Tag Archives: Driving licence

Driving licence: লাইসেন্স প্রক্রিয়া বেসরকারি সংস্থার হাতে ছাড়তে নারাজ রাজ্য, প্রশ্ন সুরক্ষা বিধি নিয়ে

কলকাতা: ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে আরটিওতেই যেতে হবে। এই রাজ্যে আপাতত সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকছে। লাইসেন্স পেতে ব্যক্তিগত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। জুন মাস থেকে কেন্দ্র এই নিয়ম চালু করতে চায়। আপাতত সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেন্দ্রের নয়া নিয়মে সুরক্ষা বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্য।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আর সরকারি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসে (আরটিও) গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় পূর্ত-সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রকের নতুন নিয়মে সরকারি আরটিও-র পরিবর্তে ব্যক্তিগত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিংয়ের পরীক্ষা দিতে পারবেন।রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বেসরকারি ড্রাইভিং শেখানোর প্রতিষ্ঠানগুলিকে লাইসেন্সের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা এবং সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রাইভেট ড্রাইভিং স্কুলের জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে চায় কেন্দ্র। পূর্ত-সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারে ন্যূনতম ১ একর জমি থাকতে হবে। চার চাকার প্রশিক্ষণের জন্য ২ একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং স্কুলগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকতে হবে। যিনি প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁর যোগ্যতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। কমপক্ষে ৫ বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা থাকাও জরুরি।

কোন ফর্মের কত দাম?

লার্নার্স লাইসেন্স ইস্যু (ফর্ম ৩)- ১৫০ টাকা। লার্নার্স লাইসেন্স পরীক্ষার ফি: ৫০ টাকা। ড্রাইভিং পরীক্ষার ফি : ৩০০ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু: ২০০ টাকা। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিটের ইস্যু : ১ হাজার টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবীকরণের জন্য ৩০০ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্সে ঠিকানা বা অন্য তথ্য পরিবর্তনের জন্য : ২০০ টাকা। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, লাইসেন্স দেওয়া আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর সাথে গাড়ির চালকের সুরক্ষা জড়িত থাকে৷ তা যদি বেসরকারি সংস্থার হাতে চলে যায় তাহলে মুশকিল। এছাড়া লাইসেন্স নিয়ে কালোবাজারির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য।

এবার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নিয়ম বদলে গেল! বড়সড় বদল পরিবহণ দফতরের

কলকাতা: ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে কিছু নথিপত্র লাগে। এবার সেই নিয়মে বড় বদল আনল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এতদিন নাম, ঠিকানা, বয়সের প্রমাণপত্রের মতো ৭টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি জমা দিতে হত। এখন থেকে তা বাড়িয়ে ১১টি করা হল। বুধবার থেকে চালু হয়েছে এই নিয়ম। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

পরিচয়ের প্রমাণপত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং বয়সের প্রমাণপত্রের জন্য ১১ ধরনের আইডি নথি রয়েছে। জন্ম শংসাপত্র, স্কুল শংসাপত্র ইত্যাদি বয়সের প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

আইডি-র প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা যায় ভোটার আইডি বা আধার কার্ড। ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ইউটিলিটি বিল দেওয়া যায়। এর সঙ্গে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেটও লাগে।

আরও পড়ুন- হাসি হোক বা কান্না, WhatsApp-এ রিপ্লাই করা এবার হবে আরও মজাদার! জানুন নতুন ফিচ

বুধবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এখন থেকে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবই কিংবা ট্রেড লাইসেন্স, কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আই কার্ড বা সার্ভিস সার্টিফিকেট, রাজ্য, কেন্দ্র বা রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থার পিপিও, ল্যান্ডলাইন টেলিফোন কিংবা পোস্টপেইড মোবাইল কিংবা জল কিংবা বিদ্যুৎ বিল, পার্সপোর্ট এবং সম্পত্তি করের নথি দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামীরা সরকারি শংসাপত্র জমা দিয়েও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রথমে সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট parivahan.gov.in খুলতে হবে। সেখানে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে সরাসরি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন আবেদনকারী।

কলকাতায় সাধারণত দু’ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়। লার্নার্স পারমিট এবং পার্মানেন্ট লাইসেন্স। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে লার্নার্স পারমিট নিতে হয়। এরপর পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। লার্নার্স পারমিট ৬ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকে। এরপর আরটিও-তে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিয়ে পার্মানেন্ট লাইসেন্স পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন- গাড়ি চালানোর সময় হাতে মোবাইল ফোন রাখা যায়? ট্রাফিক আইন জেনে নিন

কলকাতায় গিয়ারড টু হুইলার এবং এলএমভি-র ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। গিয়ারলেস টু হুইলারে ১৬ বছর বা তার বেশি এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য বয়স ২০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।