Tag Archives: Game

Crime News: গেম খেলতে বারণ করাই কাল হল! ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাকাকে কোপ মারল দুই ভাইপো, তারপর…

মুর্শিদাবাদ: ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে নিষেধ করায় কাকার হাতে কোপ মারল দুই ভাইপো। কেটে গেল হাতের আঙুল। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ভগবানগোলা থানার পুরাতন নওদাপাড়া কুঠিরামপুর এলাকায়। আঙুল কেটে গুরুতর আহত হয় ২ জন।

কাটা আঙুল-সহ তড়িঘড়ি আহত স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার করে কানাপুকুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযুক্ত দুই ভাইপো তাজলিম সেখ ও তারমিম সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভগবানগোলা থনায়। অভিযোগের ভিত্তিতে আহত আইজুদ্দিন সেখের ভাই জামাল সেখকে আটক করেছে। ভগবানগোলা থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন-        বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

প্রতিদিনই বাড়ির পাশে বসে ফ্রি ফায়ার গেমের আসর। মোবাইলে অতিরিক্ত আওয়াজ সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় পড়াশোনা করতে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছিল আজমাইনা খাতুনের। বাবাকে বলায় ভাই জামাল শেখের দুই ছেলেকে ডেকে গেম খেলতে নিষেধ করেন আইজুদ্দিন শেখ। আর তা নিয়ে কাকা ভাইপোর মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তারপরেই দুই ভাইপো এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাকা আইজুদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রীকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আইজুদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রী আলিয়া বিবির হাতের আঙুল কেটে যায়। তড়িঘড়ি তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন-         ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

আহত আইজুদ্দিন শেখের মেয়ে আজমাইনা খাতুন বলে, প্রতিদিনই আমার কাকার ছেলেরা দলবল নিয়ে বাড়ির সামনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলে। পড়াশোনা করতে আমার খুব সমস্যা হয়। সেই কারণে বাবা আমার কাকার ছেলেদের বাড়ির সামনে গেম খেলতে নিষেধ করেছিল। তারপরেই আমার কাকার ছেলেরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমার বাবা মাকে কোপায়। আহত আইজুদ্দিন সেখ বলেন, আমি আমার ভাইপোদের মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করেছিলাম। সেই কারণে ওরা আচমকা এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি চাই পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করুক।

Tribal Game: বিহু শেষে কড়ি খেলায় মাতে তিনসুকিয়ার আদিবাসীরা, অনেকটা মহাভারতের পাশার মত

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের শ্রেষ্ঠ উৎসব বিহু শেষ হওয়ার পর সেখানকার আদিবাসীদের একাংশ ‘কড়ি খেলা’ নামে এক অভিনব প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। এটি তিনসুকিয়ার আদিবাসীদের ধর্মীয় খেলা। এখানকার মটক উপজাতির মানুষরাই মূলত কড়ি খেলায় অংশ নেন।

মটক উপজাতি মূলত অসমের তিনসুকিয়া এবং ডিব্রুগড় জেলায় বসবাস করে। তারা প্রাচীনকাল থেকেই বিহু পরবের শেষে ঐতিহ্যগতভাবে মুদ্রা খেলা বা কড়ি খেলা খেলে আসছে। বোহাগ বিহুর সময় মটক সম্প্রদায়ের যুবকরা হুচোরি গান শেষ হওয়ার ৬-৭ দিন পর এই মুদ্রা খেলার আয়োজন করে থাকে।

আর‌ও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে জলের তলায় শিলং

এই ঐতিহ্যবাহী কড়ি খেলা গ্রামের নামঘর ও কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। মটক সম্প্রদায়ের যুবক ও প্রবীণরা একটি নির্দিষ্ট দিনে নামঘরে বা কোন‌ও গণ্যমান্য ব্যক্তির বাড়িতে সন্ধে হলে কড়ি খেলার আসর বসায়। এই খেলা পরেরদিন সকাল পর্যন্ত চলে।

কড়ি খেলার বেশ কিছু নিয়ম-কানুন আছে‌। এতে একটি বোর্ড এবং পেন্সিল লাগে, যা খেলায় ব্যবহৃত কড়ি বা কয়েনের সংখ্যা গণনা করতে ব্যবহৃত হয়। এই খেলাটা মহাভারতে উল্লেখিত পাশা খেলার মত অনেকটা। কড়ি খেলার অনেক ধরন আছে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিহুয়া সাবাহ বা গারখিয়া সাবাহ। তবে এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি কেবলমাত্র মটক উপজাতির পুরুষরাই খেলতে পারে। এতে নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ।