Tag Archives: Ghaziabad

Bizarre Incident: ‘ঘুমোচ্ছে’ ভেবে মৃত কিশোরের নিথর দেহ আগলে কয়েক দিন অপেক্ষায় তার মা ও দিদি

গাজিয়াবাদ : সন্তানের নিথর দেহ আগলে বসে থাকলেন মা। এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের। মায়ের সঙ্গে অপেক্ষায় ছিল তাঁর মেয়েও। দু’জনেরই দাবি, ওই কিশোর আসলে ঘুমোচ্ছে। ফের জেগে উঠবে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, গাজিয়াবাদের চন্দ্রনগর কলোনিতে একটি ফ্ল্যাটে থাকত ১৩ বছর বয়সি তেজস জৈন। তার মা কোমল জৈন (৫০) এবং বোন কাব্যা (২২) মানসিক দিক থেকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। বছর দশেক আগে মারা গিয়েছেন তেজসের বাবা। তার পর থেকেই তাঁর স্ত্রী কোমল এবং মেয়ে কাব্যা মানসিক স্থিতি হারিয়েছেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের।

জৈন পরিবারের ফ্ল্যাট থেকে পচা দুর্গন্ধ বার হওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান প্রতিবেশীরা। সাহিবাবাদের পুলিশ কমিশনার রজনীশ কুমার উপাধ্যায় জানিয়েছেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকেন। তার পর দেখা যায় মেঝেতে শায়িত নিথর কিশোর। তার পাশেই বসে আছেন কোমল এবং কাব্যা। পুলিশকে দু’জনে জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন তেজস ঘুমোচ্ছে।

আরও পড়ুন : নেই স্বাদ, নেই গন্ধ! বাজার থেকে এ কী ইলিশ কিনছে ভোজনরসিক বাঙালি? দুর্দশার কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে জৈন পরিবার পাড়ায় কারওর সঙ্গে মিশত না। এমনকি, সন্ধ্যায় তাঁদের ফ্ল্যাটে আলো জ্বলতেও দেখা যেত না বাইরে থেকে। অসুস্থতার জন্য দ্বাদশ শ্রেণীর পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন কাব্যা। তাঁদের সংসারের খরচ চালাতেন কোমলের ভাই, দিল্লির বাসিন্দা প্রশান্ত জৈন।

পুলিশ জানিয়েছে জৈন পরিবারের ফ্ল্যাট খুবই নোংরা এবং অগোছালো পরিস্থিতিতে ছিল। অটোপ্সি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে সেপ্টিসেমিয়া বা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তেজসের। বুধবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

সাংঘাতিক! দিনের আলোয় গাজিয়াবাদের রাস্তায় বহালতবিয়তে ঘুরছে চিতাবাঘ, ভাইরাল CCTV ফুটেজ…

#গাজিয়াবাদ: দিনের আলোয় শহরের রাস্তায় বহালতবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ। এমনই ঘটনায় এখন ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে চিতাবাঘ ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও ফুটেজ। যা দেখে কপালে চোখ তুলেছেন অনেকেই।

গাজিয়াবাদের রাজনগরে মঙ্গলবার দুপুরে চিতাবাঘটিকে দেখতে পাওয়া যায়। অভিষেক প্রসাদ নামে এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী এলাকার একটি CCTV ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। সেই পোষ্ট ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। সংবাদ সংস্থা PTI-র কাছে সংবাদের সত্যতা স্বীকার করেছে শহরের প্রশাসন।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘটি শুধু রাস্তায় ঘুরেছে তা নয়। সে গাজিয়াবাদ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপার্সনের অফিসের জেনারেটর রুমে ঢুকে পড়েছিল। এরপর এক সুইপার সেখানে জেনারেটর চালাতে গেলে, বাঘটি প্রথমে তাঁর ওপরে ঝাঁপিয়ে পরে। কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে সে বাইরে বেরিয়ে এসে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে অফিসের অন্যান্যরা লাঠি নিয়ে বাঘটিকে তাড়া করে। তবে চিতাবাঘটির নাগাল পায়নি কর্মী এবং আধিকারিকরা। কারণ ততক্ষণে বাঘ বাবাজি অফিস সংলগ্ন একটি বড় গাছ বেয়ে উঠে পাশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাফ দিয়েছে।

এ দিকে, ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বনদফতরের পাঁচটি দল। তবে বাঘটিকে এখনও ধরা যায়নি। জেলাশাসক শঙ্কর পাণ্ডে জানিয়েছে, সরবতভাবে বাঘটিকে ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে যতক্ষণ না চিতাবাঘটিকে ধরা যাচ্ছে, ততক্ষণ এলাকার বাসিন্দাদের বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে।