লাইফস্টাইল Premature Gray Hair Problem: অল্প বয়সেই মাথাভর্তি পাকা চুল? মুক্তির ‘সেরা’ উপায় দিলেন চিকিৎসক, চুল পড়াও কমবে! Gallery June 30, 2024 Bangla Digital Desk আজকালকার দিনে অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। যার মধ্যে অন্যতম হল আজকের দিনের খাদ্যাভ্যাস, ব্যস্ত জীবন, মানসিক চাপ, ক্রমবর্ধমান দূষণ ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেও চুল ঝরে পড়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে। আসলে বাজারে চুল কালো করার যেসব রঙ পাওয়া যায়, সেগুলিতে নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। তাই চুল কালো করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে নেওয়া যাক আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ কুমারের কাছ থেকে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. পঙ্কজ কুমার লোকাল ১৮-কে বলেন, আজকাল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চুলের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হল – দ্রুত চুল ঝরে যাওয়া এবং অকালে চুল পেকে যাওয়া। আর চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে খাদ্যাভ্যাসের দিকেও একটু নজর দেওয়া আবশ্যক। আসলে লিভার ভাল থাকলে চুলও ভাল থাকবে। এর জন্য লিভার টনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক ভাবে চুল কালো করার জন্য জবা ফুলের ২-৪টি পাপড়ি, ১ চা-চামচ মেহেন্দি পাতা নিতে হবে। এর পাশাপাশি নিয়মিত আমলকি সেবন করতে হবে। আর আমলকির মরশুম হলে তো কথাই নেই! প্রতিদিন প্রায় ২০ গ্রাম করে তাজা আমলকির রস পান করতে হবে কিংবা প্রতিদিন ১ চা-চামচ করে আমলকির গুঁড়োও সেবন করা উচিত। এমনকী সময়ে সময়ে চুলে তেল লাগাতে হবে। তবে আমরা বাজারে প্রাপ্ত অনেক সুগন্ধি তেল ব্যবহার করি, যা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বরং এর পরিবর্তে তিলের তেল ব্যবহার করা উচিত। সেই সঙ্গে তিল যে কোনও উপায়ে (খাবার বা চাটনি হিসাবে) খাওয়া যেতে পারে। এটি নিয়মিত সেবন করলে চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যাঁদের চুল অকালে ঝরে যায়, তাঁদের এটি প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত খাওয়া উচিত। তিল একেবারে গোড়া থেকে সমস্যা নির্মূল করতে সক্ষম। এর পাশাপাশি ভৃঙ্গরাজ তেলও চুলের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ এই তেল কোনও কার্যকরী ওষুধের থেকে কিছু কম নয়। ভৃঙ্গরাজ তেল কিংবা পাউডার সেবন করলে তা আমাদের লিভারের জন্যও ভাল বলে প্রমাণিত হতে পারে। এছাড়া ভৃঙ্গরাজ আমাদের চুলের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া লেবু ভিটামিন সি-এ ভরপুর থাকে। লেবু বা লেবুর রস জলের মধ্যে মিশিয়ে মাঝে মাঝে ম্যাসাজ করলে চুল ঝরে যাওয়া এবং অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দূর হবে।
লাইফস্টাইল Hair Fall Control Tips: আয়ুর্বেদের ‘মহৌষধ’! চুল ও ত্বকের বন্ধু, জলে জন্মানো এই গাছটি দুই মারণরোগের যম, জানুন Gallery June 26, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এবং পাহাড়ি এলাকায় এমন অনেক গাছ পাওয়া যায় যা নানা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই গাছগুলোর অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। এগুলো নিয়ম মেনে খেলে আমাদের শরীরের অনেক রোগ সেরে যায়। এই রকম একটি ঔষধি গাছ হল ওয়াটার হায়াসিন্থ বা জলকুম্ভী বা এক ধরনের কচুরিপানা, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কারণ এতে নানা ধরনের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ব্যবহার করে আমরা শরীরের অনেক মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি। ওয়াটার হায়াসিন্থ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে রয়েছে নানা ধরনের ঔষধি গুণ। এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ সারাতে বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। বরাবাঙ্কি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অমিত ভার্মা (এমডি মেডিসিন) আমাদের জানিয়েছেন যে, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, থায়ামিন, ভিটামিন ই, সোডিয়াম প্রভৃতি পর্যাপ্ত পরিমাণে জলে উপস্থিত থাকে। এই খনিজগুলি চুলের সমস্যা, ব্রণ, ক্যানসার, ত্বকের সমস্যা, হাঁপানি ইত্যাদি সম্পর্কিত অনেক রোগে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। হাঁপানি রোগীদের জন্যও ওয়াটার হাইসিন্থ উপকারী বলে মনে করা হয়। আসলে, হাঁপানি রোগীদের ভিটামিন সি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওয়াটার হাইসিন্থে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদে ক্যানসারবিরোধী গুণাবলীও পাওয়া যায়। ক্যানসার-রোগীরা যদি এই গাছের পাতার রস করে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান, তাহলে এটি শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়াও যাঁদের চুল পড়া বা খুসকির মতো চুলের নানা সমস্যা থাকে, তাঁরা মাথায় ওয়াটার হায়াসিন্থের রস বা নির্যাস লাগালে তা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করতেও সমান উপকারী। ব্রণের সমস্যায় ওয়াটার হায়াসিন্থ খুবই উপকারী। ওয়াটার হায়াসিন্থে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ওয়াটার হায়াসিন্থের পাতা ত্বকে লাগালে বা এটি নিয়মিত সেবন করলে ত্বকের প্রদাহ কমে যায় এবং ত্বকে নতুন কোষ গজায়।
লাইফস্টাইল Hair Fall Problem: দলা দলা চুল উঠছে? বুদ্ধি করে কয়েকটা কাজ শুরু করুন! রইল টিপস Gallery April 30, 2024 Bangla Digital Desk সারা ঘরে চুল পড়ে রয়েছে? চিরুনিতেও দলা দলা চুল? গরমকালে এই বিপত্তি আরও ভয়াবহ হয়ে দেখা দেয়। কারণ, মাথা ঘেমে চুলের গোড়া আলগা হয়ে উঠতে থাকে বেশি। চুল পড়ার হার খুব বেড়ে যায়। কিছু টিপস মেনে চললেই এড়ানো যায় এই সমস্যা। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) গরমে ঘামের সঙ্গে মিশে থাকে বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণা ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ। তাই ঘামে ভিজলে আবার চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। নইলে স্ক্যাল্পে জমে যাবে ওই ধূলিকণা। এর ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই হাল্কা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে মাথা পরিষ্কার করে মুছে নিন। এর পর স্ক্যাল্পে দিন লেবুর রস। তাতে ধূলিকণা বেরিয়ে যাবে। ঢেকে রাখুন মাথা: বাইরে বের হলে মাথা ঢেকে রাখুন। গ্রীষ্মে ঘাম ও আর্দ্রতা থেকে বাঁচবে চুল। আবার মানানসই রঙিন টুপি বা স্কার্ফ থাকলে স্টাইলও হবে রঙিন। তাই এক ঢিলে দুই পাখি। চুলও বাঁচল, কেতাদুরস্তও থাকা গেল। কন্ডিশনার: একেও ভুললে চলবে না। শ্যাম্পুর পরে ভালো করে চুলে কন্ডিশনার দিন। বেশি করে কন্ডিশনিং-এর প্রলেপ থাকুক চুলের ডগায়। যতটা মন দিয়ে চুলে কন্ডিশনার দেবেন, ততটাই যত্ন নিয়ে তা চুল থেকে ধুয়েও ফেলবেন। নয় তো হিতে বিপরীত। এখন অনেক এক্সপার্ট বলেন, বেশি তৈলাক্ত চুল হলে শ্যাম্পুর আগে ভিজে চুলে কন্ডিশনার দিতে। তারপর শ্যাম্পু করে নিলেই চুলের সুস্বাস্থ্য হাতের মুঠোয়। হেয়ার স্টাইলিং বন্ধ: নিত্যনতুন স্টাইল করেন চুলে? জেল, হেয়ার সিরামের সঙ্গে থাকে নানারকম হেয়ার ডু? গরমে ওদের ভুলে থাকুন। এমনিতেই রাসায়নিক ক্ষতি করে চুলের। গরমে সেই ক্ষতির বহর বেড়ে যায়। কারণ ওই রাসায়নিক স্ক্যাল্পে জমে ক্ষতি করে চুলের। তাই গরমে চুলের জন্য থাকুক হাল্কা ডায়েট। যাতে তার বদহজম না হয়। ভিজে চুলে চিরুনি বাদ: এই নিয়ম মনে রাখতে হবে সারা বছরই। তবে গরমে চুল ঠিক রাখার এটা থাম্ব রুল। ভাল করে চুল শুকিয়ে তবেই চুল আঁচড়ান। জট ছাড়াবার জন্য ব্যবহার করুন মোটা দাঁতের চিরুনি। ভিজে চুল আঁচড়ালে তা আরও ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতি অবশ্যই ব্যবহার করুন নিজের চিরুনি। কারণ বর্ষায় অন্যের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে বিপদের আশঙ্কা আরও বেশি। গরম তেলের মালিশ: যে ঋতুই হোক না কেন, তেলে চুল সবসময়ই তাজা। ম্যাসাজের জন্য বেছে নিন ঈষদুষ্ণ তেল। ভাল করে তা মালিশ করুন স্ক্যাল্পে। গরমে ঘামে ভিজে চুলে যে জট পড়ে, তার হাত থেকে রেহাই পাবেন অনেকটাই। স্ক্যাল্পে তেল ফিরিয়ে আনবে চুলের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা। চুল মজবুত তো হবেই। সেই সঙ্গে মসৃণও হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)