Tag Archives: East Bengal Club

East Bengal : চূড়ান্ত ফিটনেসের লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হাড় ভাঙা পরিশ্রম করাচ্ছেন কনস্ট্যানটাইন

#কলকাতা: দায়িত্ব নিয়েই তিনি বলে দিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে সব দল। আসলে নিজের কোচিং এর ওপর এতটাই ভরসা রয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইনের। চূড়ান্ত ফিটনেস এবং ডিফেন্স জমাট রাখা, এই দুটোই স্টিফেনের মূলমন্ত্র। লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর চেনা ছন্দে ইস্টবেঙ্গল। সকাল ও বিকেল, দু’বেলাই চুটিয়ে অনুশীলন হচ্ছে লাল-হলুদে।

আরও পড়ুন – Ravi Dahiya : কুস্তিতে সোনার ঝড় ভারতের ! রবি, ভিনিশ এবং নবীন কুমার ইতিহাস লিখলেন

বিনো জর্জ এবং স্টিফেন কনস্টানটাইনের তত্ত্বাবধানে গা ঘামাচ্ছেন রিজার্ভ ও প্রধান দলের ফুটবলাররা। এছাড়াও চলছে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ও ক্রিকেট স্কুলের অনুশীলনও। বহু বছর পর প্রিয় ক্লাবের মাঠ সরগরম হওয়ায় খুশি সদস্য-সমর্থকরা। এদিন সকালে বৃষ্টির মধ্যেই রিজার্ভ দলকে পরখ করে নেন কোচ বিনো জর্জ।

আর বিকেলে মূল দল নিয়ে প্রস্তুতি সারেন হেড কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। মূলত ফুটবলারদের ফিটনেসের উপর জোর দিচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ। একইসঙ্গে চলছে পাসিং ফুটবল। ফুটবলারদের চাপ কাটাতে প্রস্তুতির মাঝে ছেলেদের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গেল স্টিফেনকে। ডুরান্ড কাপের আগে হাতে এখনও দু’সপ্তাহ সময় রয়েছে। তার আগে পুরো দল গুছিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য লাল-হলুদ কোচের।

আগামী দু-একদিনের মধ্যেই বিদেশি ফুটবলার চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিকে, শনিবার অনুশীলনে চোট পেলেন সার্থক গোলুই। মাঠের ধারে পায়ে বরফ বেঁধে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। যদিও চোট গুরুতর নয়।

এদিকে, ৭০ তম রাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৮১ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জিতল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ৪৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে মোহন বাগান। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার রাজ্য অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়ন হল লাল-হলুদ ব্রিগেড।

East Bengal : নতুন ইস্টবেঙ্গলকে ভয় পাওয়ার গ্যারান্টি দিলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন

#কলকাতা: ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে তিনটে। লেসলি ক্লডিয়াস সরণির মুখে দাঁড়িয়ে লাল-হলুদ সমর্থকরা। হাতে প্রিয় ক্লাবের পতাকা। মাঝেমধ্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব তাঁবুর দিকে তাকিয়ে তাঁদের দীপ্ত স্লোগান, জয় ইস্টবেঙ্গল। এরই মধ্যে এল টিমবাস। আর তার পিছনে দৌড় শুরু হল অত্যুৎসাহীদের। ক্লাব গেটের সামনে বাস দাঁড়াতেই সমর্থকরা অবাক।

আরও পড়ুন – ATK Mohun Bagan : বুঝতে পেরেছেন মোহনবাগানের চাপ, ভরসা দিতে তৈরি ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডন হামিল

সবার প্রথমে নামলেন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। বৃহস্পতিবার সকালেই শহরে পা রাখলেও তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে বিন্দুমাত্র জেট ল্যাগ নেই। সঙ্গেসঙ্গে শুরু হল ‘স্টিফেন, স্টিফেন’ ধ্বনি। সহকারী বিনো জর্জকে সঙ্গে নিয়ে মাঠেও সবার আগে প্রবেশ করলেন তিনি। ক্লাব অন্ত প্রাণ সমর্থকদের উন্মাদনা বৃহস্পতিবার সকালেই দিব্যি টের পেয়েছিলেন কনস্টানটাইন।

তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন অনেকেই। ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে বরণ করে নেওয়ার পর ছিল সেলফি তোলার আবদারও, যা হাসি মুখে মেটান কোচ। ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি সেখানেই তাঁর মুখে শোনা যায়। বিকেলে ক্লাব তাঁবু এসে তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য সম্পর্কে আমি অবগত। অতীতে জাতীয় দলের কোচ থাকার সুবাদে ভারতীয় ফুটবল আমার অজানা নয়। এখনই আইএসএল জেতার কথা ভাবছি না।

