকট্রোলাইটসও। যা দেহের পেশির এবং নার্ভ ঠিক রাখতে খুবই কার্যকরী। দেহে তাৎক্ষণিক ভাবে পুষ্টির জন্য কলা খুবই উপকারি। এই জন্য বহু খেলোয়াড়ও কলাকেই শরীরে পুষ্টি গুণের জন্য বেছে নেন। সবুজ শাক সবজি- সবুজ শাকসবজি দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরে শক্তি ফেরাতে অত্যন্ত কার্যকর এই সবুজ শাকসবজি। এছাড়াও দেহের নানান পুষ্টির অভাব মেটাতে কাজে আসে এই শাকসবজি। বাদাম- শরীরে পুষ্টির জন্য বাদাম খুবই উপকারী। এই বাদাম দেহের সার্বিক উন্নতি সাধনে কাজ করে থাকে। সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়া বা ভেজানো বাদাম খেলেও শরীরে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এই পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি থাকার জন্য বাদাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
লাইফস্টাইল Daily Time Table: 8 ঘণ্টা ঘুম…! বাকি ১৬ ঘণ্টা কি করবেন? এই ‘ডেইলি রুটিন’ ফলো করলেই ওজন, ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ কন্ট্রোলে, ‘সুস্বাস্থ্য’ চুমু খাবে! Gallery May 6, 2024 Bangla Digital Desk জীবনের অর্ধেক সমস্যার সমাধান সঠিক জীবন ধারা। পর্যাপ্ত ঘুম আর সঠিক জীবনধারণ আপনাকে সুখের সাগরে ভাসাবে। সুস্বাস্থ্য সঙ্গে ছাড়বে না কিছুতেই। কিন্তু সঠিক জীবনধারা ঠিক কী? কী ভাবে বুঝবেন কোন নিয়মে চললেই জীবন বইবে সঠিক খাতে। রোগ-ব্যাধি কাছে ঘেঁষবে না আবার থাকবেনও ফিট আর ফুরফুরে? ২৪ ঘণ্টার দৈনিক রুটিনে ছোট্ট কিছু বদল কিন্তু বদলে দিতে পারে জীবন। এই বদল নিয়মিত মেনে চললেই কেল্লাফতে। ছুঁতে পারবে না হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো একাধিক লাইফস্টাইল ডিজিজ বা জীবনধারা মূলক রোগ। সম্প্রতি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত একটি নতুন গবেষণাই দিয়েছে চমকপ্রদ তথ্য। এই গবেষণায়, ২,০০০ জনেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর সাত দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ওই ব্যক্তিদের বসে থাকা, দাঁড়িয়ে থাকা, তাঁদের বাড়িতে বা অফিসে যাওয়া এবং ঘুমানোর মতো ছোট ছোট কাজগুলি করার সময় জানতে পারেন। ডায়াবেটোলজি জার্নালে প্রকাশিত সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি এবং বেকার হার্ট অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউটের নতুন এই গবেষণা অনুসারে, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। এছাড়াও, প্রতিদিন কমপক্ষে ২.২ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি কার্যকলাপ করাও প্রয়োজন। দিনের ২৪ ঘণ্টার রুটিন এইভাবে ভাগ করুন :৮ ঘণ্টা ঘুম।ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ওষুধের মতো। এমন পরিস্থিতিতে ৮ ঘণ্টা ঘুম হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হালকা চলাফেরা বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ :প্রতিদিন কমপক্ষে ২.২ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি ক্রিয়াকলাপ করতে হবে। যেমন জল খাওয়ার জন্য ওঠা ওয়াশরুমে যাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটা। এই কার্যকলাপ সুগার নিয়ন্ত্রণ এবং বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় দাঁড়ানো:প্রতিদিন কমপক্ষে ৫.২ ঘণ্টা দাঁড়ান। বসার সময় কমানো এবং দাঁড়ানোর সময় বাড়ালে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়। মাঝারি থেকে জোরালো শারীরিক কার্যকলাপ:মাঝারি থেকে জোরালো অ্যাকটিভিটি বা ক্রিয়াকলাপ যেমন প্রতি মিনিটে ১০০টির বেশি পদক্ষেপ হাঁটা প্রতিদিন ২ ঘণ্টার বেশি করতে হবে। এই গবেষণার ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে চান এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস এড়াতে চান তাঁদের জন্য এই গবেষণাটি এবং এর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে।