Tag Archives: grand canion

Success Story: অতল গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের রহস্যভেদে মার্কিন মুলুক থেকে ডাক উত্তরপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারকে

রাহী হালদার, হুগলি: পেশায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁর নেশা গবেষণা করা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি গবেষণা করছেন বিভিন্ন ভৌগোলিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ের উপর। তাঁর গবেষণার অন্যতম একটি বিশেষ অংশ হল অতি মানবীয় শক্তি বা ইনসেন এলিয়েন নিয়ে। যেখানে তিনি গবেষণা করছেন মেগালিথস ও টেরা ফর্মিং নিয়ে। এই গবেষণার সাফল্যও এসেছে কিছু দিন আগেই যেখানে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস তাঁর গবেষণাপত্র দেখে অভিভূত হয়ে তাঁকে সুযোগ দিতে চায় আমেরিকায় গিয়ে টিম তৈরি করে গবেষণার জন্য।

উত্তরপাড়া সখের বাজার এলাকার বাসিন্দা সমর চৌধুরী।  ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় থেকেই ভূতত্ত্ব ও ভৌগোলিক বিষয়ে তাঁর বিশেষ আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে চাকরি জীবনে কাজের ফাঁকে শুরু করেন এই বিষয়ে গবেষণা। পিরামিড থেকে তার প্রথম আকর্ষণ জন্মায় মেগালিথস-এর প্রতি। মেগালিটিস বিষয়টি হল বৃহৎ আকৃতির পাথর যা প্রকৃতির তৈরি নয়। সেই থেকেই তার গবেষণা শুরু। গুগল আর্থ থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে তিনি প্রথমে তার হাইপোথিসিস তৈরি করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তিনি কাজ শুরু করেন গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে।

আরও পড়ুন : রাজরাজেশ্বরী বেশে পুজো, খিচুড়ি, পোলাও পোড়া শোলমাছ ভোগ…বুদ্ধপূর্ণিমায় তারাপীঠে অগণিত ভক্ত সমাগম

৪০ বছর বয়সি সমর চৌধুরীর দাবি, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নও তৈরি হয়েছে মেগালিথস দিয়ে। সেই গবেষণাপত্র তিনি জমা দেন সার্ভে অফ ইউনাইটেড স্টেটস-এ। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সেখান থেকে উত্তর মেলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে সমরকে। ইমেল মারফত সেই আবেদন জানায় ইউনাইটেড স্টেটস অফ জিওলজিক্যাল সার্ভে। তারপর থেকেই আরও বেশি করে তোড়জোড় শুরু করেছেন সমর, নিজের রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য।

সমর চৌধুরীর কথায়, মানুষ এখন মঙ্গল গ্রহে টেরা ফর্মিং করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই টেরা ফার্মিং হলো কৃত্রিমভাবে সেখানের বায়ুমণ্ডল ও মাটির মধ্যে কিছু পরিবর্তন করা যার ফলে সেখানে জীবের বসবাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে পারে। সমর চৌধুরীর দাবী, পৃথিবীতেও কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে এই টেরা ফার্মিং হয়েছে যার ফলে পৃথিবীতে জীবের আবির্ভাব ঘটেছে। এবং এই টেরা ফর্মিং করেছে কোনও অতি মানবীয় শক্তি যারা এই মহাবিশ্বের অন্য কোথা থেকে এসেছিল। এই বিষয়ে গবেষণা করার জন্যই তাঁর ডাক এসেছে এখন আমেরিকা থেকে।