তবে এটুকু বলতে পারি, মাঠে প্রতিপক্ষরা ইস্ট বেঙ্গলকে সমীহ করবে। এদিন বিকেলে সবার আগে সহকারী বিনোকে নিয়ে মাঠ খাতিয়ে দেখেন তিনি। এরপরই মাঠে প্রবেশ করেন ১৫ জন ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে সার্থক গোলুই ও শুভাশিস রায়চৌধুরির সঙ্গে অতীতে কাজ করেছেন স্টিফেন।

বুধবারই ১৩ জন চুক্তিবদ্ধ প্লেয়ারের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিন যোগ দিয়েছেন গোলরক্ষক শুভাশিস ও রাইট ব্যাক লালচুংনুঙ্গা। ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয়পর্ব সেরেই অনুশীলনে নেমে পড়েন ব্রিটিশ কোচ। ওয়ার্ম-আপের পর হয় পাসিং ফুটবলও। অনুশীলনে চোখে পড়ছিল তাঁর অনুশাসনও।

প্লেয়াররা পাসিংয়ে ভুল করলে মিলছিল শাস্তি। সার্থক গোলুইদের পর গা ঘামাতে নামে ইস্ট বেঙ্গলের রিজার্ভ দল। প্র্যাকটিস দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় শ’পাঁচেক সমর্থক। গোটা সেশনে নতুন কোচ ও ফুটবলারদের উজ্জীবিত করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাঁরা। অনুশীলনের ফাঁকে কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতে দেখা যায় লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে।

East Bengal : আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল হবে ইস্টবেঙ্গলে! মোহনবাগানকে হুঙ্কার লাল হলুদের

#কলকাতা: ডুরান্ড কাপের কলকাতা ডার্বি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী ১৬ আগস্টের বদলে ২৮ আগস্ট বাঙালির বড় ম্যাচ। তার আগে ১ আগস্ট জাঁকজমক করে পালিত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর ২ আগস্ট কলকাতা একটি পাঁচ তারা হোটেলে জাঁকজমক করে পালিত হল ইনভেস্টার ইমামি এবং ইস্টবেঙ্গলের সই পর্ব।

ইনভেস্টার সংস্থার পক্ষ থেকে ডিরেক্টর আদিত্য আগারওয়াল জানিয়েছেন, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল তৈরি হবে। একটু সময় এবং ধৈর্য চাই সমর্থকদের কাছ থেকে। ইস্টবেঙ্গলের ঐতিহ্য এবং ট্রেডিশন মাথায় রেখেই আগামী দিনের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। তার আগে ডুরান্ড কাপ। সেখানেও কলকাতা ডার্বি ২৮ তারিখ।

চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে মাঠেই দেখে নেওয়ার হুঙ্কার ছাড়লেন লাল হলুদ কর্তা। ইস্টবেঙ্গল তার চেনা মেজাজে ডার্বি খেলবে জানাতে ভুললেন না তিনি। ভারতীয় ফুটবলারদের অধিকাংশ সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। চার থেকে পাঁচজন ভাল বিদেশি আনতে পারলে দলের শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে সন্দেহ নেই। ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে ৭৩ শতাংশ এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে ২৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে।

ডিরেক্টর বোর্ডে ইমামির ৭ জন এবং ইস্টবেঙ্গলের ৩ জন থাকবেন। যথেষ্ট বড় বাজেট নিয়ে কাজ করতে নামা হয়েছে। কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতের প্রাক্তন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে। ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান কাজে লাগবে ইস্টবেঙ্গল দলের। তবে খেলাধুলায় এই প্রথম নয়, আগেও টাকা ঢেলেছে ইমামি।

সিএবি, মেরি কম, বিজেন্দ্র, সুশীল কুমার বিভিন্ন অ্যাথলিটদের এর আগে স্পন্সর করেছে এই সংস্থা। তবে ইস্টবেঙ্গলে তাদের ভূমিকাটা আলাদা। ইনভেস্টার হিসেবে এসেছেন তারা। এই সম্পর্ক দীর্ঘদিনের হবে আশাবাদী দুই পক্ষ। এদিন উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড কাপে কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া বিনো জর্জ।

ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। বিখ্যাত ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আশাবাদী দেরিতে শুরু হলেও যেভাবে এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এবং তাদের ইনভেস্টার, তাতে ট্রফিতে ভেসে যাবে লাল হলুদ। পাশাপাশি মোহনবাগানকে ডার্বিতে দেখে নেওয়ার হুঙ্কারও দিয়ে রাখলেন লাল হলুদ কর্তা এবং ইনভেস্টার।

