Tag Archives: dog care
Pet Dog Care: পোষ্য কি আপনাকে কিছু বলতে চাইছে? পোষা কুকুরের যন্ত্রণা বুঝবেন কীভাবে? এই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন
অনেকেই কুকুর পোষেন। যত্নআত্তির ত্রুটি রাখেন না। আদর-ভালবাসায় সেও হয়ে ওঠে পরিবারের একজন। কিন্তু পোষ্য কুকুরের ব্যথা, বেদনার সব খবর কি ‘মালিকে’র কান পর্যন্ত পৌঁছয়? এককথায় এর উত্তর হল, না।
পোষা প্রাণী কথা বলতে পারে না। নীরবে কষ্ট সহ্য করে। তাই পোষ্যের শরীর ঠিক আছে কি না বোঝার জন্য তাদের শারীরিক ভাষা, আচরণ এবং মেজাজ খুঁটিয়ে দেখা অপরিহার্য। অধিকাংশ সময়ই তাদের অসুস্থতা বোঝা যায় না। এই জন্যই পোষ্যের এই সব আচরণের পরিবর্তন হচ্ছে কি না দেখা উচিত। বলছেন অ্যান্থ্রোজুওলজিস্ট ডক্টর জন ব্র্যাডশ৷
আক্রমণাত্মক আচরণ বা রাগ: কুকুরের আচরণে যে কোনও পরিবর্তনই উদ্বেগজনক। ধরা যাক, দরজা খুললে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য দৌড়ে যাচ্ছে না বা আদর করার সময় শরীরী ভাষা যথেষ্ট রক্ষণাত্মক, তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয় কোথাও ব্যথা পেয়েছে।
সামাজিক অনীহা: কুকুরের শরীরে ব্যথা থাকলে আচরণ আর স্বাভাবিক থাকে না। খেলাধূলায় আগ্রহ কমে যায়, হাজারবার ডাকলেও সাড়া দেয় না। উৎসাহের অভাব এবং অলসতাও দেখা যায়। অতিথি বা বন্ধুদের মেলামেশাও কমে যায়। এমনটা হলেও কুকুরের শারীরিক যন্ত্রণা রয়েছে বুঝতে হবে।
অস্বাভাবিক ভঙ্গি: পোষ্য কুকুর যদি অস্বাভাবিক ভঙ্গিমায় থাকে, যেমন কোনও অঙ্গ চেয়ে শক্তভাবে বসে আছে, যেন ঠিক স্বাভাবিক নয়, এটাও ব্যথার ইঙ্গিত। যদি নড়াচড়া করতে গেলে ব্যথা লাগে, তাহলে কুকুর সারাক্ষণ বসে থাকে। আর যদি বসতে গেলে ব্যথা পায়, তাহলে সারাক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারে। তাই অস্বাভাবিক ভঙ্গিমা দেখলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন : AC Room-এ যোগব্যায়াম করলে ঝাঁঝরা শরীর? দিনের কখন ব্যায়াম করা সেরা? সুস্থ থাকতে জানুন এখনই
কাঁপুনি: কুকুরের যদি কাঁপুনি হয়, তাহলে হয় ঠান্ডা লেগেছে, নয়ত প্যানক্রিয়াটাইটিস, বিষক্রিয়া বা কিডনি রোগের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ। প্রচুর পরিমাণে সুগার ফ্রি সুইটেনার, চকলেট বা মোল্ডি কম্পোস্ট খেলে পেশিতে কাঁপুনি ধরতে পারে। এই পরিস্থিতিতে পোষ্যকে অবিলম্বে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
ঘুমোনোর ধরন বা খাবার খাওয়ায় পরিবর্তন: সুস্থ কুকুর নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে খাবে, উৎসাহের সঙ্গে লাফাবে-ঝাঁপাবে, রুটিন মেনে ঘুমোবে। এতে যদি বদল হয়, কুকুর যদি হঠাৎ খাওয়া বা জল পান বন্ধ করে দেয়, ঘুমোতে সমস্যা হয়, তাহলে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।