Tag Archives: Ekadashi

পৌষ পুত্রদা একাদশী: কোন পুণ্য তিথিতে এবং কেন পালন করা হয় এই পবিত্র ব্রত?

 

পক্ষ: শুক্লপক্ষ

তিথি: একাদশী তিথি

বাংলা মাস: পৌষ

ইংরাজি মাস: ডিসেম্বর-জানুয়ারি

আরাধ্য দেবতা: ভগবান নারায়ণ (ভগবান বিষ্ণু/শ্রীকৃষ্ণ)

তাৎপর্য: পুত্র সন্তান লাভ

 

হিন্দু শাস্ত্র মতে, একাদশী খুবই গুরুত্বপূর্ণ তিথি। সনাতন ধর্মে প্রচলিত রয়েছে যে, একাদশী তিথি ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত পছন্দের তিথি। আর ভক্তেরা এই তিথিতে উপবাস এবং পুজো-প্রার্থনা করে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করে থাকেন। এই দিনটিতে শুধুমাত্র ফল, শাক-সবজি এবং দুগ্ধজাত খাবারই খাওয়া উচিত। ভাত বা চালের তৈরি খাবার না-খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। দিনপঞ্জি অনুযায়ী, এক বছরে সাধারণত ২৪টি একাদশী পাওয়া যায়। কিন্তু লিপ ইয়ারে আবার দুটো অতিরিক্ত অর্থাৎ মোট ২৬টি একাদশী পড়ে। একাদশীর পুণ্য তিথিতে যাঁরা এই ব্রত পালন করে উপবাস করেন, তাঁরা অশুভ গ্রহের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই ভক্তদের জীবন আনন্দে ভরে ওঠে। আর এই তিথিতে ঈশ্বরের আরাধনা করলে ও ঈশ্বরের কথা ভাবলে মনে শান্তি আসবে। সেই সঙ্গে মোক্ষলাভের পথও প্রশস্ত হয়।

 

পৌষ পুত্রদা একাদশী:

হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, প্রতি বছর পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পৌষ পুত্রদা একাদশীর ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। আর ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতেই সাধারণত পড়ে এই পুণ্য তিথি। পুত্রদা শব্দের অর্থ হল পুত্র প্রদানকারী। আর যে-হেতু এই তিথি পৌষ মাসে পড়ে, তাই এর নাম পৌষ পুত্রদা একাদশী। ভীষণই পবিত্র এই দিনটিতে পুত্র সন্তান কামনার আশায় মন-প্রাণ থেকে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করা হয়। সাধারণত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতেই পৌষ পুত্রদা একাদশী পালন করা হয়। আবার দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু অংশে বৈকুণ্ঠ একাদশী, স্বর্গবটিল একাদশী অথবা মুক্কোতি একাদশী রূপে পৌষ পুত্রদা একাদশী পালন করা হয়।

 

প্রচলিত কাহিনি:

ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত রয়েছে পুত্রদা একাদশীর কাহিনি। এই কাহিনি যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। প্রচলিত রয়েছে, ভদ্রাবতীর এক রাজা সুকেতুমন এবং তাঁর স্ত্রী শৈব্যার কোনও সন্তান ছিল না। বংশধর না-থাকার যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। রাজদম্পতির পাশাপাশি তাঁদের মৃত পূর্বসূরিরাও এই আশঙ্কাতেই কাতর ছিলেন যে, মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা দান করার মতো কোনও বংশধর আর নেই। ফলে মৃত আত্মাও শান্তি পাবে না। এই যন্ত্রণার মধ্যেই এক সময় ঘর ছাড়েন রাজা। তিনি চলে গিয়েছিলেন এক গভীর অরণ্যে। সেখানে কয়েক দিন ঘুরে বেড়ানোর পরে পুত্রদা একাদশীর পবিত্র তিথিতে মানসরোবর হ্রদের ধারে ঋষিদের এক আশ্রমে পৌঁছন সুকেতুমন। এর পর সেখানে তিনি ঋষিদের থেকে জানতে পারেন যে, তাঁরা দশ জন ঐশ্বরিক বিশ্বদেব। এর পর ওই ঋষিরা রাজা সুকেতুমনকে পুত্র লাভের জন্য পুত্রদা একাদশীর উপবাস পালন করার বিধান দেন। রাজা সেই উপবাস পালন করে নিজের রাজ্যে ফিরে আসেন। আর খুব শীঘ্রই তাঁদের ঘর আলো করে জন্মায় এক পুত্রসন্তান। যিনি পরবর্তীকালে এক পরাক্রমী রাজা হয়ে উঠেছিলেন।

 

নিয়ম-রীতি:

যে-সব মহিলারা পুত্র সন্তান কামনা করছেন, তাঁদের পুত্রদা একাদশীতে উপবাস পালন করতে হবে। এর পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করতে হয়। এমনকী যে-সব দম্পতির সন্তান রয়েছে, তাঁরা সেই সন্তানের মঙ্গলকামনায় পৌষ পুত্রদা একাদশীর ব্রত পালন করতে পারেন। এই পবিত্র তিথিতে শস্য, বিনস, সিরিয়ালস, কিছু সবজি এবং মশলাদার খাবার খাওয়া চলবে না। পৌষ পুত্রদা একাদশী উত্তর ভারতেই সবথেকে বেশি প্রচলিত। দেশের অন্যান্য রাজ্য গুলিতে শ্রাবণ মাসের পুত্রদা একাদশীর ব্রত পালন করা হয়।

 

কী ভাবে এই ব্রত পালন করা হয়?

সাধারণত ভক্তরা সারা রাত জাগেন এবং ভগবান বিষ্ণুর পুজো করেন। বিষ্ণু সহস্র নাম জপ করা হয় এবং ভগবান বিষ্ণুর নাম-গানও করেন ভক্তরা। আর যাঁরা রাত জাগেন না, তাঁদের পরের দিন অনেক ভোরে অর্থাৎ ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে ওঠা উচিত।

 

জুলাই মাসে ৩টি একাদশী! দেব, গন্ধর্ব ও সূর্যের পূজায় মিলবে আশ্চর্য ফল, জানুন কীভাবে

সবেমাত্র জুলাই মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে আষাঢ় ও শ্রাবণ দুটি মাসই রয়েছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসে দুটি একাদশী পালিত হয়। শ্রাবণ মাসও শুরু হচ্ছে জুলাই মাস থেকে। এমন পরিস্থিতিতে এই মাসেই পড়বে শ্রাবণ একাদশী। এই ভাবে এক মাসে ৩টি একাদশী পড়ছে। একই মাসে ৩টি একাদশী পালনকে সাধারণত শুভ বলে মনে করা হয়।

হিন্দু ধর্মে একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম। শাস্ত্র মতে একাদশী এমন উপবাস পালন করলে ভক্তরা স্বর্গগদর্শন লাভ করেন। এতে পূর্বপুরুষদের আত্মাও শান্তি পায়। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলেও অনেক বছর পর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এমন একটি বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে যাতে এক মাসে ৩টি একাদশী পড়ছে।

আরও পড়ুন: নাশপাতির মতো দেখতে কিন্ত নাশপাতি নয়! হাড় মজবুত করে ডায়াবেটিস, রক্তশূন্যতা দূরে রাখে, জানেন এই ফলের নাম কি?

যোগিনী একাদশী

আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের যোগিনী একাদশী ২০২৪ সালের ২ জুলাই পড়ছে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই উপবাসের মহিমার কারণে মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গ লাভ করে। শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে, যোগিনী একাদশীর উপবাস করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণকে খাওয়ানোর সমান পুণ্য লাভ হয়। যে ব্যক্তি এই সময় উপবাস পালন করেন তিনি স্বর্গে পৌঁছে তাঁর জীবনের সমস্ত সুখ ভোগ করেন।

দেবশয়নী একাদশী

আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দেবশয়নী একাদশী ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই পালিত হবে। হিন্দু ধর্মে এমনটা মনে করা হয় যে, এই দিন থেকে বিষ্ণু ৪ মাসের জন্য নিদ্রা যান। দেবশয়নী একাদশীর দিন থেকে, ভগবান বিষ্ণু ৪ মাসের জন্য যোগ নিদ্রায় যান এবং ভগবান শিবের কাছে সৃষ্টির দায়িত্ব অর্পণ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে দেবশয়নী একাদশীর উপবাস করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়ানো যায়। পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন সালে অক্টোবর মাস ৩১ নয়, ২১ দিনে হয়েছিল? কেন বাদ দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন? সত‍্যিটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে

কামিকা একাদশী

শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের কামিকা একাদশী ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখে পালিত হবে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বাস করা হয় যে, এই উপবাস পালন করলে বাজপেয়ী যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়। কামিকা একাদশীর পূজা করলে সকল দেবতা, গন্ধর্ব ও সূর্যের পূজার ফল পাওয়া যায়। এইও দিন উপবাস করলে একজন ব্যক্তির জীবনে সমস্ত সুখ অর্জিত হয় এবং সমস্ত দুঃখের অবসান ঘটে।

Shayanai Ekadashi 2024: মা লক্ষ্মীর হাত থাকবে মাথার উপর, শায়নী একাদশীতে ৫টি নিয়মে বদলে যাবে ভাগ্য, সময়সূচি মেন পুজো, টাকার গদিতে বসবেন

শয়নী একাদশী ২০২৪: প্রতি বছর ২৪টি একাদশী হয়। এই মতে প্রতি মাসে দুটি একাদশী হয়। এমন পরিস্থিতিতে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী কবে পালিত হবে? একে বলা হয় দেবশয়নী একাদশী, পদ্মনাভ একাদশী ও হরিশায়নী একাদশী। জ্যোতিষীর মতে, ভগবান শ্রী হরি আষাঢ়ী একাদশীর দিনে যোগ নিদ্রায় যান এবং তারপর কার্তিক মাসে দেবুথানী একাদশীর দিনে জেগে ওঠেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কখন হরিশায়নী একাদশী পড়ছে।
শয়নী একাদশী ২০২৪: প্রতি বছর ২৪টি একাদশী হয়। এই মতে প্রতি মাসে দুটি একাদশী হয়। এমন পরিস্থিতিতে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী কবে পালিত হবে? একে বলা হয় দেবশয়নী একাদশী, পদ্মনাভ একাদশী ও হরিশায়নী একাদশী। জ্যোতিষীর মতে, ভগবান শ্রী হরি আষাঢ়ী একাদশীর দিনে যোগ নিদ্রায় যান এবং তারপর কার্তিক মাসে দেবুথানী একাদশীর দিনে জেগে ওঠেন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কখন হরিশায়নী একাদশী পড়ছে।
যে ভুলগুলো একেবারেই করবেন না এই দিন-দেবশয়নী একাদশীর দিনটি অত্যন্ত পবিত্র।দেবশয়নী একাদশীতে, সকালে প্রথমে স্নান করে উপবাস করার সংকল্প করুন এবং তারপর সন্ধ্যায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। পূজায় দেবী লক্ষ্মীকে পদ্মফুল, গোলাপ ফুল, জবা ফুল এবং হলুদ কড়ি অর্পণ করুন। এই সব জিনিসই মা লক্ষ্মীর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তারপরে মাখান খির এবং দুধ থেকে তৈরি মিষ্টি দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন। এতে শীঘ্রই আপনার বাড়ি এবং ব্যবসায় অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
যে ভুলগুলো একেবারেই করবেন না এই দিন-দেবশয়নী একাদশীর দিনটি অত্যন্ত পবিত্র।দেবশয়নী একাদশীতে, সকালে প্রথমে স্নান করে উপবাস করার সংকল্প করুন এবং তারপর সন্ধ্যায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন। পূজায় দেবী লক্ষ্মীকে পদ্মফুল, গোলাপ ফুল, জবা ফুল এবং হলুদ কড়ি অর্পণ করুন। এই সব জিনিসই মা লক্ষ্মীর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। তারপরে মাখান খির এবং দুধ থেকে তৈরি মিষ্টি দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করুন। এতে শীঘ্রই আপনার বাড়ি এবং ব্যবসায় অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন- এই দিনে ভাত বা চাল দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়া উচিত নয়। - এই দিনে নখ বা চুল কাটা উচিত নয়। - দেবশয়নী একাদশীতে লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরুন।
এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন-
এই দিনে ভাত বা চাল দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়া উচিত নয়।
– এই দিনে নখ বা চুল কাটা উচিত নয়।
– দেবশয়নী একাদশীতে লাল বা হলুদ রঙের পোশাক পরুন।
দেবশয়নী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পূজায় একটি রুপোর টাকা রাখুন এবং পূজা শেষ হওয়ার পর পরদিন সকালে স্নান করার পর এই মুদ্রাটি তুলে নিন এবং তারপর একটি হলুদ কাপড়ে বেঁধে আপনার তিথিতে রাখুন। এই প্রতিকার অনুসরণ করে আপনার কোষাগার কখনই টাকা খালি হবে না।
দেবশয়নী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পূজায় একটি রুপোর টাকা রাখুন এবং পূজা শেষ হওয়ার পর পরদিন সকালে স্নান করার পর এই মুদ্রাটি তুলে নিন এবং তারপর একটি হলুদ কাপড়ে বেঁধে আপনার তিথিতে রাখুন। এই প্রতিকার অনুসরণ করে আপনার কোষাগার কখনই টাকা খালি হবে না।
দেবশয়নী একাদশী একাদশীর পূজায় আখ দিন। এদিন তুলসী গাছে আখের রস নিবেদন করলে আটকে থাকা টাকা ফিরে পাওয়া যায়। এছাড়াও, তুলসী গাছে হলুদ মিশ্রিত জল নিবেদন করা খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, দেবশয়নী একাদশীতে তুলসী গাছে লাল চুনরি ঢেকে দিলে উপকার পাবেন। এই প্রতিকার করলে আপনি ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন।
দেবশয়নী একাদশী একাদশীর পূজায় আখ দিন। এদিন তুলসী গাছে আখের রস নিবেদন করলে আটকে থাকা টাকা ফিরে পাওয়া যায়। এছাড়াও, তুলসী গাছে হলুদ মিশ্রিত জল নিবেদন করা খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, দেবশয়নী একাদশীতে তুলসী গাছে লাল চুনরি ঢেকে দিলে উপকার পাবেন। এই প্রতিকার করলে আপনি ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন।
দেবশয়নী একাদশীতে কলা গাছের পুজো করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। এই দিনে কলা গাছে হলুদ মিশ্রিত জল নিবেদন করুন এবং চালের ডাল ও গুড়ও নিবেদন করুন। দেবশয়নী একাদশীর উপবাসের পর অভাবী মানুষকে কলা ফল দান করুন। এতে করে ভগবান বিষ্ণু শীঘ্রই আপনার প্রার্থনা শুনবেন এবং আপনার ঘর লক্ষ্মীতে ভরে যাবে।
দেবশয়নী একাদশীতে কলা গাছের পুজো করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। এই দিনে কলা গাছে হলুদ মিশ্রিত জল নিবেদন করুন এবং চালের ডাল ও গুড়ও নিবেদন করুন। দেবশয়নী একাদশীর উপবাসের পর অভাবী মানুষকে কলা ফল দান করুন। এতে করে ভগবান বিষ্ণু শীঘ্রই আপনার প্রার্থনা শুনবেন এবং আপনার ঘর লক্ষ্মীতে ভরে যাবে।
Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷

Astrology: জুলাই মাসে বিরল কাকতালীয় যোগ! এক মাসে ৩টি একাদশী, দুর্লভ শুভ যোগে এই কাজ করলেই বন্ধ ভাগ্য খুলবে

সদ্যই জুলাই মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিরল যোগ রয়েছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসে দুটি একাদশী হয়। শ্রাবণ মাসও শুরু হচ্ছে জুলাই মাসে। এমন পরিস্থিতিতে এই মাসেই পড়বে শ্রাবণ একাদশীও। এভাবে এক মাসে ৩টি একাদশী পড়ছে।
সদ্যই জুলাই মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিরল যোগ রয়েছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি মাসে দুটি একাদশী হয়। শ্রাবণ মাসও শুরু হচ্ছে জুলাই মাসে। এমন পরিস্থিতিতে এই মাসেই পড়বে শ্রাবণ একাদশীও। এভাবে এক মাসে ৩টি একাদশী পড়ছে।
হিন্দু ধর্মে একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম। শাস্ত্র মতে একাদশী এমন একটি উপবাস যার কারণে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায়। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলেও বছরের পর বছর  ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এমন একটি বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে যাতে এক মাসে ৩ টি একাদশী পড়েছে।
হিন্দু ধর্মে একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম। শাস্ত্র মতে একাদশী এমন একটি উপবাস যার কারণে পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায়। প্রতি মাসে দুটি একাদশী হলেও বছরের পর বছর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এমন একটি বিরল কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে যাতে এক মাসে ৩ টি একাদশী পড়েছে।
যোগিনী একাদশী-আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের যোগিনী একাদশী ২০২৪ সালের ২ জুলাই অর্থাৎ আজ পড়েছে। শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে যোগিনী একাদশীর উপবাস করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণকে খাওয়ানোর সমান পুণ্য লাভ হয়। ব্যক্তি স্বর্গে পৌঁছে তার জীবনের সমস্ত সুখ ভোগ করে।
যোগিনী একাদশী-আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের যোগিনী একাদশী ২০২৪ সালের ২ জুলাই অর্থাৎ আজ পড়েছে। শাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে যোগিনী একাদশীর উপবাস করলে ৮৮ হাজার ব্রাহ্মণকে খাওয়ানোর সমান পুণ্য লাভ হয়। ব্যক্তি স্বর্গে পৌঁছে তার জীবনের সমস্ত সুখ ভোগ করে।
দেবশয়নী একাদশী - আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দেবশয়নী একাদশী ২০২৪ সালের ১৭  জুলাই। দেবশয়নী একাদশীর দিন থেকে ভগবান বিষ্ণু ৪ মাসের জন্য যোগ নিদ্রায় যান এবং ভগবান শিবের কাছে সৃষ্টির দায়িত্ব অর্পণ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে দেবশয়নী একাদশীর উপবাস করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়ানো যায়। পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
দেবশয়নী একাদশী – আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দেবশয়নী একাদশী ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই। দেবশয়নী একাদশীর দিন থেকে ভগবান বিষ্ণু ৪ মাসের জন্য যোগ নিদ্রায় যান এবং ভগবান শিবের কাছে সৃষ্টির দায়িত্ব অর্পণ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে দেবশয়নী একাদশীর উপবাস করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়ানো যায়। পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
কামিকা একাদশী - শবন মাসের কৃষ্ণপক্ষের কামিকা একাদশী ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখে। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাস পালন করলে বাজপেয়ী যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়। কামিকা একাদশীর পূজা করলে সকল দেবতা, গন্ধর্ব ও সূর্যের পূজার ফল পাওয়া যায়। একজন ব্যক্তির জীবনে সমস্ত সুখ অর্জিত হয় এবং সমস্ত দুঃখের অবসান ঘটে।
কামিকা একাদশী – শবন মাসের কৃষ্ণপক্ষের কামিকা একাদশী ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখে। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাস পালন করলে বাজপেয়ী যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়। কামিকা একাদশীর পূজা করলে সকল দেবতা, গন্ধর্ব ও সূর্যের পূজার ফল পাওয়া যায়। একজন ব্যক্তির জীবনে সমস্ত সুখ অর্জিত হয় এবং সমস্ত দুঃখের অবসান ঘটে।

Devshayani Ekadashi: জুলাইয়ের এই তারিখেই দেবশয়নী একাদশী! পরের ৪ মাস শুভ কাজে নিষেধ! জানুন দিনক্ষণ ও তিথি

বৈদিক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন অর্থাৎ রবিবার থেকে পড়ে যাচ্ছে আষাঢ় মাস। আর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিকেই দেবশয়নী একাদশী বা বিষ্ণুশয়নী একাদশী নামে পরিচিত। আসলে বছরের অধিমাসগুলিকে যোগ করা হলে মোট ২৬টি একাদশীর ব্রত পালন করা হয়। তবে দেবশয়নী একাদশীর এক নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে জগতের পালনকর্তা ভগবান শ্রীহরি বিষ্ণু নিদ্রায় গমন করেন।

কাশীর জ্যোতিষী পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় জানান, দেবশয়নী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণু শয়ন ভঙ্গিতে রত হন। এরপরের ৪ মাস ক্ষীরসাগরে ওই অবস্থাতেই থাকেন তিনি। আর চার মাসের পরে প্রবোধনী একাদশীর দিনে ভগবান শ্রীহরি বিষ্ণু জাগ্রত হন। তাই এই চার মাস সকল প্রকার শুভকাজ সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ থাকে।

দেবশয়নী একাদশী কখন?

পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় জানান, বৈদিক পঞ্চাঙ্গ অনুসারে আষাঢ় শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি আগামী ১৬ জুলাই শুরু হচ্ছে বিকেল ৫টা ০৮ মিনিটে। যা চলবে পরের দিন অর্থাৎ আগামী ১৭ জুলাই বিকেল ৫টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে উদয়াতিথি অনুসারে আগামী ১৭ই জুলাই দেবশয়নী একাদশী পালিত হবে।

আরও পড়ুন : রান্নাঘরে সবজির খোসা রোজ ফেলে দেন? আকাশছোঁয়া উপার্জন হাতছাড়া করছেন! জানুন সুবর্ণসুযোগ

দূর হবে সকল সমস্যা

পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় জানান, ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে সকল সমস্যা দূর হবে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে উপবাস পালন করে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে সকল প্রকার কষ্ট দূর হয়। এছাড়া পরিবারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বিবাহিত জীবন সুখের হয় এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদও পাওয়া যায়।

এইভাবে করতে হবে উপবাসের সঙ্কল্প:

পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায়ের পরামর্শ, দেবশয়নী একাদশীর দিন সকালে স্নান করে ভগবান বিষ্ণুর ধ্যান করে ব্রতের সঙ্কল্প করা উচিত। তারপরে অন্ন ত্যাগ করে সারা দিন উপবাস পালন এবং ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করতে হবে। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ হবে।