মুর্শিদাবাদ: ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে নিষেধ করায় কাকার হাতে কোপ মারল দুই ভাইপো। কেটে গেল হাতের আঙুল। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ভগবানগোলা থানার পুরাতন নওদাপাড়া কুঠিরামপুর এলাকায়। আঙুল কেটে গুরুতর আহত হয় ২ জন।
কাটা আঙুল-সহ তড়িঘড়ি আহত স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার করে কানাপুকুর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযুক্ত দুই ভাইপো তাজলিম সেখ ও তারমিম সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভগবানগোলা থনায়। অভিযোগের ভিত্তিতে আহত আইজুদ্দিন সেখের ভাই জামাল সেখকে আটক করেছে। ভগবানগোলা থানার পুলিশ।
প্রতিদিনই বাড়ির পাশে বসে ফ্রি ফায়ার গেমের আসর। মোবাইলে অতিরিক্ত আওয়াজ সঙ্গে চিৎকার চেঁচামেচি হওয়ায় পড়াশোনা করতে অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছিল আজমাইনা খাতুনের। বাবাকে বলায় ভাই জামাল শেখের দুই ছেলেকে ডেকে গেম খেলতে নিষেধ করেন আইজুদ্দিন শেখ। আর তা নিয়ে কাকা ভাইপোর মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তারপরেই দুই ভাইপো এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কাকা আইজুদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রীকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আইজুদ্দিন সেখ ও তার স্ত্রী আলিয়া বিবির হাতের আঙুল কেটে যায়। তড়িঘড়ি তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আইজুদ্দিন শেখের মেয়ে আজমাইনা খাতুন বলে, প্রতিদিনই আমার কাকার ছেলেরা দলবল নিয়ে বাড়ির সামনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলে। পড়াশোনা করতে আমার খুব সমস্যা হয়। সেই কারণে বাবা আমার কাকার ছেলেদের বাড়ির সামনে গেম খেলতে নিষেধ করেছিল। তারপরেই আমার কাকার ছেলেরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমার বাবা মাকে কোপায়। আহত আইজুদ্দিন সেখ বলেন, আমি আমার ভাইপোদের মোবাইলে গেম খেলতে নিষেধ করেছিলাম। সেই কারণে ওরা আচমকা এসে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি চাই পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করুক।