লাইফস্টাইল Ginger Benefits: সব পদে গাদা গাদা ‘আদা’ দিচ্ছেন? কাঁচা না শুকনো? কোন আদা খাওয়া বেশি উপকারী! জানুন বিশেষজ্ঞের মত Gallery August 26, 2024 Bangla Digital Desk আদা শরীরের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বহু কাল ধরেই আদা পেটের গোলযোগ, সর্দি কাশি, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু তাজা না শুকনো, কোন আদা খাওয়া বেশি উপকারী তা নিয়ে খুব একটা অবগত নন অনেকেই। আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য এবং জিঞ্জেরল নামক একটি শক্তিশালী যৌগ দ্বারা সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্য অনুশীলনকারী, পুষ্টিবিদ এবং প্রত্যয়িত ম্যাক্রোবায়োটিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক শিল্পা অরোরা জানান শুকনো এবং কাঁচা আদার মধ্যে পার্থক্য এবং কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তা। সব আদাতেই রয়েছে উপকার। তবে, বেশি উপকার পেতে হলে শুকনো আদাই সেরা। একাধিক গবেষণাতেও মিলেছে তার প্রমাণ। সেখানে বলা হয়েছে কাঁচা আদার তুলনায় শুকনো আদার ঔষধি গুণ অনেকটাই বেশি। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে শুকনো আদায় পলিফেনল জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উচ্চ মাত্রায় থাকে। ফলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে শুকনো আদা বেশি কার্যকর। শিল্পা অরোরা বলেন, “শুকনো আদা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধে সাহায্য করে। শুকনো আদায় প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে যা জয়েন্টের ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিস-সহ যেকোনও ধরনের কষ্ট কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, শুকনো আদা হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। এবং শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।” জিঞ্জেরল এবং শোগাওল নামক দু’টি পলিফেনল গ্রুপ আদার তীব্র স্বাদের জন্য দায়ী। এই দুটি উপাদান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে এবং বমিভাব কমাতেও বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিঞ্জেরল এবং শোগাওল হজমকে উদ্দীপিত করে, পাকস্থলীর পেশিকে সতেজ রাখে এবং কিছু নিউরোট্রান্সমিটার ব্লক করতে কাজে আসে যা আমাদের বমি বমি ভাব কমাতে সহায়তা করতে পারে। ( Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
লাইফস্টাইল Indigestion Control Tips: বেশি খেলেই বদহজম? শরীরে অস্বস্তি? এভাবে আদা খেলেই সব অসুস্থতা ভ্যানিশ! Gallery July 27, 2024 Bangla Digital Desk ভারতীয় রান্নায় আদার ব্যবহার প্রচুর৷ দীর্ঘ দিন ধরে সুগৃহিণীর বিশ্বস্ত সঙ্গী এই কন্দ মশলা৷ জানেন কি যে কোনও খাবার খাওয়ার পর আদাজল খাওয়ার উপকারিতা অঢেল৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷ সবার আগে জেনে নিন কী করে তৈরি করবেন আদাজল৷ ১ ইঞ্চি আদার খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন৷ তার পর ২ কাপ জলে আদার টুকরো ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন৷ তার পর ছেঁকে নিলেই পান করার জন্য রেডি৷ দিনভর যত বার ভারী খাবার খাবেন, তার পর চুমুক দিন আদাজলে৷ এর ফলে হজমে সাহায্য হবে৷ বমি ভাব কমবে৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে৷ জিঞ্জেরল-সহ একাধিক উৎসেচকের জন্য আদাজলকে বলা যায় ডাইজেস্টিভ টনিক৷ ফলে হজম প্রক্রিয়া হয় দ্রুত৷ পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজম কমে যায়৷ গা বমি ভাব এবং মোশন সিকনেস কমাতে আদার উপকারিতা ও উপযোগিতা প্রচুর৷ গুরুপাক খাওয়া দাওয়ার পর শরীর আইঢাই করলে স্বস্তি মেলে আদাজলে৷ অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে বুক জ্বলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়৷ পাশাপাশি তৈরি হয় আরও একাধিক অস্বস্তি৷ খাওয়ার পর আদাজল পান করলে কমে যায় সেইসব অস্বস্তি৷ শরীরের মেটাবলিজম হার বৃদ্ধি করে আদা৷ খাওয়ার পর আদাজল খেলে বাড়তি মেদ জমার প্রবণতা কমে৷ ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না৷ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে আদার রস৷ নিয়মিত আদা খেলে মজবুত হয় রোগ প্রতিরোধ শক্তি৷ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে শরীরকে ডিটক্সিফাই করে আদাজল৷ ব্লাড সার্কুলেশন বজায় রাখে৷ ফলে কার্ডিও ভাসক্যুলার অসুখ এড়ানো যায়৷ কাঁচা আদার রস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে৷ ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিস রোধে উপকারী আদা৷ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে আদাজল৷ ঋতুস্রাবকালীন যন্ত্রণা, অস্বস্তি দূর করে আদার উপকারিতা৷