ব্লাড সুগার সারাতে হিমশিম? রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন অপরিহার্য। কিন্তু জানেন কি, কিছু ফুলও সাহায্য করতে পারে আপনাকে! চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ৫ ফুল যা প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর, রক্তে শর্করার ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে এগুলিই।ডালিয়া (Dahlia) অক্সফোর্ড একাডেমিক লাইফ মেটাবলিজম-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডালিয়া ফুলের পাপড়িতে তিনটি অণু থাকে যা প্রিডায়াবেটিস এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আগে দেখেছেন যে খাদ্যতালিকাগত ফ্ল্যাভোনয়েড বিউটিন মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে পারে, যার ফলে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত হয়। নতুন গবেষণায় ডালিয়ার পাপড়িগুলিকে বুটেইনের উত্স হিসাবে হাইলাইট করা হয়েছে, পাশাপাশি আরও দুটি যৌগ যা এর কার্যকারিতা বাড়ায়।নয়নতারা ফুল (Madagascar Periwinkle) মাদাগাস্কার পেরিউইঙ্কলকে আমরা চিনি নয়নতারা ফুল বলেই! বিপুল ওষধিগুণ সমৃদ্ধ এই ফুল নানা রোগ সারাতে কাজে লাগে। ঐতিহ্যগতভাবে ডায়াবেটিস, গলার সংক্রমণ, রক্তচাপ, ক্যান্সার এবং ত্বকের রোগ সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে এই ফুল। যদিও অনুপযুক্ত ডোজ এর ব্যবহারকে বিপজ্জনক করে তুলতে পারে। এই উদ্ভিদ থেকে কিছু বিশুদ্ধ যৌগ ইউএস এফডিএ দ্বারা ইনজেকশনের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিত্সার জন্য অনুমোদিত হয়েছে। কোনও অবস্থার জন্য এর ব্যবহার বিবেচনা করার আগে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।কলার ফুল বা মোচা (banana flower) ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের 2013 সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, কলার ফুল খাওয়া শরীরের বর্ধিত শর্করার সঙ্গে যুক্ত একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কলার ফুল ওজন কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্রকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে।জবা ফুল (hibiscus) হিবিস্কাস চায়ের উপকারিতা কে না জানে! জবা বা হিবিস্কাস ফুল থেকে তৈরি এই উজ্জ্বল রঙের পানীয় শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সাধারণ। কিছু গবেষণায় আরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে হিবিস্কাস ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি করতে পারে, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সহায়ক বিকল্প তৈরি করে।অপরাজিতা ফুল (Butterfly Pea flower) Clitoria ternatea বা অপরাজিতা ফুল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে একটি আকর্ষণীয় নীল ফুল। এটি ঐতিহ্যগতভাবে এর ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ফুলটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, এর হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য ধন্যবাদ, এটি ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী করে তোলে।Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
দেবী দুর্গার পদ্ম, শিউলি ভীষণ প্রিয় ফুল। পাশাপাশি জবা ফুল দেওয়া যায় মহামায়াকে। কিন্তু আরও তিনটি ফুল পেলে খুশি হন দেবী।বিশিষ্ট পুরোহিত ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, দেবী দুর্গার ভীষণ পছন্দের ফুল পদ্ম এবং শিউলি। তবে দুর্গাপূজোর সময় পদ্ম বা শিউলি ফুলের পাশাপাশি দেবীকে আকন্দ, অপরাজিতা বা করবী ফুল দেওয়া যায়।তিনি জানিয়েছেন, আকন্দ মহাদেবের ভীষণ প্রিয় ফুল। আবার বলা হয় সাদা আকন্দ ফুলের মূলে সিদ্ধিদাতা গণেশের বাস। তাই ১০৮ টি আকন্দ ফুলের মালা দুর্গাপুজোর সময় দেবীকে অর্পণ করতে পারেন।অপরাজিতা ফুলও দেবী দুর্গার ভীষণ প্রিয়। এক্ষেত্রে সাদা অথবা নীল অপরাজিতা দেবীকে অর্পণ করতে পারেন। এমনিতেই বিজয়া দশমীতে অপরাজিতার পুজো হয়। বিশ্বাস করা হয়, দেবীকে অপরাজিতা ফুল অর্পণ করলে, সব কাজে আপনি অপরাজেয় থাকবেন।এছাড়াও আরও একটি ফুল দেবীর ভীষণ পছন্দের। এই ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ মহানবমীর যজ্ঞ। দেবী দুর্গার অপার কৃপা পেতে হলে তাকে অর্পণ করতে পারেন সাদা করবী ফুলের মালা। মালা না পারলে অন্ততপক্ষে ১১ টি করবী ফুল দেবীকে অর্পণ করে মনস্কামনা জানান। ইচ্ছাপূরণ হবে।।