Emami East Bengal : ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এলেন বিনো জর্জ, লাল হলুদের লক্ষ্য ইংলিশ স্ট্রাইকার মার্ফি

#কলকাতা: শহরে পৌঁছে গিয়েছিলেন শুক্রবার রাতে। রাজারহাটের পাঁচতারা হোটেলে রাত কাটিয়ে শনিবার সকালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এলেন বিনো জর্জ। কেরালের কোচ অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সাথে সেভাবে কথা বলেননি। হাত মেরে হাসি দিয়ে ঢুকে গেলেন ক্লাবের ভেতর। অবশ্য তিনি আসার আগেই ক্লাবে চলে এসেছিল নতুন বাঙালি ফুটবলাররা।

এবার এক ঝাঁক প্রতিভাবান বাঙালি ফুটবলার নিয়েছে লাল হলুদ। সন্তোষ ট্রফিতে তারা কেউ কেউ খেলেছেন বাংলার হয়ে। অতীতে দেখা গিয়েছে বিনো স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে যথেষ্ট ভাল কাজ করেন। গোকুলাম কেরালা এবং সন্তোষ ট্রফিতে বাংলাকে হারিয়ে কেরলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে সঙ্গে করে তিনজন মালায়ালি ফুটবলার নিয়ে আসবেন তিনি। মাঠ দেখে খুশি তিনি।

বাঙালি ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব এবং তিনি কি চান মূলত এই নিয়েই আজ সভা ছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর ক্লাবে। শোনা যাচ্ছে ইমামি মঙ্গলবার যে সাংবাদিক সম্মেলন করবে তাতে কিছু বিদেশি ফুটবলারের নাম ঘোষণা হলেও হতে পারে। ভেসে আসছে স্ট্রাইকার হেপবার্ন মার্ফির নাম।

স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন বেশ পরিচিত এই ফুটবলারটির সঙ্গে। আস্টন ভিলা ক্লাবের একাডেমি থেকে তার উত্থান। ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব দলে খেলেছেন। শেষে ছিলেন সাইপ্রাসের প্রথম ডিভিশন ক্লাব পাফস এফসিতে। এছাড়াও একজন ফরাসি ফুটবলারের সঙ্গে কথা চলছে নাকি লাল হলুদের।

সব মিলিয়ে এইটুকু বোঝা যাচ্ছে শ্রী সিমেন্টের তুলনায় ইমামি শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টা করছে। অমরজিৎ, সুহের, সন্দেশকে নেওয়ার ব্যাপারেও চেষ্টা করবে লাল হলুদ। বাজেট হিসেবে যথেষ্ট বড় টাকা ধরা হয়েছে এবার। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য বেশিটাই নির্ভর করবে বিদেশি ফুটবলার নির্বাচনের ওপর। কারণ দলবদলের বাজারে পরে নামায় অধিকাংশ ভারতীয় ফুটবলার এখন আর খালি নেই।

Stephen Constantine : প্রতীক্ষার অবসান! আইএসএলে লাল হলুদের চিফ কোচ হলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন

#কলকাতা: ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন দুজন। পর্তুগালের জর্জ কস্তা এবং স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রাক্তন কোচকেই বেছে নিল লাল হলুদ ম্যানেজমেন্ট। ইনভেস্টার সংস্থা তাদের মত জানিয়ে দিল। কর্তাদেরও পছন্দের ছিলেন স্টিফেন। অতীতে ২০০২-২০০৫ এবং ২০১৫-২০১৯ ভারতের জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

ভারতীয় ফুটবল তার হাতের তালুর মত চেনা। তার মতো ফুটবল নিয়ে লেখাপড়া জানা ম্যানেজার খুব বেশি নেই। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি স্টিফেন ইস্টবেঙ্গল দলটাকে তৈরি করে নিতে পারেন। সঞ্জয় সেন এবং রঞ্জন ভট্টাচার্য প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও ইস্টবেঙ্গল এবং তাদের ইনভেস্টার সংস্থা ডুরান্ড কাপ এবং কলকাতা লিগের জন্য বেছে নিয়েছেন বিনো জর্জকে।

কেরলের গোকুলাম দলকে সাফল্য দিয়েছেন তিনি। বাংলাকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছেন। অতীতে বাংলায় ইউনাইটেড স্পোর্টস দলে কাজ করে গিয়েছেন। ফলে কলকাতার ফুটবল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিনো। আসন্ন মরশুমে ঘরোয়া লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে চলেছেন বিনো জর্জ।

শনিবারই ক্লাবের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শহরে পা রাখার কথা তাঁর। এই প্রসঙ্গে বিনো জানান, লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে যাব।

ঘরোয়া লিগের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৬জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি সেরে রেখেছে ক্লাব। পাশাপাশি সন্তোষ ট্রফিতে নজর কাড়া বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়ে আসছেন বিনো। স্টিফেন এবং বিনো জুটির কাছে চ্যালেঞ্জটা কিন্তু বেশ কঠিন।

East Bengal : বুধবার সই পর্ব প্রায় নিশ্চিত ইস্টবেঙ্গলের, লক্ষ্য সন্দেশ এবং অমরিন্দর

#কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই মুহূর্তের প্রধান প্রশ্ন দলের কোচ কে হবেন? শোনা যাচ্ছে তিনজন থেকে চার জনের নাম। প্রথমজন পর্তুগিজ জর্জ কস্তা, দ্বিতীয় জন পপোভিচ এবং তৃতীয় জন মাতেরাজ্জি। সবার আগে হেড কোচ নিযুক্ত করার কাজ হবে। শোনা যাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান থেকে সন্দেশ ঝিঙ্গণকে পেতে আগ্রহী ইস্টবেঙ্গল।

সন্দেশকে নিয়ে এটিকে মোহনবাগানের অবস্থান পরিষ্কার নয় এখনও পর্যন্ত। তার এজেন্ট নাকি কথাবার্তা শুরু করেছেন ইস্টবেঙ্গল দলের সঙ্গে। সন্দেশ ছাড়াও গোলরক্ষক অমরিন্দর সিং কে পেতেও চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তবে তাকে পেতে গেলে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে।

আরও পড়ুন – Cristiano Ronaldo : পার্টনারকে চরম সুখ দিতে এবার যৌনাঙ্গের মাপ বাড়ানোর ইনজেকশন নিচ্ছেন রোনাল্ডো !

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে গাঁটছড়া বাঁধবে ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি গ্রুপ। সেদিনই চুক্তিতে সই হওয়ার কথা। লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সইয়ের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পরই দলগঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সোমবার থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা।

শোনা যাচ্ছে দুই বিদেশির সঙ্গে চূড়ান্ত কথাবার্তাও সেরে ফেলেছে লাল হলুদ। ময়দানের খবর, নর্থ ইস্টে খেলা দেশর্ন ব্রাউন এবং ওড়িশা এফসির আরিদাই কাব্রেরার সঙ্গে পাকা কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। দু’জনেরই আইএসএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই নতুন করে ভারতীয় ফুটবল এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে না।

সরকারিভাবে ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরই সই করানো হবে ব্রাউনকে। বেঙ্গালুরু এবং নর্থ ইস্টে খেলেছেন জামাইকান ফুটবলার। হাইল্যান্ডারদের হয়ে নজর কাড়েন ব্রাউন। আইএসএলে হ্যাটট্রিকও রয়েছে তাঁর। গত দুই বছর একজন পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ব্রাউনের অন্তর্ভুক্তিতে সেই সমস্যা মিটতে পারে।

গত বছর ওড়িশাতে খেলা আরিদাইকেও পাওয়ার চেষ্টা করছে ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা হতে পারেন স্প্যানিশ উইঙ্গার। এই দুজন ছাড়াও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আরো বিদেশি ফুটবলার বাছাই করতে হবে লাল হলুদকে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেস আগেই সই করেছেন লাল হলুদে। দেরিতে শুরু করলেও পাঁচ থেকে ছয় জন দুর্দান্ত বিদেশি নিয়ে শক্তিশালী দল যতটা সম্ভব গড়ার চেষ্টায় ইস্টবেঙ্গল।

Manchester United-East Bengal Deal : ইস্টবেঙ্গলে টাকা ঢালছে নাকি ম্যান ইউ? সম্ভাবনা প্রবল বলছে ময়দান

#কলকাতা: অবশেষে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য ভাল খবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বড় চমক অপেক্ষা করছে ভারতীয় ফুটবলে। শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নাম। কয়েকদিন আগেই প্রিমিয়ার লিগের এই জনপ্রিয় দলের এক প্রতিনিধি এসেছিলেন কলকাতায়। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে গাঁটছড়ার পথে ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন – IPL 2022 Play Offs At Eden: কলকাতায় বৃষ্টি হলে আইপিএল প্লে-অফ ম্যাচের ফয়সালা হবে কী করে? জেনে নিন

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ইস্টবেঙ্গলে আসতে চলেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। বিনিয়োগকারী নিয়ে কাটতে চলেছে দীর্ঘদিনের জট। এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা না হলেও ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া যে ম্যান ইউ-এর হচ্ছেই, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সূত্রের খবর, চলতি মাসে একাধিক বার ম্যান ইউ কর্তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের বৈঠক হয়। এবং সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই খবর। আপাতত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নাম! এর আগে আইপিএলেও শোনা গিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নাম।

আইপিএলে দল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কর্ণধার গ্লেজার্স পরিবার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব ম্যান ইউয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত গ্লেজার্সরা। শোনা যাচ্ছিল, এক প্রাইভেট ইউকুইটির মাধ্যমে আইপিএলে দল কেনার দরপত্র তুলেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কর্ণধাররা।

কিন্তু শেষপর্যন্ত আইপিএলে আর আসা হয়নি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। আইপিএলে না হলেও ম্যাঞ্চেস্টার এবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে জুড়ে আইএসএলে নামবে, তা বলাই বাহুল্য। আর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে এবঙ্গে আনার ভগীরথ একজনই। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

শ্রী সিমেন্ট সরে যাওয়ার পরে ইনভেস্টর নিয়ে সত্যি সত্যিই সমস্যা একটা ছিল ইস্টবেঙ্গলে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও বলেন তাঁরা। বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও আলোচনা হয় লাল-হলুদ শীর্ষকর্তাদের। আলোচনা সারতে পদ্মাপাড়েও গিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। কিন্তু শেষমেশ সেই চুক্তি আর হয়নি। এখন অপেক্ষা কবে এই চুক্তির সরকারি ঘোষণা হয়।

East Bengal : ফের চমক! জামশেদপুরের তরুণ ফুটবলারকে দলে নিয়ে শক্তি বাড়াল ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: শোনা যাচ্ছে ভেতর ভেতর ইনভেস্টর বা স্পন্সর নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্ট দায়িত্ব ছাড়ার পর ইস্টবেঙ্গল কর্তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের বসুন্ধরা গ্রুপ ছাড়াও বেশকিছু স্পন্সরদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছিল লাল হলুদ। শেষ দু বছরের ব্যর্থতা ভুলতে মরিয়া তারা। দল গঠনের কাজ আরও এগোল ইস্টবেঙ্গলের।

আরও পড়ুন – Virat Kohli, RCB : সমালোচকদের চুপ করালেন কিং কোহলি, ‘বিরাট’ রান পেলেন শেষ পর্যন্ত

শনিবার জামশেদপুর এফসি-র প্রতিভাবান মিডফিল্ডার মোবাশির রহমানকে সই করাল লাল-হলুদ। ২৪ বছরের এই ফুটবলার এ বারের লিগ-শিল্ডজয়ী জামশেদপুর দলে ছিলেন। তাঁকে তিন বছরের চুক্তিতে সই করানো হয়েছে। রহমানের বাবা মহম্মদ শফিক বিহারের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। ২০০৮ সালে চণ্ডীগড় ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে ডাক পান তিনি।

কিন্তু তখনই তাঁকে সেখানে পাঠাতে চাননি মা-বাবা। ছেলেকে ফুটবল খেলতে দেবেন কিনা সে ব্যাপারে তখনও নিশ্চিত ছিলেন না তাঁরা। তবে দু’বছর পর মা-বাবাকে বুঝিয়ে সেখানেই প্রশিক্ষণ নিতে যান রহমান। চার বছর কাটিয়ে যোগ দেন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে। সেখান থেকে ২০১৮-এ জামশেদপুরের প্রাক মরসুম প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দেন। এর পর সেই ক্লাবের হয়েই পেশাদার চুক্তিতে সই করেন।

এখনও পর্যন্ত জামশেদপুরের হয়ে মোট ৫৩টি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। একটি গোল রয়েছে। গত মরসুমে তিনি ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন। জামশেদপুরের লিগ-শিল্ডজয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। শ্রী সিমেন্ট ক্রীড়াসত্ত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই দল গঠনের কাজে জোর দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই মুম্বই সিটি এফসি থেকে মহম্মদ রাকিপ এবং এফসি গোয়া থেকে ইভান গঞ্জালেজকে সই করিয়েছে তারা।

এছাড়া সার্থক গোলুই সই করেছেন ইস্টবেঙ্গলে। বিদেশি নির্বাচন এবং বাকি ফুটবলারদের বেছে নেওয়া ধীরে সুস্থে হবে। কেরলের সন্তোষ ট্রফি থেকে ফুটবলার তোলার ভাবনা আছে লাল-হলুদের। প্রাক্তন ফুটবলারদের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হবে ফুটবলার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে।