Tag Archives: Street Dog
Bangla Video: ওদের জন্য শহরজুড়ে বসল জলের পাত্র
হাওড়া: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। সকাল ১০ টার পর থেকে নিতান্তই প্রয়োজন না থাকলে আর রাস্তায় বেরোচ্ছে না কেউ। কিন্তু মানুষের কাছে যে সুযোগ আছে তা তো আর পথকুকুর বা অন্যান্য পথচারী প্রাণীদের নেই। এই গরমে শারীরবৃত্তীয় কারণে সারমেয়দের কষ্ট আরও বেশি হয়। তাছাড়া তীব্র তাপে চারিদিক শুকিয়ে যাওয়ায় তারা ঠিক করে জল পান’টুকুও করতে পারছে না। এই অবস্থায় পথকুকুরদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাওড়া শহরজুড়ে জলের পাত্র বসাল পুরসভা।
আরও পড়ুন: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!
এই গরমে হাওড়া পুরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পওশম হাওড়ার’ এমন উদ্যোগের ফলে কুকুরদের পাশাপাশি বিড়াল, পাখিরাও স্বস্তি পাবে। হাওড়া পুরসভা, শরৎ সদন, মেট্রো গেট, কোর্ট চত্বর, মঙ্গলা হাট সহ ৩০ টি জায়গায় এই জলের পাত্র বসানো হয়েছে। যেখানে এই গরমের দিনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশু এবং পাখিরা তৃষ্ণা মেটাতে পারবে।
এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা শৈলেশ উপাধ্যায় জানান, তাঁরা সারা বছরই এই ধরনের কাজ করেন। এবার এই গরমে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাকেশ মাইতি
Summer Vacation: গরমের ছুটি পড়ে গেলেও এই স্কুলে আসবে পড়ুয়ারা! কেন জানেন?
পূর্ব বর্ধমান: ভয়ঙ্কর গরমে নাজেহাল সকলে। ক্রমশ তাপমাত্রাও যেন বেড়েই চলেছে। বেশ কিছু জেলাতে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। এককথায় গরমের দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এক মাসেরও বেশি সময়ের জন্য স্কুলগুলোয় ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তবে এই গরমের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পশুপাখিদেরও। কারণ বিদ্যালয় খোলা থাকলে পড়ুয়াদের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ খেয়ে জীবনধারণ করে অনেক পশুপাখি।
এই পরিস্থিতিতে পশুপাখিদের কথা ভেবে অভিনব উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুল। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের মিনাপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মিলে ঠিক করেছেন, স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রত্যেকদিন নিজেদের বাড়ি থেকে খাবার এনে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা পশুপাখিদের দিয়ে যাবে কয়েকজন পূর্ব। এই প্রসঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া তামান্না মল্লিক বলছিল, আমাদের মত পশু-পাখিদেরও খিদে পায়। গরমের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় ওদের সমস্যা হবে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই ফলের চাহিদা ও দাম
এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, এই প্রখর দাবদাহে আমাদের প্রত্যেকের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা সবাই কখনও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যাচ্ছি, গাছের ছায়ায় বসছি, ফ্যানের তলায় বসছি। কিন্তু জীবজন্তুরা সেই সুযোগটাও পাচ্ছে না। তারা খাবার-জল পায় না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বকে বাঁচাতে হলে শুধু মানুষ নয়, বাকি জীবজন্তুকেও রক্ষা করতে হবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী