লাইফস্টাইল Fungal Infection in Monsoon: বর্ষায় যখন তখন হানা দিতে পারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন, চুলকানি-র্যাশ থেকে ত্বককে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন? Gallery August 25, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে এবং জীবাণুর সংস্পর্শে আসার কারণে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। হাত-পা, পিঠ-গলায় র্যাশ বেরোয়, চুলকানি ও অস্বস্তি বাড়ে। এই মরশুমে ত্বককে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) বর্ষায় জল-কাদা, জামা-কাপড় শুকনো করার অসুবিধা, নানা অসুখ, সর্দি-কাশি অবশ্যই এর খারাপ দিক। এ ছাড়া এই বর্ষায় ভিজে ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়ার জন্য কিছু ছত্রাকঘটিত সমস্যাও বর্ষায় সমস্যায় ফেলে আমাদের। বর্ষার আবহাওয়ায় জীবাণুরা আলাদা প্রাণশক্তি পায়, তাই রূপচর্চা থেকে শুরু করে চলতি জীবনেও নানা ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জরুরি সাবধানতা মানতে হবে জানেন? বর্ষার অন্যতম সমস্যা জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। গন্তব্যে গিয়ে তা বদলে ফেলতে পারলে খুবই ভাল হয়। এক সেট অতিরিক্ত মোজাও রাখুন ব্যাগে। ভিজে পোশাক গায়ে শুকোনো বা এসিতে শুকিয়ে নেওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এতে শরীরের ছত্রাকঘটিত রোগ হানা দেখা দিতে পারে। জুতো ভিজে গেলে ভেজা জুতো পায়ে সময় কাটাবেন না। সুযোগ থাকলে পা থেকে জুতো খুলে বসুন। এমনটা সম্ভব না হলে অন্তত মোজাটা বদলে পা ভাল করে মুছে নিন কিংবা দ্রুত বাড়ি ফিরে ভাল করে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। অন্তর্বাস বাছার সময়ও সতর্ক হোন। বর্ষায় কোনও ভাবেই স্যাঁতসেতে অন্তর্বাস বাছবেন না। এতে অন্তর্বাসের ভেজা দিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে ঘর্ষণের ফলে ছত্রাকঘটিত নানা সমস্যা আনতে পারে। বর্ষায় গুমোট আবহাওয়া বা কড়া রোদের কারণে ভালই ঘাম হয়। তাই চেষ্টা করুন সুতির পোশাক বাছতে। সানস্ক্রিন, ছাতা এগুলো অবশ্যই সঙ্গে রাখুন। বৃষ্টি ভিজলে বাড়ি ফিরেই গরম জল-সাবান দিয়ে স্নান সারুন। মাথায় বৃষ্টির জল বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তো আছেই, সঙ্গে বৃষ্টির জল থেকে মাথার ত্বকেও ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। ত্বককে আর্দ্র রাখুন। ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে টোনার, ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বর্ষার উপযুক্ত ফেসিয়াল বেছে নিন। পাকা পেঁপে, ওটস ও মধু মেশানো ফেস প্যাক ব্যবহার করুন। এত কিছুর জোগান না থাকলে দুধের সর লাগাতে পারেন মুখে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
লাইফস্টাইল Monsoon Disease: বর্ষায় সংক্রমণের রোগ! সারা গায়ে দাগ, চুলকানি… চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন কীভাবে প্রতিরোধ করবেন Gallery July 6, 2024 Bangla Digital Desk বর্ষা স্বস্তি নিয়ে আসে ঠিকই, তবে এই মরশুম এলেই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল ত্বকের সমস্যা। আর ত্বকের সমস্যা মানেই চুলকানি। কখনও কখনও চুলকানি এত বেশি হয় যে, ত্বক থেকে রক্তও বার হতে শুরু করে। বর্ষাকালে ত্বকে এই চুলকানি হয় ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে। সেই কারণে বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলিতে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন দেড়শোরও বেশি রোগী উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানির সোওয়ন সিং জিনা বেস হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন। এঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ রোগী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ভুগছেন। ছত্রাক সংক্রমণ সবাইকে প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন স্নান করা ছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি সুষম পরিমাণে বিশুদ্ধ জল পান করতে এবং মরশুমী ফল ও শাকসবজি খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্ষায় আর্দ্রতা বেশি হওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক সংক্রমণ ঘটায়। ছত্রাক সংক্রমণ যে কোনও বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের যে কোনও অংশ তা হতে পারে। তবে সব ধরনের ছত্রাক ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ওই হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কিরণ কেসি লোকাল ১৮-কে বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে এবং দীর্ঘক্ষণ ভেজা কাপড়ে থাকার কারণে সাধারণত ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের যে কোনও স্থানে এই ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিদিন অন্তত ২ বার করে স্নান করা উচিত এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরতে হবে। আর নিজের তোয়ালে এবং সাবান আলাদা করতে হবে। বৃষ্টিতে ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে ঘরে পৌঁছেই স্নান সেরে পরিষ্কার জামাকাপড় পরা উচিত। আর বৃষ্টির দিনে সব সময় ইস্ত্রি করা কাপড় পরলেই ভাল হয়। ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ কী কী? এর জবাবে ওই চিকিৎসক বলেন যে, ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণগুলি হল- ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, জ্বালাপোড়া, লাল ফুসকুড়ি, ত্বকের খোসা ওঠা, সংক্রামিত স্থানে চুলকানি ও ব্যথা, ত্বকে লালচে ভাব ইত্যাদি।